যৌন বা Sex শব্দটি একটি ল্যাটিন শব্দ, যার অর্থ দুই ভাগ বা অংশ। এখানে দুই ভাগ বলতে মূলত নারী ও পুরুষ এ’দুটি ভাগকেই বুঝানো হয়।
যৌনতা
আমরা জানি যৌন বিষয়টি নারী ও পুরুষ, পরস্পরের প্রতি এক ধরনের আকর্ষণ। উভয়ের শরীর ও মনের তীব্র এক টান। নারী ও পুরুষের পরস্পরের প্রতি এই টান বা আকর্ষণকে কেন্দ্র করে মানুষের ব্যক্তিগত, সামাজিক, পারিবারিক ও সাংস্কৃতিক যে আচরণ, চিন্তা-ভাবনা ও বৈশিষ্ট গড়ে উঠে সেসবের সবকিছুই হলো যৌনতা (Sexuality)। যৌনতার সাথে সংশ্লিষ্ট যেকোনো আচরণই যৌনাচরণ বা sexual behavior ।
যৌনাচরণ
যৌনাচরণ শুধু যে মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ তা নয়, অন্য যেকোনো প্রাণীদের মাঝেও এই আচরণ দেখা যায়। যৌন ইচ্ছা বা চাহিদাটি মেটানোর জন্য প্রাণীটি বা মানুষ যে যে আচরণ করে, তার সবই যৌনাচরণের ভেতর পরে। কাউকে আকর্ষণ করার বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গী কিংবা প্রকাশও এসবের অন্তর্গত। কেউ যদি যৌনচাহিদা পূরণের উদ্দেশ্যে গান গেয়ে অন্য কাউকে আকর্ষণ করতে চায় তবে, এখানে গান গাওয়াটিও যৌনাচরণের মধ্যে পরে।
যৌনাচরণ ও মন
যৌনাচরণের মূল নিয়ন্ত্রক মন। যদিও যৌনাচরণ গুলোকে সম্পূর্ণভাবে বর্ণনা করার জন্য, অন্যান্য আচরণের মতোই আরো অনেকগুলো দিকের সাহায্য নিতে হয়। যেমন-শারিরীক (Anatomical Aspect), শরীরের বিভিন্ন সিস্টেমের ফাংশন (Physiological Aspect), সামাজিক (Sociological Aspect), দর্শন গত (Philosophical Aspect)। তবুও মানসিক বা Psychological Aspect এখানে প্রধানতম। যত রকম যৌনাচরণ আছে তার মধ্যে অবশ্যই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও জীবনের সঙ্গে সবচেয়ে বেশী সম্পৃক্ত যৌনাচরণ হচ্ছে, যৌনমিলন বা Sexual intercourse|
যৌনভাবনা বিষয়টি কি?
যৌনভাবনা বা Sexual intention জীব চরিত্রের একটি অতি সাধারণ বৈশিষ্ট। প্রতিটি পূর্ণ বয়স্ক স্বাভাবিক জীবনের সরল একটি চাহিদা। এটিকে biological need বা শরীরগত চাহিদাও বলা যায়। কেউ কেউ জৈবিক চাহিদাও বলে থাকেন। খাবার, ঘুম বা মল-মূত্রত্যাগের মতো, দৈনন্দিন জীবনের একটি অনস্বিকার্য্য ও স্বাভাবিক শারিরীক প্রয়োজনীয়তা। মানুষের ব্যক্তিগত, পারিবারিক বা সামাজিক জীবনের অনেক কিছুই, সুস্থ্য বা অসুস্থ্য যৌনজীবনের উপরও নির্ভর করে। যৌনইচ্ছা বা যৌনভাবনা, যৌনতা এবং যৌনাচরণ সবকিছুই পরস্পরের উপর নির্ভরশীল।