মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নান্দনিক মানসিকতার ভূমিকা

0
34
মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নান্দনিক মানসিকতার ভূমিকা। ছবিঃ ইন্টারনেট

নান্দনিক অভিজ্ঞতা আমাদেরকে দৈনন্দিন বিভিন্ন মানসিক চাপ সৃষ্টিকারী অনাকাঙ্ক্ষিত নেতিবাচক অনুভূতি থেকে দূরে রাখে।

একজন নান্দনিক মানসিকতা সম্পন্ন মানুষ তার চারপাশের সব কিছুর মধ্যেই সৌন্দর্য এবং নান্দনিকতা উপভোগ করতে পারেন। এই সৌন্দর্য তিনি যেকোন বস্তুর মাঝে, প্রকৃতিতে, কোন ডিজাইনে, মানুষের মাঝে, পাছপালা কিংবা পশু পাখির মাঝে, ছবিতে, স্থাপনায় কিংবা সামাজিক উৎসবে খুঁজে পেতে পারেন।

মনস্তাত্ত্বিকদের মতে, মানুষ যখন তার চারদিকে এমন আনন্দদায়ক সুন্দরের উপস্থিতি অনুভব করতে পারেন তখন তার মাঝে সব ধরণের নেতিবাচক অনুভূতি হ্রাস পায় এবং মানসিক প্রশান্তি বৃদ্ধি পায়। ফলে তার মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং দৈনন্দিন জীবনে আসা শোক, তাপ, বিপদ সব নেতিবাচক পরিস্থিতি সে ইতিবাচক মানসিকতার সাথে মোকাবেলা করতে পারে।

নিচে নান্দনিক মানসিকতা সম্পন্ন হওয়ার কিছু ইতিবাচক দিক তুলে ধরা হল-

নান্দনিকতা বোধ মন ভালো রাখে

মানুষের মাঝে যখন সব কিছুর মাঝে সুন্দর কিছু খুঁজে পাওয়ার মানসিকতা থাকে তখন চার পাশের সব কিছুই তার মনে আনন্দ প্রদান করতে পারে। তাই অন্যান্যদের তুলনায় তার মন অধিকাংশ সময়েই ভালো থাকে এবং তিনি আনন্দে থাকতে পারেন।

নান্দনিকতা বোধ ইতিবাচক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে

নান্দনিক মানসিকতা সম্পন্ন একজন মানুষ তার যেকোন সিদ্ধান্ত নেতিবাচক প্রভাব মুক্ত থেকে নিতে পারেন। যেহেতু তিনি মানসিক প্রশান্তি থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, তাই ইতিবাচক সিদ্ধান্ত গ্রহণ তার জন্য সহজতর হয়।

নান্দনিক মানসিকতা মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা হ্রাস করে

যখন একজন মানুষ সব কিছুর মাঝেই মানসিক প্রশান্তিদায়ক বৈশিষ্ট্য খুঁজে পেতে পারে তখন জীবনে আসা বিভিন্ন ধরণের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলির ফলে সৃষ্টি হওয়া মানসিক চাপ, উদ্বিগ্নতা, বিষণ্নতা, হতাশা কিংবা অন্য যেকোন ধরণের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা কম হয়।

নান্দনিক মানসিকতা সামনে এগিয়ে চলার প্রেরণা দেয়

নান্দনিক মানসিকতা সম্পন্ন একজন মানুষ জীবনের সব বাধা বিপত্তি কাটিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে পারে। কারণ তার মাঝে বিপদ মোকাবেলা করার বা নেতিবাচক অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার পর্যাপ্ত মানসিক ইতিবাচক শক্তি বিদ্যমান থাকে। আর তার এই নান্দনিক মনোভাবই তার সামনে এগিয়ে চলার প্রেরণা হয়ে ওঠে।

নান্দনিক মানসিকতা সম্পন্ন মানুষ অন্যদেরকে আনন্দ প্রদান করতে পারে

যে মানুষ নিজে আনন্দে থাকতে পারে, সে অন্যদের মাঝেও আনন্দের সঞ্চার করতে পারে। তাই এ ধরণের মানুষের সাহচর্য অন্যান্যদেরও অনেক মানসিক প্রশান্তির কারণ হয়। জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত, প্রত্যেকটি অবস্থা উদযাপন করতে পারা মানুষগুলোর মাঝেই সেই মানসিক শক্তি থাকে যারা সব কিছুর মাঝে ভালো কিছু খুঁজে পান, সব কিছুর প্রশংসা করতে পারেন। তাই পারিপার্শ্বিক কোন নেতিবাচক অবস্থাই তাদের মানসিক অবস্থার উপর সহজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারেনা। তারা মানসিক ও শারীরিক ভাবে সুস্থ ও সুন্দর জীবন উপভোগ করতে পারেন।

সাইকোলজিটুডে থেকে অনুবাদ করেছেনঃ প্রত্যাশা বিশ্বাস প্রজ্ঞা

স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে  

 

“মনের খবর” ম্যাগাজিন পেতে কল করুন ০১৮ ৬৫ ৪৬ ৬৫ ৯৪
Previous articleডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে মাদকাসক্তি জটিলতা বাড়ায়
Next articleলেডি উইথ দ্য ল্যাম্প : ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here