প্রতিটা মানুষই একজন বিশেষ মানুষ: আবৃত্তি শিল্পী মোঃ আহ্‌কাম উল্লাহ্‌

[int-intro]শক্তিমান আবৃত্তি শিল্পী তিনি। কবিতার মাঝেই খুঁজে পান জীবনের ধ্বনি। নিজেকে ভীষণ রাগী এবং আবেগী মনে করেন। তিনি চান একজন পরিপূর্ণ মানুষ হতে। তিনি মোঃ আহ্‌কাম উল্লাহ্‌। মনেরখবর পাঠকের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানাচ্ছেন তাঁর ভালোলাগার কথা, ভালো থাকার কথা, স্বপ্নের কথা, আশার কথা, কল্পনার কথা, জীবন বোধের কথা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মুহাম্মদ মামুন [/int-intro]
[int-qs]কেমন আছেন?[/int-qs]
[int-ans name=”মোঃ আহ্‌কাম উল্লাহ্‌”]এইতো ভালো আছি।[/int-ans]
[int-qs]ভালো থাকার জন্য কী করেন?[/int-qs]
[int-ans name=”মোঃ আহ্‌কাম উল্লাহ্‌”]ভালো থাকার জন্যই সবকিছু করি। যা যা করি সব ভালো থাকার জন্যই। ভালো থাকার জন্য কাজ করি, ভালো থাকার জন্য সংস্কৃতি চর্চা করি, ভালো থাকার জন্য রাজনীতি করি, ভালো থাকার জন্য ব্যবসা করি, ভালো থাকার জন্য পরিবারের সাথে সময় কাটাই, বাচ্চাদের সাথে সময় কাটাই, বন্ধুদের সাথে সময় কাটাই। সবকিছু ভালো থাকার জন্যই করি।[/int-ans]
[int-qs]কোন জিনিষগুলো আপনাকে ভালো থাকতে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করে?[/int-qs]
[int-ans name=”মোঃ আহ্‌কাম উল্লাহ্‌”]একটা হচ্ছে শারীরিক ও মানসিক ভাবে সুস্থ থাকা। আরেকটি হলো রাজনৈতিক ভাবে ভালো থাকা। গণতান্ত্রিক একটা পরিবেশে থাকা, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির ক্ষমতায় থাকা। এই যে আজ স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচার হচ্ছে এরপর আমার কিছু চাওয়া পাওয়ার হিসেব যদি নাও মেলে তারপরও আমি বলবো- আমি ভালো আছি। যদি দেখি প্রতিদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হচ্ছে, কবিতার চর্চা হচ্ছে তাহলে বলবো- আমি ভালো আছি। সামষ্টিক ভালো থাকার মধ্যেই আমি ভালো থাকি। [/int-ans]
[int-quote]স্বপ্নটা হলো আশা। স্বপ্ন হচ্ছে আশার ধারাবাহিকতা। কর্মটা হচ্ছে স্বপ্নের বাস্তবায়নের ধাপ। কিভাবে ঐ আশাটাকে আমি বাস্তবায়িত করব সেটা হচ্ছে স্বপ্ন।[/int-quote]
[int-qs]কবিতার ভালোলাগাটা কোথায়?[/int-qs]
[int-ans name=”মোঃ আহ্‌কাম উল্লাহ্‌”]কবিতা তো আমার কাছে জীবন। কবিতা আমার কাছে দর্শন, কবিতা আমার কাছে ভালোবাসা, কবিতা আমার কাছে সংগ্রাম, কবিতা আমার কাছে প্রেম, কবিতা আমার কাছে সন্তান, কবিতা আমার কাছে শৈশব কৈশোর, কবিতা আমার কাছে যৌবন। কবিতা আমার কাছে সব। [/int-ans]
[int-qs]কবিতা কি মানুষকে ভালো রাখতে পারে?[/int-qs]
[int-ans name=”মোঃ আহ্‌কাম উল্লাহ্‌”]কবিতাই মানুষকে ভালো রাখে। কবিতায় যেভাবে মানুষ ভালো থাকে সাহিত্যের অন্য কোনো শাখা মানুষকে সেভাবে ভালো রাখতে পারে না। কবিতায় যেভাবে প্রকাশিত হয় মানুষের ভালোলাগা, আবেগ, অনুভূতি। সাহিত্যের আর কোন জায়গায় সেভাবে প্রকাশিত হয় না। কবিতা প্রতিনিয়ত আবিষ্কারের। একেক কবিতা একেক সময় একেক অনুভূতি তৈরি করে। [/int-ans]
[int-qs]এই মুহুর্তে মনে পড়া প্রিয় কবিতার চারটি লাইন শুনতে চাই[/int-qs]
[int-ans name=”মোঃ আহ্‌কাম উল্লাহ্‌”]বৃষ্টির মাঝে এখন ভরা সন্ধ্যায় যে কবিতাটি মনে পড়ছে সেটি হলো রবীন্দ্রনাথের-
যদিও সন্ধ্যা আসিছে মন্দ মন্থরে,
সব সংগীত গেছে ইঙ্গিতে থামিয়া,
যদিও সঙ্গী নাহি অনন্ত অম্বরে,
যদিও ক্লান্তি আসিছে অঙ্গে নামিয়া,
মহা-আশঙ্কা জপিছে মৌন মন্তরে,
দিক্‌-দিগন্ত অবগুণ্ঠনে ঢাকা—
তবু বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর,
এখনি, অন্ধ, বন্ধ কোরো না পাখা।[/int-ans]
[int-qs]স্বপ্ন দেখেন?[/int-qs]
[int-ans name=”মোঃ আহ্‌কাম উল্লাহ্‌”]প্রতিনিয়ত স্বপ্ন দেখি। স্বপ্ন ছাড়া তো মানুষ বাঁচতেই পারে না। প্রতিদিন স্বপ্ন দেখি, প্রতিদিন স্বপ্ন পূরণের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে কাজ করি। স্বপ্ন পূরণ হোক বা না হোক, একদিকে স্বপ্ন পূরণের সংগ্রাম চলতে থাকে, অপরদিকে আরেকটি নতুন স্বপ্নের সূচনা হয়। [/int-ans]
[int-qs]স্বপ্ন কি শুধুই কল্পনা?[/int-qs]
[int-ans name=”মোঃ আহ্‌কাম উল্লাহ্‌”]স্বপ্ন কখনই অলীক কল্পনা নয়। স্বপ্ন যদি অলিক কল্পনা হয় তাহলে সেটা মানসিক রোগ তৈরি করবে। স্বপ্ন সবসময়ই বাস্তবের সাথে সম্পৃক্ত থাকে। স্বপ্ন মানুষকে বাস্তবতার জায়গাতেই রাখে।[/int-ans]
[int-qs]অর্থাৎ স্বপ্ন দেখাটা জরুরি?[/int-qs]
[int-ans name=”মোঃ আহ্‌কাম উল্লাহ্‌”]হ্যাঁ, স্বপ্নটা হলো আশা। স্বপ্ন হচ্ছে আশার ধারাবাহিকতা। কর্মটা হচ্ছে স্বপ্নের বাস্তবায়নের ধাপ। কিভাবে ঐ আশাটাকে আমি বাস্তবায়িত করব সেটা হচ্ছে স্বপ্ন। [/int-ans]
[int-qs]একটি অপূর্ণ ইচ্ছার কথা বলবেন কি?[/int-qs]
[int-ans name=”মোঃ আহ্‌কাম উল্লাহ্‌”]পরিপূর্ণ মানুষ হওয়া। একটা বড় স্বপ্ন হলো একদিন পরিপূর্ণ মানুষ হব। কিন্তু সেটা এখনও হতে পারিনি। [/int-ans]
[int-img name=””]https://monerkhabor.com/wp-content/uploads/2016/06/13138885_694765433995176_9123100022387726413_n.jpg[/int-img]
[int-qs]রাগ হয়?[/int-qs]
[int-ans name=”মোঃ আহ্‌কাম উল্লাহ্‌”]ভীষণ রাগ হয়। [/int-ans]
[int-qs]রাগ হলে কি করেন?[/int-qs]
[int-ans name=”মোঃ আহ্‌কাম উল্লাহ্‌”]’’’রেগে গিয়ে অনেক কিছু করি। রাগ হলে ধারাবাহিক স্বপ্নটা আমি দেখতে পারি না, সেভাবে কাজ করতে পারি না। এটা আমার চরিত্রের একটি দূর্বল দিকও বটে। আমি ভীষণ রকম গোছানো মানুষ, সেই গোছানো কাজে কোনো ছেদ আমি পছন্দ করি না। আমি মনে করি একটি কাজ পরিপূর্ণ ভাবে গোছানোর জন্য ধারাবাহিক কিছু স্টেপ থাকে। সেই স্টেপের কোথাও যদি কোনো ছেদ পড়ে তাহলে আমার কাছে মনে হয় যে এটি ঠিক হচ্ছে না। আমি তখন রেগে যায়। এই রাগ হওয়ার ফলে ঐ ভুলটা বারবার হতে থাকে। কিন্তু আমি যদি রাগটাকে নিয়ন্ত্রণ করে আবার আগের জায়গায় ফিরে আসতে পারি তাহলেই কাজটা পরিপূর্ণ হয়। তবে আমার সমস্যা হলো খুব দ্রুত আগের জায়গায় ফিরে আসতে আমার সমস্যা হয়। [/int-ans]
[int-qs]রাগ নিয়ন্ত্রণের জন্য কি করেন?[/int-qs]
[int-ans name=”মোঃ আহ্‌কাম উল্লাহ্‌”]রাগ নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্দিষ্ট কোন পরিকল্পনা নেই, একেক সময় একেক পরিকল্পনা কাজ করে। ইদানিং রাগ নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি কাজ করি। তা হলো, ঐ মুহুর্তে ঐ জায়গা থেকে সরে যাই। সাধারণত আমি চেষ্টা করি ঐ ভাবনাটা থেকে সরে যেতে, একটু অন্য জায়গায় যেতে অন্য ভাবনায় প্রবেশ করি। তারপরও অবশ্য ঐ ভাবটা চলে আসে। তারপর ঐ স্থানটা ত্যাগ করি।[/int-ans]
[int-qs]ব্যক্তিগত দূর্বল দিক কোনটি?[/int-qs]
[int-ans name=”মোঃ আহ্‌কাম উল্লাহ্‌”]ইমোশন। ভীষণ ইমোশনাল মানুষ আমি। বলা যায় আমার জীবনটা আবেগতাড়িত। অবশ্য এটি আমার সক্ষমতার জায়গাও। কিন্তু মাঝে মাঝে মনে হয় এই জায়গাটাতে ইমোশনাল না হয়ে আরেকটু লজিক্যালি ভাবলে ভালো করতাম। [/int-ans]
[int-qs]আরেকটা জীবন পেলে কিভাবে শুরু করতেন?[/int-qs]
[int-ans name=”মোঃ আহ্‌কাম উল্লাহ্‌”]জানিনা, এখন পর্যন্ত আমার মনে হয় যা করেছি বা যা পেয়েছি সব ঠিকই আছে। আরেকটি জীবন পেলে হয়তো ইমোশনাল না হয়ে বিষয়গুলো আরেকটু লজিক্যালি বিবেচনা করতাম। তবে যা কিছু পেয়েছি বা যা কিছু হয়েছি এখন পর্যন্ত ভীষণ খুশি এবং সুখী মানুষ আমি। [/int-ans]
[int-qs]হিংসা আছে?[/int-qs]
[int-ans name=”মোঃ আহ্‌কাম উল্লাহ্‌”]না, একদম নেই। কারো পরিপূর্ণতা আমাকে সুখি করে এবং সেটিকে উদাহরণ হিসেবে মানুষের কাছে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। [/int-ans]
[int-qs]মন খারাপ হয়?[/int-qs]
[int-ans name=”মোঃ আহ্‌কাম উল্লাহ্‌”]হ্যাঁ, মন খারাপ হয়।[/int-ans]
[int-qs]মন খারাপ হলে কি করেন?[/int-qs]
[int-ans name=”মোঃ আহ্‌কাম উল্লাহ্‌”]মন খারাপ হলে মন ভালো করার চেষ্টা করি। মন খারাপ হলে গান শুনি, মন খারাপ হলে বই পড়ি, মন খারাপ হলে কবিতা পড়ি, মন খারাপ হলে বন্ধুদের কাছে চলে যাই, আমার কখনও মন খারাপ হলে একা বসে থাকি। [/int-ans]
[int-qs]মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়েছেন কখনও?[/int-qs]
[int-ans name=”মোঃ আহ্‌কাম উল্লাহ্‌”]না, সেই অর্থে হইনি। তবে প্রতিটা মানুষেরই চিন্তার জগতে, মনোজগতে কিছু না কিছু সমস্যা থাকেই । এটা জীবনেরই একটা অনুসঙ্গ। কেউ কেউ এটা বুঝতে পারে, কেউ কেউ এটা বুঝতে পারে না। যখন এটা আমি বুঝতে পারবো যে আমার চিন্তার জগতের সমস্যা তখন চেষ্টা করবো সেটাকে দূর করতে। যদি সম্ভব না হয় তখন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেব। এবং এটাই হওয়া উচিত।[/int-ans]
[int-qs]আপনার জীবনে আপনার কর্মে মানসিক শক্তির প্রভাবটা কতটুকু?[/int-qs]
[int-ans name=”মোঃ আহ্‌কাম উল্লাহ্‌”]প্রতিটা মানুষের চলার শক্তি আসলে মানসিক শক্তি। সকালবেলা যখন সূর্য উঠে তখন আমরা কাজে নামি। ভোরের সূর্যটা শক্তির উৎস। আমি কাজে নামছি আমার শক্তি নিয়ে, এটিই আমার চিন্তা। সন্ধ্যার সূর্যাস্তের সাথে বিশ্রামের একটি সম্পর্ক আছে যা আমাকে ঘুমাতে যাওয়া ইঙ্গিত দেয়। তখন আমরা বুঝতে পারি জীবনীশক্তি ও চিন্তার একটি সম্পর্ক আছে। কাজ ও বিশ্রামের একটি সম্পর্ক আছে। এর সবই আসলে চিন্তার আলোড়ন, এর সবই মানুষের চিন্তা। [/int-ans]
[int-qs]অবসরে কি করেন?[/int-qs]
[int-ans name=”মোঃ আহ্‌কাম উল্লাহ্‌”]অবসর বলে কিছু নেই আসলে। আমি যদি ছবি দেখি একটা তাহলে সেটিও আমার কাজ, আমি বই পড়ছি, লিখছি সেটিও আমার কাজ। আমি আমার পরিবারকে সময় দিচ্ছি, বাচ্চার সাথে খেলা করছি সেটিও আমার কাজ। পরিবার নিয়ে বেড়াতে যাই স্ত্রীর সঙ্গে সময় কাটাই সেটিও তো আমার কাজই। মানুষের জীবনে অবসর বলে কিছু নেই, জন্মের মধ্য দিয়ে কাজের শুরু হয়, মৃত্যুর মধ্য দিয়ে অবসর হয়। [/int-ans]
[int-qs]সময়ের সাথে সাথে মানুষ অসহিষ্ণু হয়ে যাচ্ছে। এর কারণ কি বলে মনে করেন?[/int-qs]
[int-ans name=”মোঃ আহ্‌কাম উল্লাহ্‌”]মানুষ প্রতিটি ধাপ পেড়িয়ে বা যথার্থ ধাপগুলো পেড়িয়ে মানুষের যখন একটি জিনিষ অর্জন করতে হয়, এমতাবস্থায় মানুষ যখন যথার্থ ধাপগুলো না পেড়িয়ে একটি জিনিষ অর্জন করতে চায় তখনই মানুষ অসহিষ্ণু হয়। যেমন, আমাদের সমাজে খুব দ্রুত স্টার হওয়ার একটি প্রবণতা তৈরি হয়েছে। রাজনীতি শুরু করেই নেতা হতে হবে, সাংবাদিকতা শুরু করেই দ্রুত স্টার সাংবাদিক হতে চায়, পুলিশে জয়েন করেই দ্রুত উপরে উঠার চেষ্টা করে, ডাক্তারি শুরু করেই দ্রুত নিজের চেম্বার তৈরি করতে চায়, ইঞ্জিনিয়ারিং শুরু করেই তার দ্রুত একটি কনসালটেন্সি ফার্ম হতে হবে, ব্যবসা শুরু করেই কোটিপতি হতে চায়। যে যেই সেক্টরে কাজ শুরু করেছে, শুরু করেই সে সেই সেক্টরের প্রধান হতে চায় বা নাম্বার ওয়ান হতে চায়। এই নাম্বার ওয়ান হতে চাওয়ার প্রবণতা থেকে মানুষের মধ্যে অসহিষ্ণুতার তৈরি হয়।[/int-ans]
[int-qs]এই অসহিষ্ণুতা থেকে উত্তরণের পথ কি বলে মনে করেন?[/int-qs]
[int-ans name=”মোঃ আহ্‌কাম উল্লাহ্‌”]এর জন্য প্রয়োজন আমাদের মৌলিক শিক্ষা। যে শিক্ষাটা আসতে হবে পরিবার থেকে। যেমন বর্তমানে একটা প্রবণতা তৈরি হয়েছে এ প্লাস পাওয়া। মূল শিক্ষায় শিক্ষিত না হয়ে শুধু এ প্লাস পেলে যে ভালো কিছু হবে না সেটি আমাদের সন্তানদের বোঝাতে হবে। কিন্তু আমরা অভিবাবকরা কি করি, বাচ্চাদের চাপ দেই যেকোনো ভাবে হোক এ প্লাস আনতে হবে। আমাদের এই মানসিকতার পরিবর্তন আনতে হবে। আবার আমার সন্তান কি পড়ছে কি শিখছে সেটা আমরা জানিনা, তিন মাস পরপর শুধু তার প্রগ্রেস রিপোর্টটা দেখছি যে সে কি এ প্লাস পাচ্ছে নাকি পাচ্ছে না। এভাবে তো একটা সন্তানের শিক্ষা হতে পারে না। বাচ্চাদের শেখাতে হবে ভাষা, গণিত, বিজ্ঞান, এসব শিখতে হবে জানতে হবে জীবনের জন্য, এ প্লাস পাওয়ার জন্য নয়। [/int-ans]
[int-qs]মনেরখবর পাঠকদের উদ্দেশ্যে কিছু বলুন।[/int-qs]
[int-ans name=”মোঃ আহ্‌কাম উল্লাহ্‌”]পাঠকদের উদ্দেশ্যে বলব, ভালো থাকুক সবাই। হাসতে পারাটা জীবনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মানুষকে শোনা এবং মানুষকে গুরুত্ব দেয়াটা খুব জরুরি। মানুষকে গুরুত্ব দিলে সে হাসবে খুশি হবে। কোন মানুষকেই কখনও খাটো দেখা উচিত নয়, সৃষ্টিকর্তা প্রতিটা মানুষকে আলাদা বিশেষত্ব দিয়ে তৈরি করেছেন। সেই বিশেষত্বটা যদি আবিষ্কার করা যায় তাহলে প্রতিটা মানুষই আসলে একেকজন বিশেষ মানুষ। [/int-ans]
[int-qs]ধন্যবাদ ব্যস্ততার মাঝেও মনেরখবরে সময় দেয়ার জন্য।[/int-qs]
[int-ans name=”মোঃ আহ্‌কাম উল্লাহ্‌”]ধন্যবাদ মনেরখবরের সকলকে। [/int-ans]
[int-quote]অবসর বলে কিছু নেই আসলে। আমি যদি ছবি দেখি একটা তাহলে সেটিও আমার কাজ, আমি বই পড়ছি, লিখছি সেটিও আমার কাজ। আমি আমার পরিবারকে সময় দিচ্ছি, বাচ্চার সাথে খেলা করছি সেটিও আমার কাজ। পরিবার নিয়ে বেড়াতে যাই স্ত্রীর সঙ্গে সময় কাটাই সেটিও তো আমার কাজই। মানুষের জীবনে অবসর বলে কিছু নেই, জন্মের মধ্য দিয়ে কাজের শুরু হয়, মৃত্যুর মধ্য দিয়ে অবসর হয়।[/int-quote]

Previous articleবাসটি সাইকেলটিকে ধাক্কা দেয় তখন আমি সেই ধাক্কার আওয়াজ ও বাচ্চাদের চিৎকার শুনতে পাই
Next articleস্ট্রেস- ৫ম পর্ব: প্রভাব

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here