সার্বিকভাবে করোনাভাইরাসের জটিলতাগুলো শিশুদের মধ্যে কম দেখা গেলেও, তাদের মাধ্যমে নীরবে ছড়িয়ে যেতে পারে এই ভাইরাস।
চীনের ঝুজিয়াং প্রদেশের ৩৬টি ‘পিডিয়াট্রিক কেইস’য়ের বিস্তারিত পর্যালোচনার মাধ্যমে চীনের চিকিৎসকরা বলছেন, “এই ভাইরাসের প্রভাব শ্বাসতন্ত্রের উপরিভাগে খুবই কম। জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া ইত্যাদি সাধারণ উপসর্গ হলেও, অর্ধেক শিশুরই উপসর্গ ছিল মৃদু মাত্রার, যা নীরবে করোনাভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা বয়ে আনে।”
চীনের এই ‘ল্যান্সেট’ গবেষণা স্বল্প পরিসরের হলেও তা ছিল ভাইরাস কেন্দ্রীক এবং গবেষকদের মতে এটাই এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস সম্পর্কীত সবচাইতে স্বয়ংসম্পূর্ণ গবেষণা।
গবেষণার ফলাফলের ইঙ্গিত হল, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের শিকার যেসব শিশুর মাঝে কোনো উপসর্গ দেখা যাচ্ছে তাদের পৃথক করা যেমন জটিল তেমনি গুরুত্বপূর্ণ।
চীনের ১ থেকে ১৬ বছরের শিশুদের দুই সপ্তাহ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং তাতে কমপক্ষে একটি ভাইরাসনাশক ওষুধ ব্যবহার করা হয়। সকল রোগীরই করোনাভাইরাস টেস্ট নেগেটিভ হতে সময় লাগে গড়ে ১০ দিন, যাদের কোনো উপসর্গ ছিল না তাদেরও।
চীনা চিকিৎসক হাইয়ান কিউ ও তার সহকর্মীরা বলেন, “করোনাভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ দেখা যায়নি এমন রোগীর সংখ্যাই বলে দেয় শিশু রোগীদের প্রকৃত ‘এপিডেমিওলজিকাল’ তথ্যের ভিত্তিতে আলাদা করাটা কতটা জটিল।”
এই গবেষণায় যে শিশুদের পর্যবেক্ষণের আওতায় রাখা হয় তারা কাছের কোনো মানুষের মাধ্যমেই আক্রান্ত হয়েছে বলে ধারণা গবেষকদের।
গবেষকরা বলেন, “এই ভাইরাসের জীনগত উপাদান রোগীর মলের সঙ্গে মিশেছে দীর্ঘ সময়ে, যা সংক্রমণের আশঙ্কা আরও বাড়াবে।”
এথেকে প্রশ্ন জাগে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ নিয়ে যা তাদের নিরাপদ রেখেছে। আর বয়স্কদের এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার পরিমাণ দেখে বোঝা যায় বয়স্কদের রক্তে সংক্রমণের ‘ব্লাড মার্কার’ অস্বাভাবিক বেশি হতে পারে।
করোনাভাইরাসের ভয়ানক দিক হলো এটি আক্রমন করে ফুসফুস, হৃদযন্ত্র ও অন্যান্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোকে, তাতে রোগের তীব্রতা যাই হোক না কেনো।