ট্রমা হলো একটি মানসিক আঘাতজনিত অবস্থা। যেখানে ব্যক্তি শারীরিক বা মানসিক প্রাপ্ত কিংব প্রত্যক্ষ করার পর মানসিকভাবে ভীতিকর অবস্থার মধ্যে পড়ে যায়। এমনকি একটার পর একটা ঘটনার ফলে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।
ফলে স্মৃতিশক্তি কমে যায়, একই ঘটনা বারবার মনে পড়ে, বিভ্রান্তি বেড়ে যায়। ব্যক্তি আতঙ্কিত এবং দুশ্চিন্তগ্রস্থ হয়ে পড়ে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এ অবস্থাকে বলে ‘পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার’- (PTSD).
সম্প্রতি তরুণ-তরুণিদের ট্রমা প্রতিরোধে নতুন গাইডলাইন প্রকাশ করেছে ‘ন্যাশনাল কমিশন অন কারেকশনাল হেলথকেয়ার’ শিকাগো, আমেরিকা। এক বিবৃতিতে মার্কিন এ প্রতিষ্ঠানটি ট্রমা আক্রান্তদের যত্নের সংশোধিত ৫টি মান প্রকাশ করে। ট্রমা আক্রান্তদের যত্নে এ পাঁচটি বিষয়ে বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে ‘এনসিসিএইচসি’ এর জুরিবোর্ড।
দাম্পত্য কলহ ও মানসিক রোগ : কমিয়ে আনুন মনের দূরত্ব
২ সেপ্টেম্বর এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে ‘ন্যাশনাল কমিশন অন কারেকশনাল হেলথকেয়ার’ জুরিবোর্ড। চলুন জেনে নেয়া যাক….
নিরাপত্তা : আক্রান্ত ব্যক্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। তাকে আশ্বস্ত করতে হবে যে, সে নিরাপদ আছে। ‘কেউ তাকে আঘাত করবে না, তার ক্ষতি করবে না’ এই নিরাপত্তা নিশ্চয়তা তাকে বারবার জানিয়ে দিতে হবে।
বিশ্বস্ততা : আক্রান্তের বিশ্বাস অর্জন করতে হবে। তাকে এটা বুঝাতে হবে যে, আপনি তাকে বিশ্বাস করেন এবং সেও আপনার প্রতি বিশ্বাস রাখতে পারে।
পছন্দ : তার পছন্দের দিকে খেয়াল রাখুন। কখন কথা বলতে চায়, কখন বলতে চায় না সেটা খেয়াল করুন। ঘটনা সম্পর্কে বা কোনো কিছু জানতে চেয়ে অহেতুক চাপাচাপি করবেন না।
সহযোগিতা : সহযোগিতা করুন। তার কখন কী লাগবে, কী চাইছে সেটা দেয়ার চেষ্টা করুন। এটা তাকে শান্ত হতে সাহায্য করবে।
ক্ষমতায়ন : তার ক্ষমতায়নের ব্যাপারেও তাকে সচেতন করুন। বলুন যে, তারও কিছু দক্ষতা এবং ক্ষমতা আছে। সে চাইলে আরদশজন মানুষের মতোই সেও স্বাভাবিক জীবনযাপনের ক্ষমতা রাখে।
সূত্র : psychiatrictimes.com
এটাও পড়ুন…
পুরুষের মনোঃযৌন সমস্যা ও চিকিৎসা
এই বিভাগের আরো লেখা পড়তে ক্লিক করুন :
/এসএস/মনেরখবর/