শারীরিক ও মানসিক স্বস্তির জন্য আরামদায়ক ঘুমের ৩টি টিপস

0
116

ঘুম মানুষের কর্মময় দিনের দিনের ক্লান্তির উপশম। ঘুমকে বলা হয় প্রাকৃতিক ঔষধ। ঘুমের ব্যাঘাতের কারণে আমাদের শারীরিক মানসিক নানান সমস্যা হতে পারে।

ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক বলছেন যে, ঘুমের ব্যাঘাতের ফলে মস্তিষ্কে অ্যালঝাইমারের সাথে যুক্ত দুটি প্রোটিনের মাত্রা বেড়ে যায়। যা বিটা অ্যামাইলয়েড এবং টাউ নামে পরিচিত। এর কারণে আমাদের মস্তিকে বিরুপ প্রভাব পড়ে।

সাধারণত আমরা দেখতে পাই কম ঘুমালে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়, কাজে মনোযোগ থাকে না। এছাড়াও শারীরিকভাবে দূর্বল অনুভব করি। আবার অতিরিক্ত ঘুম হলেও রয়েছে নানান ক্ষতি। স্থুলতা বেড়ে যাওয়া, সময়ের কাজ করতে না পারা সহ নানান অসুবিধা। অর্থাৎ প্রাত্যহিক জীবনে ঘুম এমন একটি রুটিক কাজ যা এলোমেলো হলে আমাদের জীবনটাই এলোমেলো হয়ে যাবে। সুতরাং সুস্থ জীবনযাপনের জন্য পরিমিত এবং নিয়মিত ঘুম প্রয়োজন।

আমরা কীভাবে আমাদের মস্তিষ্ককে সর্বোত্তম স্তরে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় ঘুম দিতে পারি সে বিষয়ে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক মিশেল ব্রাউন আদর্শ ঘুমের জন্য তিনটি উপায় বর্ণনা করেছেন। সাইকোলজি টুডে’র সৌজন্যে মনের খবর পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরছেন শাহনূর শাহীন

১. কত সময় ঘুমাবেন তা নির্ধারণ করুন

প্রতিদিন গড়ে প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য ৭ থেকে ৯ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন হয়। অনেকের কম বা বেশিহতে পারে। এখন আপনার কতটুকু ঘুম প্রয়োজন আগে সেটা নির্ধারণ করুন। আপনি কীভাবে জানবেন কতটা আপনার জন্য সর্বোত্তম? এখন যতটুকু ঘুমোচ্ছেন তাতে  আপনি যদি সতেজ বোধ করেন, অ্যালার্ম ঘড়ি ছাড়াই জেগে উঠতে পারেন এবং বালিশে মাথা লাগালেই ঘুম চলে না আসে তাহলে বুঝবেন আপনার যথেষ্ট ঘুম হচ্ছে। অন্যথায় আপনার ঘুমের সময় বাড়িয়ে নিতে হবে। সেইটুকু সময় বাড়িয়ে নিন যতটুকু ঘুমালে আপনি সতেজ বোধ করবেন।

২. ঘুমের প্রস্তুতি নিন

আরামদায়ক ঘুমের জন্য আপনাকে প্রস্তুতি নিতে হবে। ঘুমোতে যাওয়র আগেই ঘরের আলো বন্ধ করতে হবে। ঘুমানোর কমপক্ষে ১ ঘন্টা আগে থেকে টেলিভিশন, সেল ফোন, ট্যাবলেট বা এ জাতীয় নীল আলো ছড়ানো ডিভাইস বন্ধ করুন। কেননা কারণ নীল আলো মেলাটোনিন হরমোনে আঘাত করে। যা ঘুম প্ররোচিত হরমোন হিসেবে পরিচিত।

৩. ঘুম না আসলে উঠুন

ঘুমোতে যাওয়ার পর ১০ মিনিটের মধ্যে আপনার ঘুম না আসে তাহলে উঠুন। আরামদায়ক কিছু করুন। আমরা যখন শুয়ে থাকি আর ঘুম না আসে তখন নানান কিছু চিন্তা করি। এসময় আমাদের মস্তিস্ক ঘুমের মুডে না গিয়ে চিন্তা মুডে চলে যায়। সুতরাং ঘুম না আসলে উঠে যান। ধ্যান করুন অথবা বই পড়ুন। যখন বিরক্তি চলে আসবে তখন আবার বিছানায় যান। এভাবে করতে থাকুন। তাহলে আপনার মস্তিস্ক চিন্তার মুডে না গিয়ে সহজেই ঘুমের মুডে যাবে। ফলে আরামদায়ক একটি ঘুম হবে।

সর্বোত্তম ঘুমকে অগ্রাধিকার দেওয়া আপনার মস্তিষ্ককে দ্রুত কাজ করতে সাহায্য করে। স্মৃতিশক্তি প্রখর করে এবং আপনার আলঝেইমারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। এছাড়াও সর্বোত্তম ঘুম আপনার দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে এবং মেজাজ, জীবনের মান এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

মিশেল ব্রাউন এর লেখা মুল নিবন্ধ পড়তে ক্লিক করুন

এই বিভাগের অন্যান্য লেখা পড়তে ক্লিক করুন

/এসএস/মনেরখবর/

Previous articleদাম বাড়ছে মনের খবর মাসিক ম্যাগাজিনের
Next articleবিষণ্ণতা মানুষকে ইতিবাচক চিন্তা থেকে দূরে রাখে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here