মনের খবরের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে গোলটেবিল বৈঠক

বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রথম পূর্ণাঙ্গ ওয়েব পোর্টাল মনেরখবর.কম-এর তৃতীয় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে একটি গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল ১৯ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড’র কনফারেন্স হলে গোলটেবিল বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনার বিষয় ছিল ‘মানসিক স্বাস্থ্য: গণমাধ্যমের ভূমিকা’।
মনের খবরের সম্পাদক অধ্যাপক ডা. সালাহ্‌উদ্দিন কাউসার বিপ্লবের সঞ্চালনায় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ)  মনোরোগবিদ্যা বিভাগের প্রাক্তন সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম এ সোবহান, উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. ঝুনু শামসুন নাহার, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সাইকিয়াট্রি’র সাধারণ সম্পাদক ডা. মোহিত কামাল, নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, বাংলাদেশ হেল্থ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি তৌফিক মারুফ ও সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিবসহ নানা অঙ্গনের সাংবাদিকেরা।
আলোচনায় ওয়ার্ল্ড হেল্থ অরগানাইজেশন প্রদত্ত স্বাস্থ্যের সংজ্ঞা উল্লেখ করে ড. সোবহান বলেন, স্বাস্থ্য বলতে তো কেবল শারীরিক স্বাস্থ্য না, এখানে মানসিক ও সামাজিকভাবে সুস্থ থাকার বিষয়টিও রয়েছে। কিন্তু মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি আমরা আসলে কতটা যত্নশীল! আমরা আসলে কতটা জানি?
সালাহ্উদ্দিন কাউসার বিপ্লব বলেন, আমাদের যখন শরীরের কোনো একটা অসুখ হয়, যেমন- হার্টের প্রবলেম বা প্রেশার বা ডায়াবেটিস তখন কি আমরা মোটা দাগে বলি যে- আমাদের শারীরিক অসুখ হয়েছে? নাকি আমরা নির্দিষ্ট করে সেই রোগ বা অসুখটার নাম বলি! মানসিক রোগের ডায়াগনোস্টিক ম্যানুয়ালে তেমনি প্রায় ৪৬০টার মতো মানসিক রোগের উল্লেখ আছে। কিন্তু আমরা সাধারণ মানুষ মানসিক রোগ বলতে শুধু এক ‘মানসিক রোগই’ বুঝি!
নাট্যজন মামুনুর রশীদ সমাজে আলোচনা বা ডায়লগ বৃদ্ধির প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বলেন, আমাদের সময়ে এখন আমরা বেশি বেশি মনোলগের দিকে ধাবিত হচ্ছি। একমুখী বক্তব্য। কিন্তু পারস্পরিক আলোচনার মাত্রা বাড়াতে না পারলে, নিজের মনের কথা বা খবরগুলো প্রকাশ করতে না পারলে, অন্যেরটা না শুনলে মনের দাগগুলো মুছবে না। আর এই ডায়লগ তৈরির ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে।
মানসিক রোগ বা সমস্যার খবরগুলো গণমাধ্যমে কীভাবে উপস্থাপন করা উচিত, সে বিষয়ে ডব্লিউএইচও এর নির্দিষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। সেসব নির্দেশনা মেনে চলার গুরুত্বের কথা উঠে এসেছে আলোচনায়। সাংবাদিকদের করণীয়র সাথে সাথে মানসিক স্বাস্থ্যে নিয়োজিত পেশাজীবীদের দায়িত্বের কথাও এসেছে। তারা যদি গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে সাধারণ জনগণের কাছে মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক খবরাখবরগুলো পৗঁছে দেয় কিংবা নিয়মিত লেখালেখি করে, এতে সাধারণ জনগণ জানতে ও বুঝতে পারবে। কিংবা গণমাধ্যমে প্রকাশিত কোনো খবর বা শব্দ বা ভাষার প্রতি যদি তাদের কোনো অভিযোগ থেকে থাকে, সেটা যেন সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করে।
 
এফএস/এমএসএ

Previous articleচতুর্থ বর্ষে মনের খবর
Next articleএকা থাকতে ভয় পাই

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here