শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয় শিশুদের বিষণ্ণতায় ভোগার সম্ভাবনা বেশি: গবেষণা

0
26
শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয় শিশুদের বিষণ্ণতায় ভোগার সম্ভাবনা বেশি: গবেষণা
শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয় শিশুদের বিষণ্ণতায় ভোগার সম্ভাবনা বেশি: গবেষণা

যেসব শিশুরা লম্বা সময় নিষ্ক্রিয়ভাবে বস কোটায় তাদের ১৮ বছর বয়সের মধ্যেই বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে বলে উঠ এসেছে নতুন এক গবেষণায়। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের গবেষকরা ১২ থেকে ১৬ বছর বয়সী ৪ লাখ ২৫ হাজার ৭১২ জনের সক্রিয়তার মাত্রা যাচাই করে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন।

গবেষণায় দেখা যায়, প্রতিদিন অতিরিক্ত এক ঘন্টা হাঁটা বা ঘরের কাজ করার মত হালকা সক্রিয়তা প্রদর্শন করে থাকে যারা, প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর তাদের মধ্যে বিষণ্ণতার চিহ্ন অপেক্ষাকৃত কম প্রকাশ পায়।গবেষণাটি থেকে ধারণা করা যায় যে সব বয়সের মানুষেরই শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া উচিত।
গবেষণায় অংশ নেয়া ইউনিভার্সিটি অব ব্রিস্টলের ১২, ১৪ ও ১৬ বছর বয়সী শিশুরা টানা তিনদিন অন্তত ১০ ঘন্টা ধরে অ্যাক্সেলারোমিটার পরে থাকে।এই যন্ত্র থেকে পাওয়া মান থেকে বোঝা যায় যে তারা স্থির হয়ে বসে ছিল, হালকা শারীরিক কার্যক্রমে – যেমন হাঁটা অথবা হালকা থেকে তীব্র কায়িক শ্রম বা দৌড়ানো বা সাইকেল চালানোতে নিয়োজিত ছিল।শিশুরা একটি জরিপের প্রশ্নের জবাবও দেয় যেখানে তাদের বিষন্নতার ধরণ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়। সেখানে প্রশ্ন করা হয় তাদের মনোযোগ নষ্ট হয় কিনা, সুখের অনুভূতি কমে যায় কিনা এবং মানসিকভাবে বিষণ্ণ বোধ করছেন কিনা। ১২ এবং ১৬ বছর বয়সের মধ্যে শারীরিক সক্রিয়তা কমে গেলে বসে থাকা বা অলসতার প্রবণতা বৃদ্ধি পায় বলে উঠে এসেছে গবেষণায়।

গবেষণায় পাওয়া গেছে:

  • দিনে সাত ঘন্টা থেকে বেড়ে বসে থাকার প্রবণতা হয়েছে সাড়ে আট ঘন্টায়
  • হালকা শারীরিক কার্যক্রমের হার সাড়ে পাঁচ ঘন্টা থেকে কমে চার ঘন্টায় নেমেছে
  • হালকা থেকে তীব্র শারীরিক কার্যক্রমের হার ‘স্থিতিশীল’ রয়েছে।

গবেষকরা জানিয়েছেন, ১২, ১৪ ও ১৬ বছর বয়সে অতিরিক্ত প্রতি এক ঘন্টা বসে থাকার ফলে গবেষণায় অংশ নেয়াদের বিষণ্ণতার স্কোর যথাক্রমে বেড়েছে ১১.১%, ৮% ও ১০.৭%।যেখানে হালকা কার্যক্রমের ক্ষেত্রে তাদের বিষন্নতার স্কোর ৯.৬৫, ৭.৮৫ ও ১১.১% করে কমেছে।

‘কম সময় বসে থাকুন’

ইউসিএলের মনোরোগ বিবাগের পিএইচডি’র ছাত্র ও প্রধান গবেষক অ্যারন কান্ডোলা বলেন: “শুধু যে কঠিন শারীরিক কার্যক্রমই মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভাল, তা নয়। যে কোনো ধরণের শারীরিক কার্যক্রমই মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভাল বলে ধারণা করা হচ্ছে। সব বয়সের মানুষকেই বেশি করে শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকতে অনুপ্রেরণা দেয়া উচিত, যার ফলে কম সময় বসে থাকা হবে এবং তা আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হবে। শঙ্কার বিষয় হলো, তরুণদের নিষ্ক্রিয়ভাবে বসে থাকার হার বাড়লেও এ বিষয় নিয়ে কোনো বিস্তারিত গবেষণা করা হয়নি। বিষণ্ণতায় ভুগছে, এমন তরুণদের সংখ্যাও ক্রমেই বাড়ছে।”
ক্যামডেন অ্যান্ড আইলিংটন এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের সিনিয়র গবেষক ডক্টর জোসেফ হেইস বলেন, “হালকা শারীরিক কার্যক্রম বিশেষভাবে উপকারী হতে পারে যেহেতু সেগুলোর জন্য বিশেষ সময় বা প্রচেষ্টা করতে হবে না।”
সূত্র: বিবিসি

Previous articleসন্তান একা থাকে র্দীঘসময়? একঘেয়েমি কাটাতে শেখাতে পারেন যেভাবে
Next articleবাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব সাইকিয়াট্রিস্টস এর ২৭ তম বার্ষিক সাধারণ সভা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here