ভালোবাসা এবং আয়োজিত বিয়ের মধ্যে তুলনা করা উচিত নয়

ভালোবাসা এবং আয়োজিত বিয়ের মধ্যে তুলনা করা উচিত নয়

সমস্যা: আমার বয়স ২৬ বছর। তিন বছর পূর্বে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পূর্বে কিছুদিন আমার একটি ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সে আমাকে প্রচন্ড ভালোবাসতো এবং আমিও তাকে ভালোবাসতাম। কিন্তু সমস্যা ছিল আমি মুসলিম আর ছেলেটি হিন্দু। অনেক চিন্তা ভাবনা করে এবং পরিবারের সুখের কথা চিন্তা করে আমি বিয়ের সিদ্ধান্ত নেই। বিয়ের পর আমি আমার স্বামীর সাথে মানিয়ে নিতে চেয়েছিলাম কিন্তু আমার স্বামী আমাকে সময় দেয় না।আমার স্বামী আমার কোনো অনুভূতি বুঝতে চায় না। আমার স্বামী একজন ইঞ্জিনিয়ার। সে বলে তার কাছে আমাকে সময় দেওয়ার মতো সময় নেই।

যার কারণে আমি আবার আমার আগের বয়ফ্রেন্ডের সাথে পুনরায় সম্পর্ক গড়ে তুলি এবং তাকে সবকিছু খুলে বলি। সে আমাকে গ্রহণ করে এবং আমাদের আবারো সম্পর্ক গড়ে উঠে। বর্তমানে আমি আমার বয়ফ্রেন্ডের সাথে ভালো আছি। আমার স্বামীর প্রতি আমার কোনো অনুভূতি নেই। এই পরিস্থিতিকে সাধারণত পরকীয়া বলে থাকে। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় এটা পরকীয়া নয়, আমি মনে করি এটা সত্যিকারের ভালোবাসা। কিভাবে আমি আমার ভালোবাসাকে রক্ষা করতে পারি? অনুগ্রহ করে আমাকে জানান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

পরামর্শ: আপনার অনুভূতিটা বুঝতে পারছি। পরিবারের সুখের কথা চিন্তা করে আপনারা দুজনেই আপনাদের ভালোবাসা বিসর্জন দিয়েছিলেন এবং আপনি পরিবারের পছন্দমতো অন্য একজনকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আপনারা দুজন দুজনকে অনেকদিন ধরে ভালোবাসতেন আর আপনার বিয়েটি হয়েছিল আয়োজিত বিয়ে। তাই ভালোবাসা এবং আয়োজিত বিয়ের মধ্যে তুলনা করলে স্বাভাবিকভাবেই সেটি আপনাকে অসন্তুষ্ট করবে।

সুতরাং বিয়ের সম্পর্কের সাথে আপনার আগের ভালোবাসার সম্পর্কের তুলনা না করাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। আপনার স্বামী আপনাকে শুধু সময় দিচ্ছে না এই ব্যাপারটি ছাড়া আপনি লক্ষ্য করুন আপনার স্বামী আপনাকে অন্যদিক থেকে খেয়াল রাখছে কিনা, সে আপনার প্রতি দায়িত্বশীল কিনা, আপনাকে সম্মান করে কিনা? যদি এগুলো থেকে থাকে তাহলে আপনি বিষয়টি নিয়ে আবার চিন্তা করুন। এছাড়া আপনার স্বামী যদি আপনাকে সময় নাও দিতে পারে তাহলে নিজে কিভাবে ভালো উপায়ে সময় ব্যয় করা যায় সেই পথটি বেছে নেয়ার চেষ্টা করুন।

আমি বুঝতে পেরেছি আপনি পরিবারকে অনেক গুরুত্ব দেন, তাই আপনি এখন যে কাজটি করছেন সেটি আপনার পরিবার কিভাবে দেখবে, পরিবার অসুখী হবে কিনা, পরবর্তীতে অনেকদিন পর পরিবারকে অসুখী করে নিজে সুখী থাকতে পারবেন কিনা এটা নিজেকে প্রশ্ন করুন এবং আপনার ভালোবাসার মানুষটিকে সেটি জিজ্ঞাসা করুন তারপর সিদ্ধান্ত নিন।

পরামর্শ দিয়েছেন: সেলিনা ফাতেমা বিনতে শহিদ

স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে

Previous articleপুরুষের হরমোন (টেস্টোস্টেরন) ঘাটতি বুঝার উপায়
Next articleদীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কে দম্পতীদের চাহিদা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here