মানসিকভাবে শক্ত মানুষরা কখনও সব বিষয় নিয়ে ব্যস্ত হয় না। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী অনেকেই মনে করেন মানসিকভাবে শক্ত মানুষরা সব কাজই করার চেষ্টা করেন। তবে সত্যি বলতে মানসিকভাবে শক্ত-সমর্থ মানুষরা নিজের জন্য যা অপরিহার্য সেটাতেই মনোযোগ দেন।
বস্টনে অবস্থিত ‘নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি’র প্রভাষক এবং বিশ্বের প্রায় ৩৭টি ভাষায় প্রকাশিত সর্বাধিক বিক্রিত বই ‘থার্টিন থিংকস মেন্টালি স্ট্রং প্যারেন্টস ডোন’ট ডু’ এবং ‘থার্টিন থিংস মেন্টালি স্ট্রং উইমেন ডোন’ট ডু’ বইয়ের লেখক পেশায় মনোরোগ চিকিৎসক অ্যামি মোরিন’য়ের দেওয়া পরামর্শ অনুসারে মানসিক স্বাস্থ্য-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে জানানো হল মানসিকভাবে শক্ত মানুষের কিছু বৈশিষ্ট।
অন্যরা কী ভাবলো? ভাবে না।
কোনো কাজ করতে গিয়ে অন্যরা কী ভাববে- এই ভেবে পিছিয়ে আসে না মানসিকভাবে শক্ত মানুষেরা। বেশিরভাগই যেখানে দ্বিধাবোধ করেন সেখানে তারা সহজেই যেকোনো কাজ করার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
মানসিকভাবে শক্ত মানুষেরা নিজের কাজের বিনিময়ে অন্যরা খুশি হল নাকি হল-না সেটা নিয়ে চিন্তাও করেনা। তারা নিজেদের সম্পর্কে সচেতন এবং নিজের চাহিদাকে গুরুত্ব দেয়।
অতিরিক্ত চিন্তা করে না
মানসিকভাবে অসাড় হতে জানেনা তারা। অতিরিক্ত চিন্তা করা বাদ দিয়ে, যা করলে ভালো হতে পারে সেটা নিয়ে এগিয়ে যায়। তারা ঝুঁকি নিতে জানে। আর এটাও জানে সবসময় সবকিছু নির্ভুল হয় না। আর সেটা নিয়ে তারা দুশ্চিন্তায় না ভুগে মনে করতে থাকে- যা-ই হোক না কোনো, কোনো অসুবিধা হবে না।
নিজেকে দোষারোপ করে না
নিজের কাজের ব্যাপারে দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত। তবে নিজেকে দোষ দিয়ে মনে বিষ পুষে রাখে না। কোনো কাজ ভুল হলে সেটা নিয়ে পড়ে থাকে না। বরং ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যায় আরও ভালো করার আশায়।
দূরাশা নেই
বেশিরভাগ মানুষই নানান রকম আশা করেন। যেমন, ‘আশা করি বস বেশি কাজ দেবে না’ অথবা ‘আশা করি আমার বাবা-মা আমাকে নিয়ে অন্যরকম ভাববে।’
তবে মানসিকভাবে শক্ত যারা, তারা এই ধরনের দুরাশায় ভোগেন না। বরং পরিস্থিতি অনুযায়ী কাজ করে সামাল দিয়ে যায়। অন্যের মাধ্যমে নিজের ভাগ্য পরিবর্তনে তারা বিশ্বাসী নয়।
নিজের ওপর দুঃখবোধ নেই
মানসিকভাবে শক্ত মানুষদের যে দুঃখবোধ নেই তা নয়। তবে সেটার জন্য নিজেকে অসহায়ভাবে না তারা। এমনকি খারাপ সময়ও তারা ভালো থাকার চেষ্ট করে। এবং ‘আরও বেশি কিছু পেতে পারতাম’ এই চিন্তা না করে বরং পরিস্থিতি সামাল দেওয়াতে মনযোগী থাকে।
অন্যকে দোষ দেয় না
কোনো কাজ না হলে সেটার জন্য অন্যকে দোষারোপ করা বেশ আনন্দের বিষয়। অন্যের ওপর দোষ চাপিয়ে নিজের দায়ভার এড়ানো সহজ। তবে প্রচলিত কথায়- নিজের রাগ বা ক্ষোভ অন্যকে দোষারোপে কমে না, বরং আরও বৃদ্ধি পায়।
এই কারণেই হয়ত মানসিকভাবে শক্ত যারা তারা অন্যকে দোষারোপ করে সময় নষ্ট করে না। বরং যাদের মাধ্যমে কাজটা সুষ্ঠুভাবে হতে পারে তাদের খুঁজে বের করে। আর নির্দিষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে যায়।
পুরানো বিষয় নিয়ে পড়ে থাকে না
নিজের ভুলের জন্য বারবার নিজেকে দোষ দিয়ে একই কথা বলে গেলে মস্তিষ্ক অথর্ব হয়ে যায়। সামনে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা কমতে থাকে।
এই কারণে মানসিকভাবে শক্ত মানুষেরা নিজের ভুল নিয়ে পড়ে থাকে না। পুরানো ভুল নিয়ে- ‘এটা না করে ওটা করলে ভালো হত’- এরকম ভাবনায় পড়ে থাকেনা।
বরং সময় অপচয় না করে নিজের আবেগ সামলানোর চেষ্টা করেন। অনেকে প্রকৃতির সান্নিধ্যে যায়। ভ্রমণ করে। কেউ হয়ত ইয়োগা করেন। আর যে বিষয় নিজের নিয়ন্ত্রণে নেই সেটা নিয়ে আক্ষেপ না করে, পরিস্থিতি আরও ভালো করার চেষ্টা করে যায়।
এসব বৈশিষ্ট্য যদি আপনার মধ্যে থাকে তবে ধরে নিতে পারেন আপনি মানসিকভাবে শক্ত একজন ব্যক্তি। আর যদি না মেলে তবে মানসিকভাবে শক্ত হতে এসব বিষয় চর্চা করতে পারেন।
অন্যরা কী ভাবলো? ভাবে না।
কোনো কাজ করতে গিয়ে অন্যরা কী ভাববে- এই ভেবে পিছিয়ে আসে না মানসিকভাবে শক্ত মানুষেরা। বেশিরভাগই যেখানে দ্বিধাবোধ করেন সেখানে তারা সহজেই যেকোনো কাজ করার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
মানসিকভাবে শক্ত মানুষেরা নিজের কাজের বিনিময়ে অন্যরা খুশি হল নাকি হল-না সেটা নিয়ে চিন্তাও করেনা। তারা নিজেদের সম্পর্কে সচেতন এবং নিজের চাহিদাকে গুরুত্ব দেয়।
অতিরিক্ত চিন্তা করে না
মানসিকভাবে অসাড় হতে জানেনা তারা। অতিরিক্ত চিন্তা করা বাদ দিয়ে, যা করলে ভালো হতে পারে সেটা নিয়ে এগিয়ে যায়। তারা ঝুঁকি নিতে জানে। আর এটাও জানে সবসময় সবকিছু নির্ভুল হয় না। আর সেটা নিয়ে তারা দুশ্চিন্তায় না ভুগে মনে করতে থাকে- যা-ই হোক না কোনো, কোনো অসুবিধা হবে না।
নিজেকে দোষারোপ করে না
নিজের কাজের ব্যাপারে দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত। তবে নিজেকে দোষ দিয়ে মনে বিষ পুষে রাখে না। কোনো কাজ ভুল হলে সেটা নিয়ে পড়ে থাকে না। বরং ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যায় আরও ভালো করার আশায়।
দূরাশা নেই
বেশিরভাগ মানুষই নানান রকম আশা করেন। যেমন, ‘আশা করি বস বেশি কাজ দেবে না’ অথবা ‘আশা করি আমার বাবা-মা আমাকে নিয়ে অন্যরকম ভাববে।’
তবে মানসিকভাবে শক্ত যারা, তারা এই ধরনের দুরাশায় ভোগেন না। বরং পরিস্থিতি অনুযায়ী কাজ করে সামাল দিয়ে যায়। অন্যের মাধ্যমে নিজের ভাগ্য পরিবর্তনে তারা বিশ্বাসী নয়।
নিজের ওপর দুঃখবোধ নেই
মানসিকভাবে শক্ত মানুষদের যে দুঃখবোধ নেই তা নয়। তবে সেটার জন্য নিজেকে অসহায়ভাবে না তারা। এমনকি খারাপ সময়ও তারা ভালো থাকার চেষ্ট করে। এবং ‘আরও বেশি কিছু পেতে পারতাম’ এই চিন্তা না করে বরং পরিস্থিতি সামাল দেওয়াতে মনযোগী থাকে।
অন্যকে দোষ দেয় না
কোনো কাজ না হলে সেটার জন্য অন্যকে দোষারোপ করা বেশ আনন্দের বিষয়। অন্যের ওপর দোষ চাপিয়ে নিজের দায়ভার এড়ানো সহজ। তবে প্রচলিত কথায়- নিজের রাগ বা ক্ষোভ অন্যকে দোষারোপে কমে না, বরং আরও বৃদ্ধি পায়।
এই কারণেই হয়ত মানসিকভাবে শক্ত যারা তারা অন্যকে দোষারোপ করে সময় নষ্ট করে না। বরং যাদের মাধ্যমে কাজটা সুষ্ঠুভাবে হতে পারে তাদের খুঁজে বের করে। আর নির্দিষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে যায়।
পুরানো বিষয় নিয়ে পড়ে থাকে না
নিজের ভুলের জন্য বারবার নিজেকে দোষ দিয়ে একই কথা বলে গেলে মস্তিষ্ক অথর্ব হয়ে যায়। সামনে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা কমতে থাকে।
এই কারণে মানসিকভাবে শক্ত মানুষেরা নিজের ভুল নিয়ে পড়ে থাকে না। পুরানো ভুল নিয়ে- ‘এটা না করে ওটা করলে ভালো হত’- এরকম ভাবনায় পড়ে থাকেনা।
বরং সময় অপচয় না করে নিজের আবেগ সামলানোর চেষ্টা করেন। অনেকে প্রকৃতির সান্নিধ্যে যায়। ভ্রমণ করে। কেউ হয়ত ইয়োগা করেন। আর যে বিষয় নিজের নিয়ন্ত্রণে নেই সেটা নিয়ে আক্ষেপ না করে, পরিস্থিতি আরও ভালো করার চেষ্টা করে যায়।
এসব বৈশিষ্ট্য যদি আপনার মধ্যে থাকে তবে ধরে নিতে পারেন আপনি মানসিকভাবে শক্ত একজন ব্যক্তি। আর যদি না মেলে তবে মানসিকভাবে শক্ত হতে এসব বিষয় চর্চা করতে পারেন।