মানসিক ভুল ধারণা ও কুসংস্কার থেকে মুক্তির উপায়

0
231

মানবজাতির সবচেয়ে ভয়ানক রোগগুলোর মধ্যে একটি হলো বিষন্নতা। বিষন্নতার সাথে কাজ করা অর্থই হলো রোগের সাথে যুদ্ধ করা যা আপনার ধৈর্যকে দিনের পর দিন নিষ্পেশিত করবে। এর ফলে অনেককেই অসহনীয় মানসিক চাপে কুঁটে কুঁটে জীবন কাটাতে হয়। মানসিক ভুল ধারণা ও কুসংস্কার থেকে মুক্তির এমন ৪টি সহজ উপায় মনের খবর-এর
পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো:
১. কারও কথা ব্যক্তিগতভাবে নেবেন না:
যদি কথোকপথনের সময় আপনাকে উদ্দেশ্য করে কেউ কোন অশ্রাব্য শব্দ ব্যবহার করে বা অশোভন আচরণ করে তাহলে আপনি আত্মরক্ষামূলক অবস্থান গ্রহণ করুন। এমন পরিস্থিতে প্রতিক্রিয়া দেখানোর বদলে আপনি নিজে সংযমী হোন। কথার লড়াইয়ে না জড়িয়ে এমন আত্মরক্ষামূলক অবস্থানে থাকা শ্রেয়তর হবে। বিষয়টি বেশ ভালো ব্যক্তিগত পর্যায়ে চলে যায়, সেক্ষেত্রে যদি তিনি আপনাকে সরাসরি অপমান করে বসেন সেখানে আপনার কিছুই করার নেই। আপনার সম্পর্কে সে যা ভেবে থাকেন তা বলে দিবেন এবং এই কথাগুলো ব্যক্তিভাবে নিলে আপনি তার শিকারে পরিণত হবেন। আর যদি ব্যক্তিগতভাবে না নেন তাহলে মনে করবেন, দুর্যোগ থেকে মিললো আপনার মুক্তি।
২. আপনার গল্পটি শেয়ার করুন:
আপনার গল্পটি শুধুই আপনার। আপনার মনের কোণে দীর্ঘদিন ধরে জমিয়ে রাখা কষ্ট বা দুঃখগুলো উন্মোচিত করুন, মানুষের সাথে শেয়ার করুন। কঠিন কিন্তু সম্ভবপর এ কথাগুলো কোনো প্রকার প্রত্যাশা ছাড়াই আপনি নিছক তুলে ধরুন। আমার দুঃখ বা সুখের কথা অন্যকে কেন জানাবো-এ ধারণায় আবদ্ধ না থেকে দুঃখ-সুখস্মৃতিগুলো অন্যের সঙ্গে শেয়ার করুন।
৩. বিজ্ঞানের সাথে সেঁটে থাকুন:
পৃথিবীতে কোন কিছুই অদ্ভুদভাবে ঘটেনা। সকল ঘটনার পিছনে কোন না কোন কারণ কাজ করে। নিউরোবায়োলজি কথার চেয়ে আপনি বিষন্নতার শারীরবৃত্তীয় কথাগুলো বেশি করে সরাসরি, পরিস্কার ও স্পষ্ট করে বলুন। এসব বিজ্ঞান নির্ভর কথাগুলো আপনাকে আরো স্মার্ট ও প্রত্যয়ী করে তুলবে।
৪. পরিসংখ্যান বর্জন করুন:
বিষন্নতার উপরে অনেক সময় অনেক পরিসংখ্যান আপনার সামনে চলে আসতে পারে। যা পড়ার পর আপনি আরো বেশি বিষন্নতায় ভুগতে পারেন। তাই এসব পরিসংখ্যান বর্জন করুন। এসব রোগ বা ব্যাধী সম্পর্কে সঠিক শিক্ষার মাধ্যমে নিজেকে সুস্থ রাখুন।
আপনার মাঝে বসবাস করা বিষন্নতাকে ইচ্ছা করলেই উপর্যুক্ত উপায় চর্চার মাধ্যমে আপনি নিজেকে যেমন সুস্থ রাখতে পারবেন সাথে আপনার আত্মীয়, বন্ধু কিংবা প্রতিবেশীকেও সুস্থ রাখতে পারবেন।
অনুবাদ করেছেন:আফসানা আফরিন
তথ্যসুত্র: সাইক সেন্ট্রাল

Previous articleমন, মনোরোগ এবং চিকিৎসা
Next articleশিশু শিক্ষা: আগে মানসিক বিকাশ না প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here