স্পর্শকাতর মানুষগুলোকে যেভাবে ভালো রাখবে

0
50

আমাদের ভালো লাগার কিছু মানুষ রয়েছে যারা অনেকটাই স্পর্শকাতর। তারা সাধারণ কোন বিষয়কে গভীরভাবেও নিয়ে থাকে। ফলে তাদের পৃথিবী হয় অন্যদের চেয়ে আলাদা। অতীতের কোন ঘটনা বা হঠাৎ কোন গোলমাল কিংবা একটু চিৎকার চেঁচামেচিতে তার মনে অনেকটা দাগ কেটে দেয়। এ সকল মানুষ কেমন হয়, তার কিছু বিষয় আজ আপনাদের জন্য।

০১. শান্তিপূর্ণ জীবন: যেহেতু তারা যেকোন বিষয় গভীরভাবে নেয়, তাই কোন বিষয়ের প্রক্রিয়া তাদের মধ্যে হয়ও কিছুটা সময় নিয়ে। তাদের যেকোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতেও সময় লাগে অন্যদের তুলনায় একটু বেশি। তারা সবসময় চায়, সবকিছুর উর্দ্ধে শান্তিপূর্ণ জীবন।

০২. ব্যস্ত দিন শেষে শান্তিপূর্ণ সময়:  এসকল মানুষের নার্ভাস সিস্টেম অনেক বেশি স্পর্শকাতর। এজন্য তারা একটি ব্যস্ত দিন শেষে খুব সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তাই তাদের ব্যস্তদিন শেষে প্রয়োজন হয় কিছু শান্তিপূর্ণ সময়। এজন্য তারা হাল্কা আলো, কম শব্দ, মৃদু গানের সুর, সুন্দর শৈল্পিক রুচি সম্পন্ন ছোট্ট ঘরে প্রয়োজনীয় বিশ্রাম নিয়ে থাকে।

০৩. কিছু আবেগিয় মুহূর্ত ও কান্নার সময়:  এমন মানুষরা তাদের আবেগ প্রকাশ না করে থাকতে পারে না। তাই তারা আনন্দ ও কষ্ট দুইটা প্রকাশ করেই স্বস্তি পায়।

০৪. পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নেবার সময়: পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া সবার জন্যই কষ্টের। কিন্তু এ ধরনের মানুষের জন্য আরও বেশি কষ্টের। তারা নতুন পরিবেশে ও অতিরিক্ত চাপে সহজেই কুঁকড়ে যায়। তাই তাদের মানিয়ে নেবার জন্য বেশ খানিকটা সময় দরকার হয়।

০৫. ঘনিষ্ঠ ও অর্থপূর্ণ সম্পর্ক: যেখানে অর্থপূর্ণ কথা আলোচনা হয় না সেখানে স্পর্শকাতর মানুষরা বিরক্ত ও ক্লান্ত অনুভব করে। তারা সবসময় চায় অর্থপূর্ণ ও অন্তরঙ্গ সম্পর্ক গড়ে তুলতে।

০৬. ঝামেলা মোকাবেলার ভদ্রোচিত ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায় খোঁজা:  তারা গোলমাল বা ঝামেলা পছন্দ করে না। এগুলোতে তারা বেশ দুশ্চিন্তায় ভোগে এবং তাদের নিজের মধ্যেও এক্টা সংঘর্ষ তৈরি হয়। তারা কাউকে কষ্ট দিয়ে কথা বলতে চায় না। কারণ, তারা জানে এতে অন্যজনের কতোটা কষ্ট হবে।

০৭. রাতে ভালো ঘুম: ঘুমের অভাব যেকোনো মানুষকে ধীর গতি সম্পন্ন, বদ মেজাজি করে তোলে। কিন্তু এই ধরনের মানুষ দিনটাকে ভাল করে কাটানোর জন্য শান্তির ঘুম খোঁজে।

০৮. সৃজনশীলতা প্রকাশের জায়গা: এ সকল মানুষের গান, আঁকার, কবিতার বা অন্য কিছুর সৃজনশীলতা থাকতে পারে। এজন্য তারা এসব প্রকাশের জন্য একটা বিশ্বস্ত জায়গা খোঁজে।

০৯. লক্ষ্যের দিকে অটল মনোভাব: মানুষ তার নিজের লক্ষ্য থেকে মাঝে মাঝেই সরে যায়। কিন্তু এই বৈশিষ্টের মানুষের ক্ষেত্রে তা হয় না। তারা বর্তমানে নিজে কি, কেন, কোথায় আছে এগুলো নিয়ে খুবই সজাগ।

১০. কাছের মানুষের কাছে প্রত্যাশা:  যেহেতু এমন মানুষেরা সবকিছুকে গভিরভাবে নেয়। তাই তাদেরকে অন্যরা সহজে বুঝতে পারেনা। কিন্তু যারা তাদের বুঝতে পারে, তাদের কাছে প্রত্যাশা করে যে, আজীবন তারা আমার পাশে থাকবে।

তথ্যসূত্র: সাইকোলজি টুডে।
অনুবাদটি করেছেন সুস্মিতা বিশ্বাস।

Previous articleমাদকাসক্তদের পক্ষে নেতিবাচক আবেগ বোঝা কঠিন
Next articleঅবসেসিভ কমপালসিভ ডিজঅর্ডারে বিশ্বে প্রায় ১.২ শতাংশ লোক ভুগছে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here