মানসিক স্বাস্থ্য সেবার চিকিৎসার উন্নয়নে একত্রিত হয়েছে পরিবার

মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়ার পর যখন প্রথমবারের মত তার ছেলে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পায় জ্যাকি পাওয়েল এর কোন ধারণা ছিল না তার কি করা উচিত, সাহায্যের জন্য কোথায় যাওয়া উচিত। পাওয়েল বলেন, “আমার জন্য সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা ছিল ওকে সাধারণ জীবন যাপনে ফিরিয়ে আনা”।
তিনি আরো বলেন, “তখন সাহায্য পাওয়া খুবই কঠিন যখন দেখা যায় যে বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন রকম সাহায্য নিতে হবে। এক জায়গায় সাজানোভাবে সবকিছু পাওয়া যায় না। সব সেবাগুলো সব জায়গায় ছড়ানো ছিটানোভাবে পাওয়া যায়”।
এই জন্য গত চার বছর আগে পাওয়েল এবং অন্যান্য বাবা মা তাদের সন্তান যারা মানসিক সমস্যায় ভুগছে তাদের নিয়ে ‘মমস লাইক আস’ নামে একটি গ্রুপ গঠন করার জন্য একত্রিত হন। এই গ্রুপ বর্তমানের অনেক বড় একটি কাজের শুরু ছিল। বর্তমানে এই গ্রুপটি বিভিন্ন সম্প্রদায়ে, ক্লাবহাউসের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করে এবং মানসিক স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক সেমিনার ও আলোচনার আয়োজন করে। মানুষের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্তদের জন্য সমর্থনের মনোভাব তৈরি করে।
পাওয়েল যার ছেলের বয়স ২৬ বছর এবং পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে জানা গেছে ছেলেটি বাইপোলার রোগে আক্রান্ত। পাওয়েল বলেন, “আমার ছেলের মত যারা মানসিক সমস্যায় ভুগছে তাদের জন্য একটি পবিত্র এবং শান্তিপূর্ণ জায়গা প্রয়োজন যেখানে তারা তাদের জন্য সব ধরনের সাহায্য চাইতে পারবে এবং তাদের প্রয়োজনীয় সাহায্য পাবে”।
তিনি বলেন, “যারা আমাদের ক্লাবহাউস অথবা গ্রুপের সাথে যোগাযোগ করবে তারা আমাদের মক্কেল নয় সদস্য হিসেবে কাজ করবে। তারা যে কোনো ধরনের কাজে আমাদের সাহায্য করতে পারবে। এমনকি তারা হাসপাতালের সেবাও পাবে, আবার যেকোনো পেপার ওয়ার্ক, চাকুরী অথবা গৃহস্থালীর কাজ এবং যে কোনো সামাজিক কার্যক্রমও করতে পারবে”।
আমাদের এই কানেকশন প্লেস (সংযোগ স্থান) এর একটি পরিচালকদের বোর্ড (বোর্ড অব ডিরেক্টরস) আছে এবং ক্রমবর্ধমান সাম্প্রদায়িক সমর্থকদের একটি গ্রুপ আছে। এটি কিছুদিন আগে সম্প্রতি ২৪০০০ ডলার গ্রান্ট এর একটি অনুদান গ্রহণ করে। অনুদানটি আসে ১০০ জনের একটি মহিলা গ্রুপের কাছ থেকে। গ্রুপটির নাম ১০০ উইমেন হু কেয়ার ভিক্টোরিয়া।
পাওয়েল বলেন তারা পরিকল্পনা করছেন তারা ক্লাবহাউসের প্রধান অংশটিকে আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক হিসেবে ব্যবহার করবেন। ১৯৪৮ সালে বিশ্বব্যাপী ৩৩০ টি ক্লাবহাউসের সমন্বয়ে একটি নেটওয়ার্ক গঠন করা হয়েছিল। তিনি বলেন তাদের রিচমন্ডের ক্লাবহাউস যা পাথওয়েস নামে পরিচিত তা সবার দ্বারা সফলভাবে সমর্থিত এবং সফল।
তিনি বলেন, “আমাদের ক্লাবহাউসটির জন্য বিনিয়োগের অর্থ হিসেবে যা প্রাপ্ত তা অবিশ্বাস্য এটি আমাদের জন্য মডেল”। তাদের এই গ্রুপটিকে কমপক্ষে দেড় মিলিয়ন ডলার টাকা তুলতে হবে তাদের গ্রুপটির কাজ সুন্দর ভাবে শুরু করার জন্য। মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্তদের সেবা প্রদানের জন্য তাদের যা যা দরকার তা একত্রিত করার জন্য অনেক অর্থের প্রয়োজন।
বি.সি সিজোফ্রেনিয়া সোসাইটি ভিক্টোরিয়া-এর নির্বাহী পরিচালক হ্যাযেল মেরেডিথ বলেন, “যারা মানসিক সমস্যায় ভুগছে সবসময়ই তাদের সেবার জন্য একটি ভাল পরিবেশের প্রয়োজন। আমরা আরো বেশি পরিমাণে মানুষের সমর্থন একত্রিত করতে চাই দেখতে চাই কত মানুষ আমাদের সাথে একত্রিত হয়। আমরা দেখতে চাই আমাদের গ্রুপের সক্ষমতা কেমন। আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য সেবায় অনেক ফাঁক ফোকর রয়েছে। আমাদের এই ফাঁক ফোকরগুলোকে বন্ধ করে একটি নিরাপদ পরিসেবার তৈরি করতে হবে।
 
তথ্যসূত্র-
(http://www.timescolonist.com/news/local/families-unite-to-fill-in-gaps-on-mental-health-1.18657075)
কাজী কামরুন নাহার, আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মনেরখবর.কম

Previous articleস্মার্টফোন শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলে
Next articleনিজেকে মানসিক অসুস্থ একজন মানুষ মনে হয়

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here