BACAMH এর ১০ম বার্ষিক কনফারেন্স ও সাধারণ মিটিং অনুষ্ঠিত

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ড. মিলন হলে ২৭ ও ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হলো “বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন ফর চাইল্ড এন্ড এ্যাডোলেসেন্ট মেন্টাল হেলথ (বিএসিএএমএইচ)” এর ১০ম বার্ষিক কনফারেন্স ও সাধারণ মিটিং। এবারের প্রতিপাদ্য ছিলো- “বাংলাদেশে শিশু-কিশোরদের মানসিক স্বাস্থ্যের অগ্রাধিকার।”
প্রথম দিন সকাল ৯টায় বিএসিএএমএইচ এর সেক্রেটারি জেনারেল ডা. হেলাল উদ্দিন আহমদ এর  স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। একে একে বক্তব্য রাখেন বিএসিএএমএইচ এর প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ এস আই মল্লিক ও সাবেক সভাপতি প্রফেসর ডা. ঝুনু শামসুন নাহার। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ সাইকিয়াট্রিস্ট এর সভাপতি প্রফেসর ডা. ওয়াজিউল আলম চৌধুরী, বিএসএমএমইউ এর এ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা. শরাফুদ্দিন আহমদ এবং রিসার্চ ও ডেভেলপমেন্ট এর প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা. মোঃ শহীদুল্লাহ সিকদার। দিনের এই প্রথম পর্বের সভাপতিত্ব করেন বিএসিএএমএইচ এর বর্তমান সভাপতি প্রফেসর ডা. এম এ সালাম।
সকাল ১০টায় শিশুদের ধ্বংসাত্মক আচরণমূলক ব্যাধির বিকাশ, ব্যবস্থাপনা ও প্রতিরোধ বিষয়ক কর্মশালা পরিচালনা করেন কানাডার ম্যাকমাস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যাসিস্টেন্ট ক্লিনিক্যাল প্রফেসর ডা. মুরাদ বখত।
চা বিরতির পর, সকাল ১১টা ১৫ মিনিটে প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ এস আই মল্লিক বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে শিশু-কিশোরদের মানসিক স্বাস্থ্যের অগ্রাধিকার শীর্ষক বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এরপরে পরপর চারটি পূর্ণাঙ্গ সেশন অনুষ্ঠিত হয়। কিশোরদের নিজেকে আঘাত করা বিষয় নিয়ে সেশন পরিচালনা করেন প্রফেসর ডা. ঝুনু শামসুন নাহার। অবসেসিভ কমপালসিভ ডিজঅর্ডারে আক্রান্ত শিশু-কিশোরদের পরিবারে অবস্থানগত সমস্যা নিয়ে সেশন পরিচালনা করেন ড. সুলতানা আলগিন। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্রফেসর ডা. আজিজুল ইসলাম সেশন পরিচালনা করেন জীবনব্যাপী এ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপারএক্টিভ ডিজঅর্ডার এর ব্যবস্থাপনা নিয়ে এবং ডা. হেলাল উদ্দিন আহমদ শিশু-কিশোরদের হতাশাগ্রস্ততা নিয়ে সেশন পরিচালনা করেন।
মধ্যাহ্ন ভোজের পরে দুপুর ৩টার দিকে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ মেন্টাল হেলথ এর এ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর ডা. মো. জহির উদ্দিন ‘ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জ’ বিষয়ক একটি কেস স্টাডি উপস্থাপন করেন। পরবর্তীতে বিকাল সাড়ে ৪টায় মজিদ মাজিদি পরিচালিত ইরানি সিনেমা ‘চিল্ড্রেন অফ হেভেন’ প্রদর্শিত হয় এবং সাতটার দিকে অনুষ্ঠিত হয় এক মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠান সূচিতে ছিলো সাইন্টিফিক সেমিনার ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিতর্ক প্রতিযোগিতা। র‍্যাফেল ড্রয়ের মাধ্যমে দুইদিনের অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয় বিকেল চারটায়।
প্রতিবেদক, মনেরখবর.কম


লক্ষ্য করুন- মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক খবর বা প্রেস রিলিজও আমাদের পাঠাতে পারেন। বৈজ্ঞানিক সেমিনার, বিশেষ ওয়ার্কশপ, সাংগঠনিক কার্যক্রমসহ মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক যে কোনো খবর পাঠাতে news@www.monerkhabor.com এই ইমেইলটি ব্যবহার করতে পারেন আপনারা।

Previous articleবাচ্চাকে কেন শেখাতে চান? কতটা শেখাতে চান? কীভাবে শেখাতে চান?
Next articleখাদ্যাভ্যাস বদলে ফেলা এত কঠিন কেন?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here