শুধুমাত্র শিশু নয় অভিভাবকদের জন্যও ‘নয়নতারা বিদ্যালয়’- রাকেশ বসু

0
216
শিশুতোষ ধারাবাহিক নয়নতারা বিদ্যালয়

গ্রামটির নাম নয়নতারা। প্রায় ২০ বছর আগে একজন প্রথিতযশা ব্যক্তি ছিলেন। তিনি বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী ও অধ্যাপক। নাম ড. খায়রুল আলম। গড়লেন গ্রামে ‘নয়নতারা বিদ্যালয়’। ব্যতিক্রম বিদ্যালয়টির প্রত্যেক শিক্ষকই প্রাক্তন ছাত্র। পাঠ্যসূচিও আলাদা। আবাসিক বিদ্যালয়টির গল্পের শুরু হোষ্টেলের বন্ধুত্বে। টেলিভিশনের রঙিন পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন রাকেশ বসু। জনপ্রিয় শিশুতোষ ধারাবাহিকর পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার। ধারাবাহিকটি প্রচারিত হয় দুরন্ত টিভিতে। আজ তার সঙ্গে গল্প করছেন শরীফুল ইসলাম সাগর

রাকেশ বসু, পরিচালক- নয়নতারা বিদ্যালয়

“নয়নতারা বিদ্যালয় “শিশুদের জন্য শিশুদের নিয়ে এই যে প্রয়াস৷ এর শুরু টা করলেন কিভাবে!!

থিয়েটার জীবনে নিজের নাটকচর্র্চার পাশাপাশি শিশুদের নিয়ে আমি নাটকের দল করেছিলাম।সেটা ২০০১-০২ সালের কথা। তখন থেকেই শিশুদের সাখে কাজের আগ্রহটা ভীষণ ভাবে তৈরী হয়। এরপরে মাঝে মাঝেই একক নাটক/টেলিফিল্ম বা অন্য ধারাবাহিকেও শিশুদের নিয়ে কাজ করার প্রয়াস পেয়েছি। ২০১৭ সালে দীপ্ত টিভিতে ‘অলি’ নামক একটি ধারাবাহিকের কাজ শুরু করেছিলাম। সেই সময় ঐ ধারাবাহিকটি জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।গল্পটি মূলত: চালস ডিকেন্সের অলিভার টুইষ্ট থেকে নেয়া। ওটা্ও্ একটি শিশু চরিত্রকে কেন্দ্র করে তৈরী হওয়া। তখন থেকেই নিয়মিত ভাবে শিশুদের নিয়ে কিছু করা যায় কি না ভাবছিলাম।তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালে এই গল্পটা লেখা যার প্রথম নাম ছিল ‘এমন যদি হতো’। এরপরই করোনার করাল গ্রাসী ভুমিকায় আমরা সবাই নিস্তব্ধ।পরে এই বছরের মাঝামাঝি দুরন্ততে এই গল্পটা নিয়ে কাজ করার সুযোগ পাই। ব্যস। শুরু হয়ে গেল স্ক্রিপ্ট লেখা।দুরন্ত্’র সরাসরি তত্ত্বাবধানে আমাদের কাজ এগুতে থাকল। আমরা অনেকগুলো শিশুর অডিশন নিলাম।চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছিলাম আমার গল্পের সব চরিত্রগুলো জীবন্ত রূপ।পেয়ে গেলাম সব চরিত্রগুলোকে।তারপর টিম ঠিক করে মাঠে নেমে গেলাম। শুরু হলো শুটিং। কত যে মজার কাহিনী শুটিং কে কেন্দ্র করে। কষ্টটাও কম করেনি আমার টিম আর শিশুদের দল। শুরু হলো নয়নতারা বিদ্যালয়ের যাত্রা।

সম্পূর্ণ শিশুদের কে নিয়ে “নয়নতারা বিদ্যালয়” খুবই জনপ্রিয়। এটাকে আপনি কিভাবে দেখছেন!!

দিনশেষে সব কিছুই তো দশকদের জন্যে তৈরী হয়। এই নাটকটিও তাই। আর এটা য়ে শুধুমাত্র শিশুদের জন্যে তৈরী হয়েছে তা তো নয়। অভিভাবকরাও তাদের ছোটবেলাকে খুঁজে পেয়েছেন। পেয়েছেন নিমল আনন্দ। এটাই চাওয়া ছিল আমার।

শিশুতোষ কাজ এর আগেও আমাদের দেশে হয়েছে। এক সময় শিশুদের বিনোদন বলতে শিশুতোষ সিনেমা কিংবা মুস্তফা মনোয়ার স্যারের মনের কথা, সিসিমপুর। বিটিভিতে কিছু নাটক ও ছিলো। বিটিভির পরে এই যে দুরন্ত টিভি এখন শিশুদের নিয়ে কাজ করছে। তাছাড়া শিশুদের নিয়ে কাজ তেমন একটা হচ্ছে না। আপনার কাছে কি মনে হয় এই রকম শিশুতোষ কাজ হচ্ছে না বা কমে যাওয়ার কারণ কি!!

আমরা চাই না তাই হয় না। দুরন্ত কর্তৃপক্ষ ভেবেছেনে বলেই করে যাচ্ছেন। গত চার বছর ধরেই করছেন। এবং শুধুমাত্র শিশুদের নিয়েই।এবং শুরু থেকেই দেশের এক নম্বর বেসরকারী চ্যানেল হিসেবে স্বীকৃত। যারা নীতিনির্ধারক আছেন তাদের ও তো একধরনের দায়বদ্ধতা আছে। চিন্তা-ভাবনার পরিবতন দরকার।তাহলে হয়তো আরো অনেক কিছুই করা সম্ভব।

এখন শিশুদের জন্য পর্যাপ্ত খেলার মাঠ বা খোলা জায়গা নেই৷ সেক্ষেত্রে মোবাইল বা মিডিয়ায় এখন একমাত্র বিনোদনের জায়গা৷ সেই জায়গা থেকে শিশুর মানসিক বিকাশে মিডিয়া কিভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আপনি মনে করেন!

পুরো পৃথিবীটাই তো উল্টে গেল। সব অনলাইন বেসড। শিশুদের স্কুলের ক্লাশ পর্যন্ত। আর তো কিছু বলার নেই।কিন্তু দায়টা আমাদের । বড়ো দের। এই পথটাকে সুস্থভাবে ওদের সামনে তুলে ধরা।

আজকের রাকেশ বসু, তাকে কি আমরা ভবিষ্যতে শিশুতোষ সিনেমার পরিচালকের আসনে দেখতে পাবো বলে আশা রাখতে পারি!!

স্বপ্ন তো থাকেই। অপেক্ষায় আছি সুযোগের। ভালো কিছু করার।

স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে  

 

“মনের খবর” ম্যাগাজিন পেতে কল করুন ০১৮ ৬৫ ৪৬ ৬৫ ৯৪
Previous articleকিশোর কিশোরীদের বিষণ্ণতা কেন হয়?
Next articleশিশুর খেলনা: চাহিদা বুঝে দিতে হবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here