‘জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য নীতি- ২০২২’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এটা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। এটা বিশ্বব্যাপী একটা ট্রেন্ড যে মানসিক স্বাস্থ্য ছাড়া স্বাস্থ্যসেবা অসম্পূর্ণ। সুতরাং যখনই স্বাস্থ্যের কথা আসবে তখনই মানসিক স্বাস্থ্যের কথা আসবে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এটা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য জরিপের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের যেটা সার্ভে আছে সেখানে দেখা যায় যে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ১৮ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ এবং শিশু-কিশোরদের মধ্যে প্রায় ১২ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ মানুষ মানসিক রোগে ভুগছেন। এ সংখ্যাকে এড্রেস করা দরকার। সেজন্য মানসিক স্বাস্থ্যের প্রয়োজনীয়তা ও সেই সেবাপ্রাপ্তি কীভাবে সহজ করা যায়, মাঠপর্যায়ে কীভাবে অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায় এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে কীভাবে তাদেরও সমাজ জীবনের অংশ করা যায় সেজন্য এ স্বাস্থ্যনীতিটা।’
বিশেষজ্ঞদের নিয়ে দল গঠন করে, তাদের মতামত নিয়ে খসড়া আইনটি করা হয়েছে বলেও জানান খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, ‘জাতিসংঘের ইউএনসিআরপিডি’ তাদের কনভেনশন আছে যে, মানসিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মানবাধিকার বিষয়টিকে যেন বিবেচনা করা হয়। সেজন্য এ নীতিমালাটি নিয়ে আসা হয়েছে।’
এদিকে, মন্ত্রীসভায় এ খসড়া অনুমোদন দেওয়াতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন দেশের মানসিক স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা। এই নীতিমালা বাস্তবায়ন হলে তা দেশের মানসিক স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তারা।
স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে