বিষণ্নতা সম্পর্কে যা জানা প্রয়োজন

দুই বছর হতে চললো আমাদের প্রিয় অভিনেতা রবিন উইলিয়াম আত্মহত্যা করেছেন। হয়তো রবিন উইলিয়ামের আত্মহত্যার প্রকৃত কারণ আমরা কোনদিনও জানতে পারবো না। হতে পারে বংশগতির প্রবাহ থেকে মানসিক রোগ প্রাপ্তি, যার কারণে তিনি নিজেও স্মৃতিভ্রম রোগে ভুগছিলেন। আরেকটি কারণ না বললেই নয় সেটি হলো তিনি ভুগছিলেন গুরুতর বিষণ্নতা রোগে।
বিষণ্নতায় আক্রান্ত হোক বা না হোক মানুষের হতাশা বা বিষণ্নতা সম্পর্কে ১০টি বিষয় জেনে রাখ জরুরি।
১.বিষণ্নতা হতে পারে জীনগত সমস্যার কারণে: সাম্প্রতিক কালের কিছু গবেষণায় দেখা গেছে মানুষের দৈহিক গঠনের সাথে বিষণ্নতা সম্পর্কিত। গবেষণামতে নির্দিষ্ট কিছু জীন হতাশার কারণ হতে পারে। বিজ্ঞানীরা দেখিয়েছে, মস্তিষ্কের নিউরনের সাথে সম্পর্কিত ১৫ ধরনের জীন বিষণ্নতার কারণ হতে পারে।
২.শারীরিক অসুস্থতা থেকে সৃষ্টি হতে পারে বিষণ্নতা: দৈহিকভাবে অসুস্থ যে কেউ সহজেই বিষণ্নতায় আক্রান্ত হতে পারে। মানিয়ে নিতে না পারা, মাথাব্যথা বা নিদ্রাহীনতা থেকে সৃষ্টি হতে পারে বিষণ্ণতা রোগ।
৩.বিষণ্নতার নতূন চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার করতে বিজ্ঞানীরা অঙ্গীকারবদ্ধ: বর্তমান গবেষণাগুলোতে দেখা যায়, ক্রমাগত রিসার্সের ফলে বিজ্ঞানীরা এর প্রতিষেধক, থেরাপী তৈরি করছে যা বিষণ্নতা প্রতিরোধে কার্যকর।
৪.বিষণ্নতা একটি সাধারণ অসুখ: বিশ্বব্যাপি প্রায় ৩৫০মিলিয়ন মানুষ বর্তমানে কম-বেশি বিষণ্নতায় আক্রান্ত। ফলে এটি সাধারণ একটি রোগ।
৫.বিষণ্নতা ব্যাঘাত ঘটায় দৈনন্দিন কাজে: বিষণ্নতায় ভুগলে যেকোনো কাজের প্রতি মানুষের মনোযোগ নষ্ট হয়ে যায়। ব্যাহত হয় দৈনন্দিন কাজকর্ম। University Of Michigan এর Depration Center থেকে দেয়া তথ্যমতে, বিষণ্ণতার দরুণ প্রতিবছর ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতি হয়।
৬.যে কেউ যেকোনো সময় আক্রান্ত হতে পারে এই রোগে: মানব দেহের অন্যান্য রোগের মত যেকোনো ব্যক্তি সহজেই এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। Kerry Washinton এর মতো সেলেব্রিটি বা Bradon Marshall এর মতো ক্রীড়া ব্যক্তিও নিজের বিষণ্নতার কথা প্রকাশ করেন।
৭.সামাজিকভাবে বিষণ্নতাকে মেনে নেয়া কঠিন: আমাদের সমাজে বিষণ্নতা বা বিষণ্নতায় আক্রান্ত ব্যক্তি সম্পর্কে অনেকের খারাপ ধারণা আছে। মানুষ মনে করে বিষণ্ণতায় আক্রান্ত ব্যক্তি কাজে অমনযোগী বা আক্রমনাত্মক হতে পারে।
৮.বিষণ্নতায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা বিষণ্নতাকে গোপন রাখত চায়: লজ্জা, ভয় বা অন্যান্য কারণে মানুষ চায় যে তাদের এ দূর্বলতা গোপন থাকুক। গবেষণায় দেখা গেছে, কুসংস্কারের দরুণ মানুষ বিষণ্নতার চিকিৎসা পর্যন্ত করাতে ইচ্ছুক না।
৯.গুরুতর বিষণ্নতা হতে পারে আত্মহত্যার কারণ: হতাশার চিকিৎসা না করালে তা মানসিকভাবে কাউকে পুরোপুরি ভেঙে দিতে পারে। ফলে বেছে নিতে পারে আত্মহত্যার পথ।
তথ্যসূত্র- হাফিংটন পোষ্ট
http://www.huffingtonpost.com/entry/what-to-know-about-depression_us_57a35261e4b0e1aac914f546
আব্দুল্লাহ আল মামুন, আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মনেরখবর.কম

Previous articleবিএসএমএমইউ-তে বৈজ্ঞানিক সেমিনার অনুষ্ঠিত
Next articleআমাদের শিশু ও তাদের ভাষা সমস্যা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here