বই মন খারাপ করালেও শুভবুদ্ধি জাগ্রত করে : ফরিদ আহমেদ

[int-intro]দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান সময় প্রকাশন। সৃজনশীল ও মননশীল গ্রন্থ প্রকাশ করে এই প্রতিষ্ঠানটি পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করেছে। ১৯৮৭ সালে যাত্রা শুরু করে সময় প্রকাশন। প্রতিবছরই প্রকাশ করছে সৃজনশীল ও মননশীল সমৃদ্ধ নানা বই। অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০১৮ তেও প্রকাশ করেছে ৭০ টি বই।
সময় প্রকাশনের প্রকাশক ফরিদ আহমেদের বাড়ি ময়মনসিংহে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণিবিদ্যায় পাশ করে যুক্ত হয়েছেন প্রকাশনায়। ফরিদ আহমেদ কথা বলেছেন মানসিক স্বাস্থ্য, বইপত্র, প্রকাশনা জগতসহ প্রাসঙ্গিক নানা বিষয়ে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মামুন মিজানুর রহমান।
[/int-intro]
[int-quote]ব্যর্থতা মাঝে মাঝে খুব হতাশায় ফেলে। নিজের মনে ঘটনার বিশ্লেষণ করি, হতাশা থেকে বেরিয়ে আসতে খুব একটা কসরত করি না। আত্ম-অনুশোচনা থেকে হতাশা কেটে যায়।[/int-quote]
[int-qs]কেমন আছেন?[/int-qs]
[int-ans name=”ফরিদ আহমেদ”]জ্বী, ভালো আছি।[/int-ans]
[int-qs]ভালো থাকার জন্য কী করা প্রয়োজন? আপনি কী করেন?[/int-qs]
[int-ans name=”ফরিদ আহমেদ”]ভালো থাকার জন্য সব চেয়ে প্রয়োজন মন ভালো রাখা। আর মন ভালো রাখার প্রধান শর্ত হলো, মনের উপর খারাপ প্রভাব থেকে মুক্ত থাকা। মনের উপর খারাপ প্রভাব পরতে পারে, এমন বিষয় থেকে আমি দূরে থাকার চেষ্টা করি।[/int-ans]
[int-qs]বই কীভাবে মনকে সুস্থ রাখতে পারে?[/int-qs]
[int-ans name=”ফরিদ আহমেদ”]বই মন ভালো ও খারাপ, ‍দুটিই করতে পারে। বই মন খারাপ করে, কিন্তু এর মাধ্যমে শুভ বুদ্ধি জাগ্রত করে। বই মন ভালো ও খারাপ করে, দুটিই ইতিবাচকভাবে করে। এছাড়া বইয়ে কারো সাফল্য পড়লে মন ভালো হয়।[/int-ans]
[int-qs]স্মৃতিকাতরতায় ভোগেন?[/int-qs]
[int-ans name=”ফরিদ আহমেদ”]খুব বেশিই ভুগি। নিকটস্মৃতি দ্বারা সব চেয়ে বেশি স্মৃতিকাতর হই, মানসিক যন্ত্রনায় ভুগি। কোনো কাজ ভুল হলে সেটার স্মৃতি বেশি পীড়া দেয়। এছাড়া নানা সময় খণ্ড খণ্ড নানা স্মৃতি খুব বেশি জেগে ওঠে। আনন্দের স্মৃতির চেয়ে বিষাদের স্মৃতি আমাকে বেশি তাড়া করে।[/int-ans]
[int-qs]স্বপ্ন দেখেন? কী ধরনের স্বপ্ন?[/int-qs]
[int-ans name=”ফরিদ আহমেদ”]হ্যাঁ, দেখি। আমার স্বপ্নগুলো সাধারণত সমসাময়িক স্মৃতি থেকে তৈরি হয়। সমসাময়িক কাজ ও সমস্যা সংক্রান্ত স্বপ্ন দেখি। মৃত আত্মীয়দেরও স্বপ্ন দেখি, বেশিই দেখি। কিছু কিছু স্বপ্ন খুব অবাক করা অর্থবহ হয় আমার কাছে।[/int-ans]
[int-qs]রাগেন? কেন রাগেন?[/int-qs]
[int-ans name=”ফরিদ আহমেদ”]দ্রুতই রেগে যাই। রেগে গেলে যে আচরণ করি, সেটা সেদিনের জন্য আমাকে বিষণ্ন করে রাখে। রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটে সাধারণত রুঢ়তার মাধ্যমে, এই রুঢ়তা সারাদিন বিষণ্ন করে রাখে। মিথ্যা কথা, চালাকি, স্বার্থপরতা দেখলে রেগে যাই। আপনজনদের বোকামি দেখলে রেগে যাই।[/int-ans]
[int-qs]কীভাবে রাগ দমন করা যেতে পারে?[/int-qs]
[int-ans name=”ফরিদ আহমেদ”]এটা খুব বড় গুণ। তবে রাগ দমন না করাই শ্রেয়। রাগ দমন করলে বর্ণচোরা ভাব হয় নিজের মধ্যে, এটা বোধহয় ভালো নয়।[/int-ans]
[int-qs]হতাশায় ভোগেন?[/int-qs]
[int-ans name=”ফরিদ আহমেদ”]ব্যর্থতা মাঝে মাঝে খুব হতাশায় ফেলে। নিজের মনে ঘটনার বিশ্লেষণ করি, হতাশা থেকে বেরিয়ে আসতে খুব একটা কসরত করি না। আত্ম-অনুশোচনা থেকে হতাশা কেটে যায়।[/int-ans]
[int-qs]মনের যত্ন কীভাবে নেওয়া উচিত?[/int-qs]
[int-ans name=”ফরিদ আহমেদ”]আমি নিজে মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই, বরং প্রশ্ন রয়েছে।[/int-ans]
[int-qs]কী ধরনের ভাবনা থেকে প্রকাশনা ব্যবসায় যুক্ত হলেন?[/int-qs]
[int-ans name=”ফরিদ আহমেদ”]প্রায় ৩ দশক আগে প্রকাশনায় আসি ১৯৮৭ সালে। তখন ব্যবসা হিসেবে শুরু করিনি। এখন প্রেক্ষাপট ভিন্ন। ‘অধুনা’ নামে একটা পত্রিকা প্রকাশ করতাম, সম্পাদনা করতেন কবি শামসুর রাহমান। সেই পত্রিকা করতে গিয়ে রাহমান ভাইয়ের পরামর্শে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান শুরু করি।[/int-ans]
[int-qs]শৈশবে কী হতে চেয়েছিলেন?[/int-qs]
[int-ans name=”ফরিদ আহমেদ”]বিশেষ কিছু হতে চাইতাম কি-না, মনে পরছে না। ছোটবেলা থেকে আমি শিশুসংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলাম, তখন থেকেই আমার মধ্যে বোধহয় সমাজসেবার মানসিকতা ছিলো।[/int-ans]
[int-qs]প্রকাশনা ব্যবসা শুরু করতে হলে কী ধরনের মানসিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা প্রয়োজন?[/int-qs]
[int-ans name=”ফরিদ আহমেদ”]প্রকাশনা আগে ব্যবসা ছিলো না খুব একটা, এখন ব্যবসা। প্রকাশনায় ব্যবসার উদ্দেশ্যে আসলেও সাহিত্যের প্রতি আলাদা নেশা না থাকলে এই পেশা ভালো লাগবে না। আবার শুধু সাহিত্যপ্রেমী হলেই হবে না, একই সাথে ব্যবসাও ভালো বুঝতে হবে।[/int-ans]
[int-qs]আপনাকে ধন্যবাদ।[/int-qs]
[int-ans name=”ফরিদ আহমেদ”]আপনাকেও ধন্যবাদ।[/int-ans]

Previous articleহস্তমৈথুন নিজে কোনো সমস্যা নয়
Next articleকীভাবে বুঝবেন যে বিষণ্নতা থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছেন?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here