শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মনোবিদ নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার: শিক্ষামন্ত্রী

0
27
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মনোবিদ নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মনোবিদ নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মনোবিদ নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ এডুকেশন রিপোর্টার্স ফোরাম (বিইআরএফ) আয়োজিত ‘শিক্ষার পরিবেশ ও শিক্ষার্থীর সার্বিক নিরাপত্তা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ তথ্য জানান।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমে প্রতিটি জেলায়, সম্ভব হলে প্রতিটি উপজেলায় দুই জন করে কাউন্সেলর নিয়োগ দেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে শিক্ষার্থীদের মানসিক দিক নিয়ে কাজ করার জন্য প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একজন নারী ও একজন পুরুষ, মোট দুই জন কাউন্সেলর নিয়োগ করা হবে।’

শিক্ষার্থীদের কাউন্সেলিংয়ের জন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।

ডা. দীপু মনি বলেন, ‘আমরা শিক্ষায় অনেক এগিয়েছি। আমাদের অনেক সাফল্য। এখন কীভাবে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা যায়, সেই বিষয়টি আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জ। একজন শিক্ষার্থী শুধু ভালো ফল করবে তা নয়, সচেতন ও সুনাগরিকও হবে। এটিই আসলে মানসম্মত শিক্ষা। একজন শিক্ষার্থীর জন্য মানসম্মত শিক্ষা অর্জন করতে হলে স্বাস্থ্যের বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। যা ১০ বছর আগেও ভাবা সম্ভব হয়নি।’

যৌন হয়রানির বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নৈতিকতার শিক্ষা প্রয়োজন, আমাদের সংবেদনশীলতা দরকার এবং শিক্ষার্থীদের সাহসী হওয়া প্রয়োজন। প্রথমেই বড় ঘটনা ঘটে না। যখন হয়রানির শিকার হয়েও কেউ চুপ থাকে, তখন অপরাধীরা সুযোগ পেয়ে যায়। তখন অনেক সময় বড় ঘটনা ঘটে।

পরিবারের সবাইকে সংবেদনশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘নিপীড়ন রোধে সচেতন ও সংবেদনশীল আচরণ পরিবার থেকেই শুরু করতে হবে। বাবা-মায়ের সচেতন হতে হবে, শিক্ষকদের সচেতন হতে হবে।’

নৈতিকতার শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি আরও বলেন, নৈতিকতার বিষয়টি ভেঙে গেলে জোড়া লাগানো যায় না। এরজন্য বিশেষ কোনও সুপারগ্লু নেই। শিক্ষার্থীদের নৈতিকতার শিক্ষা দিতে হবে। গণমাধ্যমকে ভূমিকা রাখতে হবে।

এসময় পজেটিভ সংবাদ প্রকাশ করে দেশের মানুষের মাইন্ডসেট পরিবর্তনের আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচর্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, গণমাধ্যম পজেটিভ বা নেগেটিভ সংবাদ করবে না, তারা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার করবে। তাহলেই অপরাধীকে চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা সম্ভব হবে। দেশের মানুষের নৈতিক অবক্ষয়রোধে গণমাধ্যম ভূমিকা রাখছে, ভবিষ্যতে গণমাধ্যম আরও কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষকরাই শিক্ষার্থীদের নৈতিকতার শিক্ষা দেবে, যদি তা না হয় সেই লজ্জা শিক্ষককেই বহন করতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ্, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী, শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য সচিব শাহজাহান আলম সাজু, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ফওজিয়া রেজওয়ান, সিটি কলেজের অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ এডুকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি মোস্তাফা মল্লিক, সাধারণ সম্পাদক এস এম আববাস এবং সাংগাঠনিক সম্পাদক নূর এ আলম পিন্টু।

Previous article১৫ মিনিটের বেশি টিভি দেখলে শিশুদের সৃজনশীলতা কমে:গবেষণা
Next articleমানসিক চাপ কমাতে কানের লতিতে ক্লিপ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here