আমি নেশা থেকে মুক্ত থাকতে চাই

0
140

সমস্যা: আমার বয়স ২৯ বছর। প্রায় আট-নয় বছর যাবৎ আমি বিভিন্ন ধরনের নেশা গ্রহন করছি। আমি নেশা থেকে মুক্ত থাকতে চাই। বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও নেশা ছাড়তে পারিনি। এ বিষয়ে আপনাদের পরামর্শ চাই। আমার চিকিৎসা হয়েছে মাদক ছাড়ার জন্য, সেখান থেকে আমি সুস্থ হয়ে এসেও এবার শুধু মানসিক দুর্বলতার জন্য আবার নেশা ধরেছি । – মুন, নারায়নগঞ্জ।

পরামর্শ: নেশা ছাড়ার আগ্রহ প্রকাশের জন্য প্রথমেই অনেক সাধুবাদ। নেশা করা বা নেশা থেকে মুক্ত থাকার বিষয়টি আসলে মানসিক দুর্বলতা বা সবলতার বিষয় নয়। এটি জানা-শুনা-বোঝা এবং কতগুলো নিয়ম কানুন মানা-না মানার বিষয়। সেই সাথে মনে রাখতে হবে, কেউ যখন নেশাতে আসক্ত হয়েই যায় তখন সেটা রোগ। একটি অসুখ। তখন সেটা শুধু মাত্র একটি অভ্যাস বা সাধারণ আচরনের ভিতর সীমাবদ্ধ থাকেনা। বিষয়টিকে অসুখ হিসেবেই দেখতে হবে। মানসিক দুর্বলতা-সবলতার বিষয় নয়। তাহলে তো পৃথিবীতে মানসিক ভাবে সবল কোন মানুষই নেশায় জড়িয়ে পরতেন না।
আপনি আবার নেশায় জড়িয়ে পড়ার কারনগুলো নিজে নিজে ব্যাখ্যা বা খেয়াল করে দেখুন। যা যা, যেভাবে

আপনার করার কথা ছিলো আপনি সেসব ঠিক মতো পালন করেছেন কিনা? মনে রাখবেন, সব অসুখের জন্যই কমন কিছু বিষয় এবং নিয়ম আছে। যেমন; অসুস্থ হলে চিকিৎসা করাতে হয়। আবার অসুস্থ না হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু বিষয় বা নিয়ম মনে রাখতে হয়, মানতে হয়। পুনরায় যাতে একই সমস্যায় আবার পড়তে না হয়, সেটাও মনে রাখতে হয়, তার জন্যও কিছু নিয়ম-কানুন চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হয়। আর নেশাকে বলা হয় দীর্ঘমেয়াদী রোগ। যার চিকিৎসা শুধুমাত্র হাসপাতালে থাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। কোনো কোনো চিকিৎসা পদ্ধতি বলে, নেশার চিকিৎসা কমপক্ষে তিন বছর চালিয়ে যাওয়া উচিত।

এ ব্যাপারে আরেকটি বিষয়ও খুবই জরুরী সেটি হলো, পরিবারের সম্পৃক্ততা। নির্দিষ্ট সময়ে ফলো-আপ করা, নেশা জড়িয়ে যাওয়ার নির্দিষ্ট কারন খেয়াল করা এবং সেসব থেকে দূরে থাকা, বিনোদনের গ্রহনযোগ্য পদ্ধতিগুলি বাছাই করা এবং সেই মতো সেসব উপেভোগ করা। হাসপাতাল থেকে ফিরে এসে ভালো হয়ে গেছি মনে করেই কেউ আর প্রয়োজনীয় কাজটি করেন না, ফলো-আপটি করেননা। তাতেই সমস্যা বাধে।
সুতরাং চিকিৎসার ভেতর আসা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তার থেকে বেশী গুরুত্বপূর্ণ সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ফলো-আপ করা ও বিষয়গুলো মনে রেখে যে অনুযায়ী চলা। আপনাকে অনুরোধ করবো আপনার জানা বিষয়গুলিকে নিয়মের মধ্যে আনতে এবং অবশ্যই কোনো একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে তাঁর উপদেশ বা পরামর্শ অনুযায়ী চলতে।

পরামর্শ দিয়েছেন অধ্যাপক ডা. সালাহউদ্দিন কাউসার বিপ্লব।

স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে

Previous articleকরোনার বিস্তার নিয়ে নতুন গবেষণা যা বলছে
Next articleযেসব কারণে বুদ্ধির সমস্যা তৈরি হয়

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here