বিষণ্ণতা মানুষকে ইতিবাচক চিন্তা থেকে দূরে রাখে

যারা হতাশাগ্রস্ত তারা নিজেদের সম্পর্কে নেতিবাচক বিশ্বাস পোষণ করে। বিষণ্ণতায় আক্রান্ত ব্যক্তির অনেক বিশ্বাস বা ধারণা প্রায়শই বাস্তবতার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হয় না। উদাহরণস্বরূপ, বিষণ্ণতায় আক্রান্ত ব্যক্তি হয়তো ভাবতে পারে, ‘কেউ আমার সম্পর্কে সত্যিই চিন্তা করে না, আমি সত্যিই একা’। কিন্তু বাস্তবিক তার স্বজনরা তাকে নিয়ে চিন্তা করে।

বিষণ্ণ ব্যক্তি নিজের ব্যাপারে সব সময় নেতিবাচক চিন্তাভাবনা করে। সে ভাবতে থাকে তার সাথে খারাপ কিছু হতে চলছে। নিজের ব্যাপারে ভবিষ্যত খারাপ মূহুর্তের চিন্তা করে সারাক্ষণ।

গবেষকরা বলছেন যে, হতাশাগ্রস্ত ব্যক্তিরা ইতিবাচক প্রতিক্রিয়ার মুখে ‘বিশ্বাস আপডেট করার’ সাথে লড়াই করে। অর্থাৎ, হতাশাগ্রস্ত কেউ চাকরির ইন্টারভিউয়ের মুখোমুখি হলে সেটা খারাপ হবে বলে বিশ্বাস করে কেননা তারা নিজেদেরকে এর যোগ্য মনে করে না।

কিন্তু যখনই তাদেরকে চাকরির প্রস্তাব দেওয়া হয়, তখন তারা নিজেদেরকে বলে যে, ‘আমি সত্যিই ইন্টারভিউ কর্তৃপক্ষকে বোকা বানিয়েছি। আমি চাকরীর যোগ্য ছিলাম না, তাও তারা আমায় চাকরী দিয়েছে।’ অর্থাৎ তারা নিজেদের বিশ্বাস পরিবর্তেনের ক্ষেত্রে ইতিবাচক চিন্তা করতে পারে না। নিজেদের ব্যাপারে সব সময় নেতিবাচক চিন্তাই করে।

‘বিউটি সিক : হাউ দ্য কালচারাল অবসেশন উইথ অ্যাপিয়ারেন্স হার্টস গার্লস অ্যান্ড উইমেন’ নামের বিখ্যাত এই বইটির লেখক রেনি

ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিক্যাল সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত নতুন গবেষণায় বলা হয়েছে যে, যাদের বিষেণ্ণতার লক্ষণ রয়েছে তারা তাদের নিজেদের কর্মক্ষমতা সম্পর্কে ইতিবাচক চিন্তা করে না যার ফলে তারা তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়াকেত বৈধ হিসেবে দেখতে পারে না। পূর্বের ভুল বিশ্বাস তাদের বিশ্বাস পরিবর্তনে বাধা দেয়।

এই নতুন গবেষণাটি ‘কগনিটিভ ইমিউনাইজেশন’ নামক একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে। যেমন একটি ভ্যাকসিন আপনার শরীরকে সংক্রমণের জন্য কম ‘উন্মুক্ত’ করতে পারে, তেমনি চিন্তার সংকীর্ণতা প্রসারিত হতে দেয় না, বা কম প্রসারিত করে। এটা আপনার বিশ্বাসকে পরিবর্তনের জন্য কম সুযোগ দেয়। যার ফলে বিশ্বাস পরিবর্তন হয় না।

লেখক : রেনি এঙ্গেলন (পিএইচডি)
নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক
‘বিউটি সিক : হাউ দ্য কালচারাল অবসেশন উইথ অ্যাপিয়ারেন্স হার্টস গার্লস অ্যান্ড উইমেন’ এর লেখক

সাইকোলজি টুডে’ অবলম্বনে শাহনূর শাহীন। মুল নিবন্ধ পড়তে ক্লিক করুন :

এই বিভাগের অন্যান্য লেখা পড়তে ক্লিক করুন এখানে

/এসএস/মনেরখবর

Previous articleশারীরিক ও মানসিক স্বস্তির জন্য আরামদায়ক ঘুমের ৩টি টিপস
Next articleঅতি চঞ্চল ও অমনোযোগী শিশু : ভবিষ্যত কী?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here