নার্ভাস ব্রেকডাউন থেকে মুক্তির সহায়ক উপায়

0
19
নার্ভাস ব্রেকডাউনের থেকে মুক্তির সহায়ক উপায়
নার্ভাস ব্রেকডাউনের থেকে মুক্তির সহায়ক উপায়

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যাওয়া জীবনযাত্রায় স্ট্রেস-এর পরিমাণ অনেকটাই বেড়েছে। স্ট্রেস বা মানসিক চাপের পরিমাণ বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই বাড়বে মানসিক চাপে ভেঙে পড়ার সংখ্যাও। আগে কোনও বড় কাজ করার আগে, পরীক্ষার্থিদের পরীক্ষা দিত যাওয়ার আগে, পেশার জগতে কোনও কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বা পারিবারিক-সামাজিক সংকটে এই মানসিক চাপ বিরাট আকার নিত। এবং অনেকেরই এতে নার্ভাস ব্রেকডাউন হত। কিন্তু জীবনযাত্রার বদলের পর এখন এই নার্বাস ব্রেকডাউনের সংখ্যা মারাত্মক বেড়ে গেছে। এবং এতটাই বেড়ে গেছে যে, এই সমস্যা অহরহ পড়তে হয় আমাদের।
মাথা ঘুরতে থাকে, হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়, ঘনঘন বাথরুম ছুটতে হয়- এর সবই নার্ভাস ব্রেকডাউনের লক্ষণ। কিন্তু সমস্যা যেমন বেড়েছে, তেমনই বিষয়টি নিয়ে সচেতনতাও বেড়েছে। সেই কারণে চিকিৎসাবিদ এবং মনোবিদরা এখন পরামর্শ দিচ্ছেন কী করে এই নার্ভাস ব্রেকডাউনের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। চটজলদি আরাম পেতে যেমন ওষুধ ব্যবহারের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা, তেমনই দীর্ঘমেয়াদিভাবে আরাম পেতে রয়েছে অন্য বেশ কিছু পদ্ধতিতেও। যা একই সঙ্গে তুলনায় অনেক সহজ এবং অতটাও প্রচলিত নয়। তেমনই কয়েকটি পদ্ধতি-
সাফল্যের কথা ভাবুন
নিজের সাফল্যের সময়কার কথা ভাবুন। সেই সমস্ত ঘটনা বা পরীক্ষার কথা মনে করুন, যেগুলো আপনি সাফল্যের সঙ্গে পেরিয়ে এসেছেন। চেষ্টা করুন এমন কোনও ঘটনার কথা মনে করতে, যখন আপনি খুব আনন্দে ছিলেন।
গেম খেলুন
প্রত্যেকের হাতেই এখন স্মার্টফোন। এবং তাতে কোনও না কোনও ভিডিও গেম রয়েছে। মানসিক চাপ খুব বেড়ে গেলে তেমনই কোনও একটা গেমে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। খুব ভালো হয় যদি কোনও স্পিড সংক্রান্ত খেলা (কার রেসিং ধরনের) খেলতে পারেন। চটজলদি নার্ভাস ব্রেকডাউনের হাত থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন।
মজার ভিডিও দেখুন
মোবাইল বা কমপিউটার থেকে ইন্টারনেট সার্চ করলে খুব সহজেই ফানি স্ট্রিমিং ভিডিও পেয়ে যাবেন। তেমনই কিছু দেখতে শুরু করুন। মানসিক চাপ বা নার্ভাস ব্রেকডাউন সামলাতে তাৎক্ষণিক কাজে লাগবে।
আত্ম-প্রেম কমান
নিজেকে নিয়ে কী আপনি খুব গর্বিত? নিজের কাজ, নিজের চেহারা- এর কোনওটা নিয়ে কি আপনার গর্বের শেষ নেই? তাহলে এটা আপনার নার্ভাস ব্রেকডাউনের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। নিজের ইমেজ বা ইগোর প্রতি অল্প আঘাত এলেই আপনি ভেঙে পড়তে পারেন। এই আত্ম-প্রেম বা গর্বের বোধটা এখটু কমাতে হবে। সে ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি হিসেবে উপকার পাবেন আপনি। কোন কোন ক্ষেত্রে আপনি অন্যের দ্বারা উপকৃত, সেটা লিখে রাখার অভ্যাস করুন। এতে এই গর্ববোধটা কমে।
শরীরের খেয়াল
শরীরের খেয়াল রাখতে হবে আপনাকে। নিয়মিত যোগাসন বা তাই চি সাহায্য করে মন ভালো রাখতে। অবিলম্বে এর কোনও একটার সঙ্গে যুক্ত হন। নার্ভাস সিস্টেমের উপকার হবে। শরীর ফুরফুরে হবে। খুব অল্প চাপেই যাতে বেহে না পড়েন, শরীর তার জন্য নিজেকে তৈরি করে নেবে। আর এর পাশাপাশি লক্ষ্য রাখুন, যেন পর্যাপ্ত বিশ্রাম পান।
সূত্র: বোল্ডস্কাই

Previous articleবাবার সংর্স্পশে সন্তান বেশি আত্মবিশ্বাসী:গবেষণা
Next articleনরসিংদী'তে শারীরিক প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here