
প্রথমত আপনাকে অবশ্যই ভালো থাকতে হবে, দ্বিতীয়ত দয়ালু মনোভাব থাকতে হবে। যদি ভেবে দেখেন তবেই বুঝতে পারবেন উদারতাই সবকিছু। যদিও ভালোবাসা, স্নেহ অনেক বড় কিছু কিন্তু ভালোবাসা আর উদারতা এক নয়। দয়ালু হওয়া ভালোবাসার থেকে কিছুটা বেশি। কারণ উদারতা জিনিসটা অভ্যাসের ব্যাপার। যাকে আপনি ভালবাসেন না, তার ক্ষেত্রেও আপনাকে উদার থাকতে হবে।
দয়ালু হওয়া বা উদারতার অভ্যাস করা খুবই কঠিন একটি কাজ। যাদের প্রতি আপনি বিরক্ত, যাদের জন্য আপনার ক্ষতি হচ্ছে, হতাশার সৃষ্টি হচ্ছে, বেদনাদায়ক অনুভূতি হচ্ছে তাদেরকেও ক্ষমা করা শিখতে হবে। দয়ালু হওয়াটা মা-বাবা, আত্মীয়, বন্ধুদের ক্ষেত্রে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
উদারতা জিনিসটা পৃথিবীতে খুব বেশি প্রয়োজন। এর বিকল্প হয় না এবং এটা সমাজ ও মানুষের জন্য খুবই দরকারি। দয়া খুবই ইতিবাচক প্রভাব ফেলে আমাদের জীবনে এবং এটা স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো, যা রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ ঠিক রাখে এবং শরীরের জ্বালাপোড়া কমিয়ে দেয়।এটা আমাদের ব্রেইনে গঠনে পরিবর্তন আনে।
ঔপন্যাসিক হেনরি জেমস বলেছেন, “মানুষের জীবনে ৩ টি জিনিস গুরুত্বপূর্ণ দয়ালু হওয়া, দয়ালু হওয়া, এবং দয়ালু হওয়া।’’
প্রত্যেক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমরা হয় সম্পরকটা এগিয়ে নিয়ে যাই, নয়তো বাদ দিয়ে দেই।উদারতা আপনাকে দয়ালু ও সহানুভূতিশীল হতে শিখাবে।
উদারতা এমন নয় যে, আপনাকে অন্যের সন্তুষ্টি বা শান্ত রাখতে হবে; এটা এমন যা আপনাকে অস্বাচ্ছন্দ্যকর ও অশোভন পরিস্থিতিতেও শান্ত থেকে ভালোভাবে বিষয়টা মোকাবেলা করার বুদ্ধি দিবে।
তথ্যসূত্র: সাইকোলজি টুডে ডটকমে প্রকাশিত এর রচনা অনুবাদ করেছেন সুস্মিতা বিশ্বাস।
লিংক: https://www.psychologytoday.com/us/blog/the-dance-connection/201712/the-most-life-changing-resolution-you-could-ever-make