খেলাধুলা মনের খোরাক

0
93

খেলাধুলাকে বলা হয় মনের খোরাক। শারীরিক সুস্থতার অন্যতম প্রদায়ক হলো মন। আর এই মন ভালো রাখতে হলে দরকার খেলাধুলার মতো বিনোদনের। এতে শারীরিক পরিশ্রম হয় ঠিকই তবে মানসিক প্রশান্তি দেয় তার চেয়ে বহুগুণ বেশি। সত্যি বলতে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক বড় একটি পথ এটি।

আমি যখন খেলাধুলা শুরু করি তখন টাকা পয়সাকে বড় করে দেখিনি, দেখেছিলাম খেলাকে। তাই খেলাই আমাকে বড় হতে সাহায্য করেছে।
প্রতিটি মানুষের উচিত খেলাধুলা করা।  মানুষের শত ব্যস্ততার মাঝে রিফ্রেশমেন্ট দরকার। এ  ক্ষেত্রে খেলাধুলা মনের খোরাক হিসাবে কাজ করে। আর খেলাই পারে তাকে সেই গন্তব্যের সন্ধান দিতে।মন যদি ভালো থাকে সব কিছুই ভালো লাগে।সব সিদ্ধান্ত মূলত ওখান থেকেই আসে।
টিনএজ বাচ্চাদের স্বাধীনচেতা মনকে পূর্ণতার খোরাক দিতে পারে খেলা। এছাড়া খেলাধুলা করলে তার একটি নিজস্ব সার্কেল তৈরি হবে। সে তার খেলার সাথীদের সাথে খেলবে, মন খুলে কথা বললে আর এর ফলে সে পাবে মানসিক প্রশান্তি। এতে চিন্তা এবং যে কোনো বিষয় অন্যের সঙ্গে ভাগাভাগিরও অভ্যাস গড়ে উঠবে। মনের দিকে খেয়াল না রাখলে কখন যে মনের অজান্তে বাচ্চারা বড় ভুল করে বসবে কে জানে। একটি মানুষ যখন খেলার মাধ্যমে একটি পরিমিত জীবন যাপন করবে তখন তার মানসিক অবস্থা অবশ্যই ভালো থাকবে।
আরেকটি বিষয় হলো বড় ধরনের অপরাধ ও খারাপ কাজ থেকে মানুষ বিরত থাকে খেলার কারণেই। খেলাধুলা করলে তার সঠিক মানসিকতা বিকশিত হয়। সে অপরাধের পথে পা বাড়ায় না। বর্তমান সমাজে অনেক মানুষ মানসিক যন্ত্রণায় দিনাতিপাত করেন। এটি একটি মানুষের মনের উপর অনেক বেশি প্রভার বিস্তার করে। এখান থেকে মুক্তির অন্যতম উপায় হলো খেলা। মন ও খেলা এক কথায় বলতে গেলে একই সুতোয় গাঁথা বলেই মনে হয় আমার।

লেখক
জোবেরা রহমান লিনু।
বাংলাদেশের প্রখ্যাত টেবিল টেনিস খেলোয়াড়। ১৯৭৭ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ১৬ বার জাতীয়টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এ তার নাম উঠেছে। এছাড়া প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে তার নামই গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে ঠাঁই পেয়েছে।

Previous articleফোন স্মার্ট মানুষ আনস্মার্ট
Next articleশিশুদের আত্মমর্যাদাবোধ তৈরিতে পিতা-মাতার ভূমিকা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here