ব্যাংকারদের মানসিক স্বাস্থ্য

0
19

পদোন্নতির পর একটা কাউন্সেলিং করা যেতেই পারে

মানসিক স্বাস্থ্যের মূল কারণই হচ্ছে যেকোনো স্বাস্থ্যের element গুলো ফিজিক্যালি যেরকম সুস্থ থাকার দরকার মানসিকভাবেও সুস্থ থাকা দরকার। আর ব্যাংকিংই হচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ জব। পৃথিবীতে টাকার চেয়ে চঞ্চল জিনিস আর কিছু নেই। আমরা পানিকে তরল বলি। কিন্তু পানির চেয়েও টাকা আরও বেশি তরল, আরও বেশি চঞ্চল। এটাকে ধরে রাখা যায় না। একে ধরে রাখার কাজে আমরা ব্যস্ত। আমার এক স্যার বলতেন, ‘Borrowers are snakes.’ Borrower হচ্ছে সাপের মতো। সুযোগ পেলেই ব্যাংকারদের ছোবল দিয়ে বসে। এটা নিয়ে বিব্রত থাকলে চলবে না। We have to earn profit by handling this snakes। Borrower’রা আবার ক্ষেপে যেতে পারে। Borrower’দেরও ভালো গুণ আছে। তবে মেইনলি স্ট্রেস এর বিষয়টা বলি। ওরা করে কি! সবসময় সাপের মতো টাকাটা নেয় কিন্তু সুযোগ পেলেই ছোবল মেরে দেয়। আমরা যখন বিপদে পড়ি তখন ওরা কিন্তু পাশে দাঁড়ায় না। ওদের উদ্দেশ্য থাকে টাকাটা কিভাবে বের করে নিবে। ফলে সবসময় আমরা দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখা, জিডিপি তে কন্ট্রিবিউশন রাখা আর নিজেদেরকে বাঁচানো- এটার একটা চাপের মধ্যে থাকি। এই চাপটা মনে হতে পারে এমডি সাহেবেরই আছে। আসলে ব্যাপারটা তা না।

একটা ছেলে যখন জয়েন করে তখন থেকেই এই যে এমডি পর্যন্ত এই যে বিভিন্ন পর্যায়ে সবজায়গায় কিন্তু আমাদের mental stress টা একটু বেশি। এর মধ্যে ভালো লোকও আছে খারাপ লোকও আছে। এর মধ্যে সমাজে অর্থবিত্ত কামানোই যাদের মূল লক্ষ্য থাকে তারা হয় কি শেয়ালের মতো ধূর্ত, হায়েনার মতো হিংস্র, সাপের মতো বিষধর। আবার এর মধ্যে নির্বিঃসাপও আছে। অনেক ভালো লোকও আছে। যে কারণেই দেশটা আজ এগিয়ে যাচ্ছে। এই দুই গ্রুপকে একসাথে যেমন- অন্ধকারে সাপ ও সারা ঘরে সাপ আছে। আমরা কিন্তু অন্ধকারে থাকি। ফলে কোনটা বিষধর সাপ সেটা বুঝতে পারি না।

অফিসার থেকে শুরু করে ব্যাংকিং জবে যারা আছে এবং আমার ধারণা যারা জীবনে একবার হলেও ব্যাংকে চাকরি করেছেন সারাক্ষণ তাদের মধ্যে anxiety কাজ করে। ৯৯% Banker যারা স্ট্রেসের সাথে ফাইট করছে তাদেরকে Relaxin খেতে দেয়া হয়। আর Relaxin খেলে কিন্তু দীর্ঘমেয়াদী শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি হয়। অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কিছু জিনিসের ক্ষতি হয়। আর anxiety এবং anger feelings তৈরি হয়। সামনে যে আছে তাকেও মারতে ইচ্ছা করে। সেটা তো আর পারা যায় না। তখন রাগটাকে দমন করতে হয়। আর তখনই শরীরের উপর একটা প্রভাব পড়ে। Anxiety কে আমরা দমন করছি medicine দিয়ে আর রাগটাকে দমন করছি management দিয়ে। আমার এখন রাগ করা উচিৎ না। রাগলে আমার ক্ষতি হয়ে যাবে। তাই anger management এবং anxiety management এর True medicine এর ফলে মানুষের হার্টে প্রভাব পড়ে।

আমরা মনে করি যে এটা শারীরিক একটি রোগ। কিন্তু আমরা মনে করি এটা mental physio একটা Chapter। Heart এর patient দের অধিকাংশই ব্যাংকার। আমরা দেখি যখন মানুষ টেনশনে থাকে তখন তার sugar level, pressure ইত্যাদি high থাকে। দীর্ঘমেয়াদী anger এবং anxiety তে অবদমন করার কারণে ব্যাংকাররা কিন্তু অসুস্থ হয়ে যায়। তো এই জন্য আমার মনে হয় ব্যাংকিং এর যেই প্রশিক্ষণ কোর্স সেখানে সাইকিয়াট্রিস্টদের নিয়ে কাউন্সেলিং করা ‍উচিৎ। প্রত্যেকটা পর্যায়ে কারণ বিভিন্ন লেভেলের স্ট্রেস কিন্তু বিভিন্ন রকমের। সেই অনুযায়ী প্রতি তিনবছর বা পাঁচবছর পর পর অথবা পদোন্নতির পর একটা কাউন্সেলিং করা যেতেই পারে। এটা ব্যাংকের জন্য খুব একটা সমস্যা হওয়ার কথা না। অর্থাৎ একটা লোক পদোন্নতি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য ট্রেনিংয়ের পাশাপাশি How to manage anxiety, How to management anger, How to face the situation নিয়ে কাউন্সেলিং করা যেতেই পারে। এটাই ছিল আমার পরামর্শ।

 

মো. ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ

ম্যানেজিং ডিরেক্টর এন্ড সিইও

রুপালী ব্যাংক লিমিটেড।

সূত্রঃ মনের খবর মাসিক ম্যাগাজিন, ৪র্থ বর্ষ, ১০ম সংখ্যায় প্রকাশিত।

স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে 

“মনের খবর” ম্যাগাজিন পেতে কল করুন ০১৮ ৬৫ ৪৬ ৬৫ ৯৪

Previous articleব্যাকাম’কে সাথে নিয়ে মনের খবর ম্যাগাজিনের বিশেষ সংখ্যা ‘অতি চঞ্চলতা’
Next articleপ্রতি আটজনে একজন নারী থাইরয়েডে আক্রান্ত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here