শিশুকে সহমর্মিতা শেখাতে পারেন যেভাবে

0
169
শিশুকে সহমর্মিতা শেখাতে পারেন যেভাবে

যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ইঁদুরদৌড়ে সন্তানকে যোগ্য করে তুলতে গিয়ে আমরা যেন ভুলেই যাচ্ছি সহমর্মিতা ও সংবেদনশীলতার মত মুল্যবোধের গুরুত্ব। বিশেষজ্ঞদের মতে, সংবেদনশীলতা বা “এমপ্যাথি” সাধারণত তিনধরনের হয়, ইমোশন্যাল, কগনিটিভ এবং কমপ্যাশনেট। ইমোশন্যাল এমপ্যাথি আমাদেরকে অন্যের দুঃখের অংশীদার হতে বা সমব্যথী হতে সাহায্য করে। কগনিটিভ এমপ্যাথি আমাদেরকে অপরের দৃষ্টিভঙ্গি বা পারস্পেকটিভ সম্পর্কে অবগত করে। কমপ্যাশনেট এমপ্যাথি মানুষকে অন্যের অনুভূতি বুঝে সঠিক পদক্ষেপ নিতে সাহায্য করে।

 আবেগ চিনতে শেখান

  • ছোটবেলা থেকেই বাচ্চাকে বিভিন্ন আবেগের সঙ্গে পরিচয় করানো ভাল। কারসঙ্গে খারাপভাবে কথা বললে, বা আঘাত করলে তার যে মন খারাপ হয় বা সে যে ব্যথা পেতে পারে সেই সম্পর্কে ওকে জানিয়ে রাখুন। “তোমার এই আচরণে আমি খুব কষ্ট পেয়েছি, বা তোমার বোন খুব কেঁদেছে” এই ধরনের কথা বলতে সঙ্কোচ করবেন না। একইসঙ্গে ওকে প্রশ্ন করুন, “এরকম ব্যবহার কেউ তোমার সঙ্গে করলে, তোমার ভাল লাগবে?”
  • অন্যের দুঃখ-কষ্ট বা সুবিধা-অসুবিধাকে সঙ্গে একাত্ব হওয়াই কিন্তু সহমর্মিতার প্রথম সোপান। তবে বকাঝকা করে নয় ঠাণ্ডামাথায়, নরমভাবে বোঝাবেন কোথায় ওর ভুল হয়েছে। যারসঙ্গে ও খারাপ ব্যবহার করেছে তার কাছে “সরি” বলার শিক্ষা দিন।
  • কারও প্রতি সহমর্মিতা দেখালে, কাউকে সাহায্য করলে আপনার শিশুকে  প্রশংসা করতেও ভুলবেন না।

প্রচলিত নীতিগল্পর সঙ্গে পরিচয় করান

  • বাচ্চাদের মধ্যে সহানুভূতিশীলতা গড়ে তুলতে হলে, নিয়মিত ঈশপের গল্পের মত প্রচলিত নানান নীতিকথা শোনান। একইসাথে বইও উপহার দিতে পারেন। এতে ওর মধ্যে সহমর্মিতাও গড়ে উঠবে, বই পড়ার সুঅভ্যাসও তৈরি হবে।
  • কমবেশি বহু বাচ্চাই কার্টুন বা কমিকসের ভক্ত। তাই ওর প্রিয় সুপারহিরো বা চরিত্র কীভাবে অন্যের পাশে দাঁড়ায়, অপরের দুঃখ বোঝে, সে সম্পর্কে ওকে বুঝিয়ে বলুন।

নিজেও করুন সহমর্মিতার চর্চা

  • বাচ্চা কিন্তু আপনাকে দেখেই শিখবে। তাই নিজে আগে যথাসম্ভব সহানুভূতিশীল হোন। শিশুকে দেখিয়ে নিজেই এর চর্চা শুরু করুন জীবনে। দেখবেন আপনিই হয়ে উঠবেন ওর সহমর্মিতা শেখার আদর্শ শিক্ষক!
  • বাচ্চাকে সমাজের সমস্ত শ্রেণীর মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে উৎসাহ দিন।
  • একটু বড় হলে, ওকে সঙ্গে করে সপ্তাহে অন্তত একদিন কোনও বৃদ্ধাশ্রম, অনাথাশ্রম বা অ্যানিম্যাল শেল্টারের মত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় নিয়ে যেতে পারেন। অন্যের দুঃখ-কষ্টের সঙ্গে পরিচিত হবে ও। দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াতেও শিখবে।

স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে

 

Previous articleছোট খাটো মন খারাপ দূর করতে ডায়েট!
Next articleবার্ধক্যে মানসিক রোগ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here