স্পোর্টস ক্লাব মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সহায়ক

ক্রীড়া সংঘগুলো হতে পারে নিউজিল্যান্ডের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষদের বিষণ্নতা থেকে দূরে রাখার চাবিকাঠি এমনটি মনে করেন নিউজিল্যান্ডের বিখ্যাত All Black ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা Siq John Kirwan।
Kirwan দীর্ঘদিন ধরে মানসিক দুশ্চিন্তা ও বিষণ্নতা প্রতিরোধ করতে সচেতনতা তৈরির কাজ করছেন। তিনি স্পোর্টস ক্লাবগুলোকে নিউজিল্যান্ডের লোকদের মানসিক সুস্বাস্থ্যের জন্য আবশ্যক বলে অভিহিত করেছেন।
তিনি মনে করেন যে এরকম ক্লাবগুলো গ্রামীণ অঞ্চলের লোকদের একত্রিত করতে পারে এবং এদের গুরত্বকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই।
Bayleys Country নামক ম্যাগাজিনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন যে,”রাগবি ক্লাবগুলো এখন শহর অঞ্চলে জনপ্রিয় হলেও গ্রামের লোকদের মাঝে এখনও এর অনেক জনপ্রিয়তা আছে। আমি মনে করি এদের গুরত্বের দিকে মনোযোগ দেয়া উচিৎ।” তিনি আরো বলেন, “আমরা লোকদের কুসংস্কার দূর করার চেষ্টা করছি এবং লোকজনকে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করছি। এতে করে তারা জীবনীশক্তি ফিরে পাবে। তাদের স্থানীয় রাগবি দলকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি যাতে করে তাদের দির্ঘদিনের চিন্তাধারার বদল ঘটে।”
এরকম ক্লাবগুলো সক্রিয় হলে এসবের ফলে তারা একত্রিত হতে পারবে। কেননা মানসিক চাপ নিউজিল্যান্ডের লোকদের প্রধান একটি সমস্যা। বিশেষ করে এর প্রত্বন্ত অঞ্চলের লোকদের মাঝে যেখানে মানসিক সহায়তা এখনো অপ্রতুল। ফলে এই এলাকাগুলোতে মানসিক চাপ আরো বেড়ে যেতে পারে। কেননা তাদের যেমন ঠিকমতো মানসিক স্বাস্থ্যের পরিচর্যা নেই তেমনি নেই কোনো নির্মল বিনোদনের ব্যবস্থা। এরকম ক্লাবগুলো তাদের জন্য হতে পারে নির্মল বিনোদনের আধার।
নিউজিল্যান্ড রাগবি বোর্ডের স্থানীয় রাগবি বিভাগের প্রধান Brent Anderson মনে করেন যে স্থানীয় এসব ক্রীড়া সংঘগুলো এই সম্প্রদায়ের লোকদের মানসিক উৎসাহ ও উদ্দীপনা যোগাতে সহায়ক। তিনি বলেন,”আমরা দেখেছি যখন শহরের রাগবি টিম জিতে যায় তখন তার প্রভাব পুরো এলাকায় ছড়িয়ে যায়। গ্রামেও এর ব্যতিক্রম ঘটবে না।”এসব কারণে স্থানীয় এরকম ক্লাব গুলো তৈরি করা জরুরি।
তিনি আরো বলেছেন,”স্থানীয় লোকদের এই নতুন যুগের অনেক চ্যালেন্জের ভেতর দিয়ে যেতে হচ্ছে।” এ অঞ্চলগুলোতে এখনও ঠিকমতো উন্নতি নেই। এখানে নেই কোনো ব্যাংক, পোস্টঅফিস। এ অঞ্চলগুলোর কর্মজীবী লোকজন ও তাদের কাজের উপর এই ক্লাবগুলো ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে যা নতুন চ্যালেন্জের সাথে মানিয়ে নিতে প্রস্তুত করবে। ক্লাবগুলো লোকদের মাঝে পরিবারসুলভ ও বন্ধুত্ত্বপুর্ণ পরিবেশ বজায় রাখে।
২০১১ সালে মাদক ও মদ্যপানের উপর করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে, এখানকার ক্লাবগুলো লোকদের স্বাস্থ্যের প্রতি সচেতন করছে। ফলে মাদক থেকে দূরে থেকে তারা সামাজিক ও অর্থনৈতিক দিক দিয়ে আরো সমৃদ্ধ হচ্ছে।
তথ্যসূত্র- নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড
http://www.nzherald.co.nz/nz/news/article.cfm?c_id=1&objectid=11727016
আব্দুল্লাহ আল মামুন, আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মনেরখবর.কম

Previous articleযে স্বপ্ন মানুষকে ঘুমাতে দেয় না সেটাই হলো আসল স্বপ্ন: কবি হেলাল হাফিজ
Next articleবডি ডিজমরফিক ডিজঅর্ডার: রোগী যখন নিজের কোনো অঙ্গকে অস্বাভাবিক ভাবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here