ধূমপানের আকাঙ্ক্ষা বিষণ্ণতা বাড়ায়

0
117
ধূমপানের আকাঙ্ক্ষা বাড়ায় বিষণ্ণতা
ধূমপানের আকাঙ্ক্ষা বাড়ায় বিষণ্ণতা

সাম্প্রতিক গবেষণা থেকে জানা গেছে, দুঃখ বা বিষণ্ণতা ধূমপানকে একটি আসক্তিজনক আচরণে পরিণত করতে পারে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক গবেষকরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে, অন্যান্য নেতিবাচক আবেগের তুলনায় এটি ধূমপানের আসক্তিকে তীব্রভাবে ট্রিগার করে।
হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের প্রধান গবেষক চার্লস ডরিসন বলেন, “প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী যেকোনো প্রকারের নেতিবাচক অনুভূতি, রাগ, বিদ্বেষ, মানসিক চাপ, দুঃখ, ভয়, লজ্জা প্রভৃতি আসক্তি বা ড্রাগ ব্যবহার ও নির্ভরতার আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। এই গবেষণা থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, দুঃখ বা মন খারাপের সঙ্গে ধূমপান গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত। বিশেষত, আমরা দেখতে পেয়েছি যে বিষণ্ণতা আসক্তিযুক্ত পদার্থ ব্যবহারের একটি শক্তিশালী ট্রিগার হিসাবে কাজ করে।”
চারটি অধ্যয়নের একটি সেটের ওপর ভিত্তি করে গবেষণার ফলাফল তৈরি হয়। প্রথম পর্যায়ে গবেষকরা ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ১০ হাজার ৬৮৫ জন অংশগ্রহণকারীর তথ্য বিশ্লেষণ করেছেন।
দ্বিতীয় সমীক্ষায়, ৪২৫ ধূমপায়ীর ধূমপানের কারণ নিয়ে বিশ্লেষণ করা হয়েছিল। এতে দেখা গেছে, যারা দুঃখজনক ভিডিও দেখেছেন বা ব্যক্তিগত ক্ষতি বা দুঃখের কথা লিখেছেন এমন ব্যক্তিদের ধূমপানের আকাঙ্ক্ষা অত্যন্ত তীব্র হয়ে উঠেছে।
তৃতীয় গবেষণায় সিগারেটের ধোয়া টানার জন্য ধূমপায়ীদের প্রকৃত অ-সহিষ্ণুতার পরিমাণ পরিমাপ করা হয়। চতুর্থ গবেষণায়, মন খারাপ বা দুঃখ ধূমপায়ীদের আচরণকে কীভাবে প্রভাবিত করেছে তা পরীক্ষা করা হয়।
“আমরা বিশ্বাস করি যে, তত্ত্ব-চালিত এই গবেষণা ধূমপানের মতো দ্রুত ছড়িয়ে পড়া আসক্তিকে কীভাবে মোকাবেলা করা যেতে পারে সে বিষয়ে সহায়তা করবে” বলে ডরিসন মন্তব্য করেন।
ধূমপান কীভাবে আসক্তি সৃষ্টি করে?
নিকোটিন হলো তামাকের নেশা সৃষ্টিকারী পদার্থ, নিয়মিত সেবনের ফলে এর প্রতি ব্যবহারকারীর আসক্তি সৃষ্টি হয়। অতীতের গবেষণায় দেখা গেছে যে, ধূমপায়ীরা ধূমপানের রীতি উপভোগ করেন। কারণ, এটি তাদের আনন্দ দেয় এবং নিকোটিন প্রত্যাহারের লক্ষণগুলি থেকে মুক্তি দেয়।
আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির মতে, “তামাকে বিদ্যমান ডোপামাইন নামক রাসায়নিক মস্তিষ্কে সুখানুভূতি সৃষ্টির মধ্য দিয়ে ধূমপায়ীর মেজাজকে প্রভাবিত করে। তামাক ব্যবহারের ফলে ব্যক্তির অপ্রীতিকর অনুভূতিগুলি সাময়িকভাবে চলে যায়, ফলে তিনি বারবার এটি করতে থাকেন।”
তথ্যসূত্র: দ্যা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

Previous articleস্কুল-কলেজে মনোবিদ নিয়োগ করবে সরকার, শিক্ষার্থীদের কী কাজে আসবেন তারা?
Next articleকাজে মানসিক চাপ সামলাবেন যেভাবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here