শিশু ও তরুণদের আত্মহত্যা প্রবণতা বাড়ছে, জায়গা নেই হাসপাতালে

0
53

সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাজ্যে শিশু ও তরুণদের মধ্যে বাড়ছে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা। তুলনামূলকভাবে বাড়ছে আত্মহত্যা প্রবণতাও। ইংল্যান্ডসহ যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহরে মানসিক অসুস্থতার হার সাধারণত বেশি হওয়ার কারণে সেখানকার হাসপাতালগুলোতে সব সময় ভিড় লেগে থাকে। এজন্য গুরুতর অবস্থা না হলে সরকারি হাসপাতালগুলোতে সহজে ভর্তি নেওয়া হয় না।

সম্প্রতিক সময়ে তরুণদের মাঝে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসকে। সম্প্রতি এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে দেশটির ‘লুক এহেড কেয়ার অ্যান্ড সাপোর্ট’ নামক একটি সংস্থার বার্ষিক প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একদিকে তরুণ-তরুণিদের মাঝে মানসিক স্বাস্থ্য অবনতি প্রবলভাবে বেড়েছে, বেড়েছে আত্মহত্যা প্রবণতা। অন্যদিকে ‘হাসপাতালগুলোতে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় একাধিকবার আত্মহত্যা চেষ্টা করেছে’- এমন না হলে তরুণদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে না বা ভর্তির জন্য রেফার করছে না স্বাস্থ্যকর্মীরা।

২০২০ থেকে ২০২১ সালে দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সাথে মানসিক স্বাস্থ্য সেবার জন্য যোগাযোগকারীদের মধ্যে অন্যান্য সময়ের তুলনায় শিশু এবং যুবকদের সংখ্যা প্রায় এক তৃতীয়াংশ বেড়েছে। এই শিশু কিশোরদের মানসিক স্বাস্থ্য চিকিৎসা সেবার জন্য পরিবারগুলো কেবলমাত্র সরকারি স্বাস্থ্যসেবার ওপর নির্ভর করে। এর প্রধান কারণ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে চিকিৎসা ব্যয় অতিরিক্ত।

এই সংকট মোকাবেলায় একাধিক সুপারিশ করেছে ‘লুক এহেড কেয়ার অ্যান্ড সাপোর্ট’। জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবার আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এনএইচএস (NHS) ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট কর্তৃক পরিচালিত দ্য হোপ সার্ভিসের উদাহরণ দিয়ে সংস্থাটি বলছে, হাসপাতাল সেটিংয়ের বাইরে কমিউনিটি ভিত্তিক নতুন আবাসিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে। যেখানে চিকিৎসা খরচ অর্ধেকেরও বেশি (৫২ শতাংশ) কমে আসবে।

সংস্থাটি বলছে, এই ধরনের আবাসিকগুলো ওইসব রোগীদের জন্য বিকল্প হবে যারা জাতীয় স্বাস্থ্যসেবার অধীনে হাসপাতালে ভর্তির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার শর্ত পূরণ করেনি।

হোপ সার্ভিসে এক্ষেত্রে ১১-১৮ বছর বয়সী শিশু ও যুবক-যুবতীদের নিবিড় পরিচর্যা সহায়তা প্রদান করে থাকে। তাদের ইনপেশেন্ট ইউনিটে বিশেষ প্রক্রিয়ায় ভর্তি প্রতিরোধ বা সংক্ষিপ্ত করে। সঙ্কটে থাকা তরুণদের জন্য আউট-অফ-আওয়ার সহায়তা দেয় এবং মানসিক স্বাস্থ্য মূল্যায়নের জন্য ৭দিন পর্যন্ত বিশেষ ইউনিটে সংকটে থাকা ব্যক্তিদের আবাসিক যত্ন প্রদান করে। এরপর প্রয়োজন অনুযায়ী স্থায়ী ওয়ার্ডে ভর্তি বা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পরিবারের কাছে ছেড়ে দেওয়া হয়।

সূত্র : মেন্টাল হেলথ টু ডে ইউকে অবলম্বনে শাহনূর শাহীন

মূল প্রতিবেদনটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন :

/এসএস/মনেরখবর/

Previous articleস্বজন হারানোর শোক কাটাতে আত্মোন্নয়ন কর্মশালা
Next articleনতুন সাইকিয়াট্রিস্টস হলেন ৯ জন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here