বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস আজ

0
75

বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস আজ সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর)। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে। আর এটি আয়োজন করেছে ইন্টারন্যাশনাল এসোসিয়েশন ফর সুসাইড প্রিভেনশন (আইএএসপি)।
বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য ‘আত্মহত্যা প্রতিরোধে কাজ করি এক সাথে’। সম্প্রতি বাংলাদেশে আত্মহত্যার পরিমান বেড়ে গিয়েছে। এটি নজরে এসেছে আয়োজক সংস্থাটির। তাই বাংলাদেশে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে আয়োজকরা এবার বাংলাসহ ৭১টি ভাষায় এই প্রতিপাদ্যের ব্যানার তৈরি করেছেন।

আত্মহত্যা প্রতিরোধ যোগ্য হওয়া সত্বেও দিন দিন বিশ্বে আত্মহত্যা বেড়েই চলেছে। সেই উদ্বেগ থেকেই বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস ২০০৩ সাল থেকে বিশ্বজুড়ে পালিত হয়ে আসছে। প্রতিবছর ১০ সেপ্টেম্বর এ উপলক্ষে সংস্থ্যাটি আত্মহত্যা প্রতিরোধে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করে থাকে।
ইন্টারন্যাশনাল এসোসিয়েশন ফর সুইসাইড প্রিভেনশন (আইএএসপি), ওয়ার্ল্ড হেল্থ অর্গানাইজেশন (ডব্লুএইচও) এবং ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেন্টাল হেলথ (ডাব্লুএফএমএইচ) সহযোগিতায় বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস আয়োজন করা হয়ে থাকে। ২০১১ সালে আনুমানিক ৪০ টি দেশ এ উপলক্ষ্যে নজর রাখার জন্য সচেতনতা বিষয়ক কর্মসূচী পালন করেছিল।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার এক গবেষণায় দেখা গেছে, স্ক্যান্ডিনেভিয়া অঞ্চল, সুইজারল্যান্ড, জার্মানি, অস্ট্রিয়া, পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো এবং জাপানে আত্মহত্যার হার সবচেয়ে বেশি। গত ৫০ বছরে সারা পৃথিবীতে, মূলত উন্নয়নশীল দেশগুলোতে আত্মহত্যার হার শতকরা ৬০ শতাংশ বেড়েছে। সারা পৃথিবীর যত মানুষ আত্মহত্যার মাধ্যমে মৃত্যুবরণ করে, তার মধ্যে ২.০৬ শতাংশ বাংলাদেশি। বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রতি লাখে ১২৮.০৮ জন মানুষ আত্মহত্যা করে। প্রতিবছর এই সংখ্যা বাড়ছে। বাংলাদেশে প্রতিদিন ২৮ জন মানুষ আত্মহত্যা করে।
পরিসংখ্যানে আরো দেখা গেছে বাংলাদেশে প্রতিবছর গড়ে ১০ হাজার লোক আত্মহত্যা করেন, যাদের মধ্যে নারীর সংখ্যাই বেশি। বয়সের হিসেবে তরুণ-তরুণীরাই বেশি আত্মঘাতী হচ্ছেন। আত্মহত্যার চেষ্টা করে এরচেয়ে আরও ১০ গুণ বেশি।
বাংলাদেশ সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিচার্স বাংলাদেশ ২০১৩ সালে এক জরিপ চালিয়ে দেখে, প্রতিবছর দেশে গড়ে ১০ হাজার লোক আত্মহত্যা করে। প্রতি এক লাখে করেন ৭ দশমিক ৩ জন। বিভিন্ন বয়স, লিঙ্গ, পেশা এবং ভৌগোলিক অবস্থানের নিরিখে ৮ লাখ ১৯ হাজার ৪২৯ জনের ওপর সরাসরি জরিপ চালিয়ে তারা এই তথ্য প্রকাশ করে। আর শহরের চেয়ে গ্রামে আত্মহত্যার হার ১৭ গুণ বেশি। গ্রামে যারা আত্মহত্যা করে, তাদের বড় অংশ অশিক্ষিত এবং দরিদ্র। জরিপে বলা হয়, নারীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। এদের মধ্যে ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সি নারীরা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ।

Previous articleঅনিদ্রার আদৌ কোন চিকিৎসা আছে?
Next article'আত্মহত্যার সংবাদ কেমন হওয়া উচিত' বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here