স্বামীকে চলাফেরায় সন্দেহ হয়

যৌন ভীতি আপনার সঙ্গীকেও প্রভাবিত করতে পারে

সমস্যা:  আমার নাম সামিনা সিমি। বিয়ে হয়েছে ৪ বছর। একটি দেড় বছরের মেয়ে আছে। আমার স্বামী মোটামুটি ভালো মানুষ। খুব সাধারণ চলাফেরা। কম কথা বলে। বেশির ভাগ সময়ই নিয়ম মেনে চলতে চেষ্টা করে।
কোনো কারণে তার সেই নিয়মের বাইরে কিছু করলেই আমি তাকে সন্দেহ করি। একটু রাত করে বাড়ি ফিরলে বা রাতে যদি কারো ফোন আসে আমার সন্দেহ হয়। কি সন্দেহ করি সেটাও সব সময় বলতে পারবো না। একেক সময় একেকটা মনে হয়। প্রথম সে বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতোনা, শুধু হাসতো। ইদানিং সে বিরক্ত হয়। হঠাৎ হঠাৎ ক্ষেপেও যায়।
একদিন তার মোবাইল আমাকে দিয়ে বললো, ‘যাও সারাদিন কোথায় কোথায়, কার কার কাছে ফোন করলাম, তাদের সবাইকে আবার ফোন দেও। তারপর জিজ্ঞেস করো কেন ফোন দিয়েছিলাম।’
আমি কিছু বলিনি। কিন্তু আমার ঐদিন বেশ অপমান লেগেছে। আমি জানি এতে করে আমিও কষ্ট পাই আবার তাকেও কষ্ট দেই। এটা একধরনের মানসিক সমস্যা আমি বুঝতে পারি। কিন্তু কি করবো?
 
পরামর্শ: এটা যে এক ধরনের মানসিক সমস্যা, এ ব্যাপারে আপনার নিজেরও কোনো সন্দেহ নেই। সমস্যা মানেই রোগ নয়। তবে সেটা যদি আপনার ব্যক্তিগত, পারিবারিক বা পেশাগাত জীবনে যথেষ্ট প্রভাব ফেলে তবে সেটা চিকিৎসার আওতায় আনা উচিত।
যে কোন সন্দেহের পিছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। সত্যি, মিথ্যা বা অন্য কোনো কারণ। তবে মানসিক যেসব কারণে মানুষের ভেতর সন্দেহ প্রবণতা থাকে সেসবও ভালো করে যাচাই করা উচিত। যেমন; অবসেশন, ব্যক্তিত্বের সমস্যা, পূর্ব অভিজ্ঞতা, কর্মহীনতা সহ অনেক কারণ থাকতে পারে। পারিবারিক পরিবেশও অনেক বড় ভূমিকা রাখে। তাই চট করে, এথেকে বেশি বলাটা ঠিক হবে না।
ছোটকাল থেকে বড় হতে হতে অনেক সময় এ ধরনের শিক্ষাও সন্দেহের কারণ হতে পারে। মনের ভেতর অবচেতনভাবে থাকা কোনো ঘটনাও এমন প্রবণতা তৈরি করতে পারে। তবে আপনি যদি মনে করেন যথেষ্ট কারণ নাই। তবে সেটা আপনার ব্যক্তিত্বের সমস্যা হবার সম্ভাবনাই বেশি।
যে কারণে আপনার অনিচ্ছাকৃত এই সমস্যাটি আপনাদের পারিবারিক ও দাম্পত্য জীবনে খুব বেশি সমস্যা সৃষ্টি করার আগেই মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করুন। সবচেয়ে আগে দরকার সমস্যাটির নির্দিষ্ট কারণ খুঁজে বের করা। কারণ বের করতে পারলে সমাধান বের করা সহজ হবে।

Previous articleরাজধানীতেই হচ্ছে ন্যাশনাল অটিস্টিক একাডেমি
Next articleব্রিটেনে আত্মহত্যা প্রতিরোধ বিষয়ক মন্ত্রী নিয়োগ
চেয়ারম্যান, মনোরোগবিদ্যাি বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here