শরীর ও মন সতেজ রাখতে খেতে হবে ফল

শরীর ও মন সতেজ রাখতে খেতে পারেন ফল

গ্রীষ্মকাল ফল খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনই উপকারীও বটে। গ্রীষ্মের দাবদাহ থেকে রক্ষায় এবং শরীর ঠিক রাখতে দেশি ফলে জুড়ি নেই। শুধু তাই নয়, গ্রীষ্মকালীন ফল খেলে শরীর ও মন উভয়ই ভালো থাকে।

গ্রীষ্মকালীন কোন ফলে শরীরের জন্য কি উপকার সে বিষয় নিয়েই আজকের আলোচনা। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক কোন ফলে শরীরের জন্য কি উপকার।

পেঁপে

পেঁপে কাঁচা ও পাকা উভয় প্রকারেই খাওয়া যা। পেঁপে প্রায় সারা বছরই পাওয়া যায়। পেঁপেতে আছে প্যাপাইন। কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে পাকা পেঁপে খুব কার্যকর। কাঁচা পেঁপে ডায়রিয়া ও জন্ডিস সারায়। কাঁচা পেঁপে সবজি হিসেবে এবং পাকা পেঁপে জুস করে খাওয়া যায়।

পানিফল

পানিফল আরেকটি পুষ্টিকর ফল। এতে শতকরা ৪.৭ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। এছাড়া রয়েছে শ্বেতসার, খনিজ লবণের মধ্যে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রণ ইত্যাদি। ক্যালরিও অনেক এই ফলে। কাঁচা এবং সেদ্ধ, দুভাবেই খাওয়া যায়।

পানিফল পেটের রোগ নিরাময় করে। ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে, দুর্বল শরীরকে বল দেয়, যকৃতের প্রদাহনাশক অর্থাৎ লিভারের ইনফ্লামেশন নিরাময় করে, হাত-পা ফোলা ঠিক করে। এছাড়া পানিফল ঋতুর আধিক্যজনিত সমস্যা ঠিক করতে খুবই উপকারী। এমনকি এতে রয়েছে ক্যানসার প্রতিরোধের গুণও।

কলা

কলা প্রায় সব মৌসুমেই পাওয়া যায়। আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় একটি করে কলা অবশ্যই থাকা উচিত। এনার্জি বাড়াতে কলার জুড়ি নেই। তাই খুব বেশি ওজন কমে গেলে বা শরীর দুর্বল হয়ে পড়লে চিকিৎসকেরা কলা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

এতে থাকা পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম হাড় শক্ত রাখে। কলায় থাকে পেকটিন নামক একটি ফাইবার, যা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। বাচ্চাদের প্রথম সলিড খাওয়ানোর সময় অনেকেই চিন্তায় পড়ে যান যে কী ফল দেওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে কাজে আসতে পারে কলা। তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেবেন।

পেট পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি হজমেও সাহায্য করে কলা। একটি কলায় থাকে ৩ গ্রাম ফাইবার, যা খুব তাড়াতাড়ি হজম হয়ে যায়। টামিন-মিনারেলের মতো বহু গুণসমৃদ্ধ কলায় রয়েছে ক্যারোটিনয়েডের মতো অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও।

কাঁঠাল

পুষ্টিবিদগণ বলছেন, কাঁঠাল পুষ্টিগুণে ভরপুর। কাঁঠালে বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ, সি, বি-১, বি-২, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামসহ নানা রকমের পুষ্টি ও খনিজ উপাদান পাওয়া যায়। এসব উপাদান আমাদের শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখতে সাহায্য করে।

এর পাশাপাশি ভিটামিনের চাহিদাও পূরণ করে কাঁঠাল। ডায়াবেটিক মানুষের জন্য কাঁচা কাঁঠাল উপকারী। রক্তের চিনির মাত্রা স্বাভাবিক রাখার জন্য কাঁচা কাঁঠালের জুড়ি নেই।

স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে

Previous articleশিশু-কিশোরদের থাইরয়েড জনিত সমস্যা
Next articleদুই বছর যাবত লিঙ্গ উত্থান সমস্যায় ভুগছি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here