শিশুর তোতলামো সমস্যার সমাধান মাতৃদুগ্ধে

0
23

শিশুর তোতলামো সমস্যার সমাধান রয়েছে মাতৃদুগ্ধ পানে। এমন তথ্য উঠে এসেছে এক গবষেণায়। প্রাথমিক বয়সে তোতলামো শুরু হয়েছে এমন ৪৭ জন শিশুর উপর করা একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, যেসব শিশুরা শৈশবে মায়ের দুধ পান করেছে তারা দ্রুতই তোতলামো সমস্যা কাটিয়ে উঠে স্বচ্ছন্দ গতিতে কথা বলতে পেরেছে।
একটি জার্নালে প্রকাশিত বিশ্লেষণে মাতৃদুগ্ধপান এবং শিশুদের তোতলামো সমস্যা কাটিয়ে ওঠার মধ্যে সম্পর্ক দেখানো হয়েছে। যেসকল ছেলে শিশুদের মধ্যে সামঞ্জস্যহীনভাবে তোতলামোর লক্ষণ দেখা গিয়েছে, তারা সবচেয়ে বেশী লাভবান হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
গবেষকেরা তোতলামোর উপর আয় বা মায়ের শিক্ষার কোনো প্রভাব খুঁজে পাননি। গবেষকেরা মায়েদেরকে তাদের শিশুর দুগ্ধপানের ইচ্ছা এবং সামর্থ্যের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেন। এক্ষেত্রেও এমন কোনো নিউরোবায়োলজিক্যাল সমস্যা খুঁজে পাওয়া যায়নি। যা শিশুজে মাতৃদুগ্ধ পান থেজে বিরত রাখতে পারে। শুরুর দিকের বেশ কিছু পরীক্ষণে মাতৃদুগ্ধ পান এবং ভাষাগত উন্নতি বৃদ্ধির মধ্যে সামঞ্জস্যপূর্ণ সংযুক্তি পাওয়া গিয়েছে। যেমন একটি পরীক্ষণে পাওয়া গিয়েছে যে, শৈশবে মাতৃদুগ্ধ পান “বিচিত্র অস্ফুট বাক” উৎপন্ন করে, যা সুস্থ ভাষা গঠনের নির্দেশক।
অন্যান্য বিভিন্ন গবেষণায় মাতৃদুগ্ধ পানের সময়কাল এবং মৌখিক বুদ্ধিমত্তা অথবা শিশুর অটিজমে আক্রান্ত হওয়ার সংযুক্তি দেখা গিয়েছে। একদল গবেষক বলেছেন যে, মায়ের দুধে এমন কিছু প্রয়োজনীয় ফ্যাটি এসিড পাওয়া গিয়েছে যা মস্তিষ্ক এবং ভাষা বিকাশের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়। কিন্তু এটি কৃত্রিম দুধে পাওয়া যায় না।
জীবনের প্রথম বছরে শিশুর মস্তিষ্ক আকারে ৩ গুণ হয়ে থাকে এবং নতুন গঠিত টিস্যুর অর্ধেকের বেশী ওজন লিপিড (ফ্যাটি এসিডের জৈব যৌগিক ক্রিয়া। যা পানিতে দ্রবীভূত হয় না। কিন্তু অন্য জৈব দ্রবণে দ্রবীভূত হয়) হয়ে থাকে। যেসকল শিশুরা খাবারে মাধ্যমে পর্যাপ্ত পরিমাণে ডিএইচএ পায় না, তারা অন্যান্য ফ্যাটি এসিডের মাধ্যমে এটা সমন্বয় করে থাকে। তবে গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে মাত্রায় মস্তিষ্কের টিস্যু থেকে ডিএইচএ বেরিয়ে যেতে পারে, সেই মাত্রায়ই আবার তা সমন্বয় করা সম্ভব। ফ্যাটি এসিড জিনের প্রকাশিত হওয়াকে প্রভাবিত করে
গবেষণায় আরো দেখা গিয়েছে, মায়ের দুধ উল্লেখযোগ্যভাবে মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটায়। যদিও এটা কোনো জাদুকরী ব্যাপার না। কিন্তু তবুও এটি গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য বহন করে থাকে।
তথ্যসূত্র: সাইপোষ্ট।
অনুবাদটি করেছেন সুপ্তি হাওলাদার।

Previous articleহস্তমৈথুন একটি স্বাভাবিক যৌন আচরন
Next articleআবিষ্কার হলো মানসিক রোগ সনাক্তকরণ অ্যালগরিদম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here