মনের খবর টিভিতে “মানসিক রোগী মানেই যে আক্রমণাত্মক নয়” বিষয়ক অনুষ্ঠান “দেশ জুড়ে মনের খবর”

মনের খবর টিভিতে “মানসিক রোগী মানেই যে আক্রমণাত্মক নয়” বিষয়ক অনুষ্ঠান “দেশ জুড়ে মনের খবর”

“বিকন ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড” এর সৌজন্যে আজ (১৩ই সেপ্টেম্বর, সোমবার) রাত ১০টায় মনের খবর টিভিতে প্রচারিত হবে নিয়মিত অনুষ্ঠান “দেশ জুড়ে মনের খবর”। অনুষ্ঠানের আজকের বিষয় “মানসিক রোগী মানেই আক্রমণাত্মক -সত্য না মিথ্যা”!

অনুষ্ঠানটি দেখতে চোখ রাখুন মনের খবর টিভিতে- https://www.facebook.com/monerkhabortv/live/

মানসিক রোগ মানেই আক্রমণাত্মক নয়- সত্য মিথ্যা !
মনের খবর টিভিতে “মানসিক রোগী মানেই যে আক্রমণাত্মক নয়” বিষয়ক অনুষ্ঠান “দেশ জুড়ে মনের খবর”

অনুষ্ঠানটিতে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলবেন এবং সরাসরি রোগীদের পরামর্শ দেবেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক,ডাঃ শাহজাদা সেলিম এবং শহীদ জিয়াইর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মনোরোগ বিভাগের রেজিস্ট্রার, ডাঃ শাহরিয়ার ফারুক। তাদের সাথে আরও থাকবেন লেখক ও গণ্মাধ্যম কর্মী, খায়রুল বাবুই। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় থাকবেন বিএসএসএমউ’র মনোরোগবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও মনের খবরের সম্পাদক ডাঃ সালাহউদ্দিন কাউসার বিপ্লব ।

বাংলাদেশের মানসিক চিকিৎসকরা বলছেন, যদিও আগের তুলনায় অনেক পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু এখনো দেশের মানুষজনের মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কাছে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনীহা রয়েছে।

যদিও শারীরিক অন্যান্য সমস্যার মতো মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত হলে সঠিক কাউন্সেলিং ও চিকিৎসায় পুরোপুরি আরোগ্য লাভ করা যায়।

কিন্তু শারীরিক বেদনার মতো জটিলতা তৈরি না হওয়ায় অনেকেই বুঝতে পারেন না, কখন আসলে তাদের চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। মানসিক, পারিবারিক বা সামাজিক নানা ট্যাবুও এক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

কখন বুঝবেন আপনি মানসিক রোগে আক্রান্ত?

* হঠাৎ হঠাৎ করে বেশি উত্তেজিত হয়ে ওঠা
* অনেকদিন ধরে নিজেকে সবার কাছ থেকে সরিয়ে গুটিয়ে রাখা
* টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে মন খারাপ থাকা
* অন্যদের সঙ্গে একেবারে কথা বলতে না চাওয়া
* সবার সাথে ঝগড়া করা
* গায়েবি আওয়াজ বা কথা শুনতে পাওয়া
* অন্যদের অকারণে সন্দেহ করতে শুরু করা
* গোসল বা দাঁত মাজার মতো নিয়মিত প্রাত্যহিক কাজ করা বন্ধ করে নিজের প্রতি যত্ন না নেয়া
* যেসব কাজে আনন্দ পাওয়া সেসব কাজে নিরানন্দ ও আগ্রহ কমে যাওয়া
* সামাজিক সম্পর্ক থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয়া
* নিজেকে নিয়ে নেতিবাচক চিন্তা করা বা নিজেকে দায়ী মনে হওয়া সবকিছুতে
* সিদ্ধান্তহীনতা বা মনোযোগ কমে যাওয়া এবং খুব তীব্র হলে আত্মহত্যার চিন্তা পরিকল্পনা ও চেষ্টা করে
* অতিরিক্ত শুচিবায়ুগ্রস্থ হয়ে ওঠা
* ঘুম অস্বাভাবিক কম বা বাড়তে পারে
* খাবারে অরুচি তৈরি হওয়া বা রুচি বেড়ে যাওয়া
* বাসার, অফিসের বা পেশাগত কাজের প্রতি অনীহা তৈরি হওয়া বা আগ্রহ হারিয়ে ফেলা

মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষের মন যেমন আনন্দিত হয়, তেমনি কখনো কখনো খারাপও হতে পারে। কিন্তু মন খারাপ বা বিষণ্নতাভাব যদি দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকে তখন মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে নজর দিতে হবে।

পৃথিবীজুড়ে মানসিক রোগের দুই ধরণের চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। তার একটি হচ্ছে কাউন্সেলিং বা পরামর্শ সেবা। আরেকটি ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা।

কেউ মানসিক রোগে আক্রান্ত হলে মনোরোগবিদদের পরামর্শ নিতে পারেন। অনেক সময় কাউন্সেলিং থেরাপির মাধ্যমে সহজেই এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।’

‘কিন্তু সেটা না হলে অবশ্যই মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সহায়তা নিতে হবে। তখন তারা ওষুধের মাধ্যমে রোগের চিকিৎসা করে থাকেন। প্রয়োজন ভেদে হাসপাতালে ভর্তি করেও চিকিৎসার দরকার হতে পারে।

তবে বাংলাদেশের সর্বত্র এখনো মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের সেবা পাওয়া যায় না। মূলত এই সেবাটি এখনো প্রধান শহরকেন্দ্রিক।

স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে

Previous articleশিশুর কল্পনাশক্তির বিকাশ ঘটাবে কীভাবে
Next articleগর্ভবতী নারীরা এসএমএস ছাড়াই পাবেন করোনার টিকা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here