ছেলে কিন্তু ছেলে হিসাবে নিজেকে আর দেখতে চায় না; মেয়ে কিন্তু মেয়ে হিসাবে নিজেকে আর মেলাতে চায় না। এমন ঘটনা খুব বেশি না হলেও মাঝে মাঝে পাওয়া যায়। আমাদের দেশে বা সমাজে এটি তুলনামুলকভাবে কমই পাওয়া যায় অন্যান্য উন্নত দেশের তুলনায়। এটাকে জেন্ডার আইডেন্টিটি ডিজঅর্ডার বলে।
এই রোগে একজন মানুষ যেটা নিয়ে জন্ম গ্রহণ করেছেন সেটাতে তিনি আরাম বোধ করেন না। নিজেকে অন্য লিঙ্গের লোক মনে করেন। নিজের লিঙ্গ পরিবর্তন করতে চান। অন্য লিঙ্গের মানুষের আচরণ অনুকরণ, অনুসরণ করেন। বিপরীত লিঙ্গের জামা কাপড় পড়েন, তাদের সাথে থাকতে, খেলতে পছন্দ করেন। তারা এটাও প্রত্যাশা করেন যে, অন্যরা তাকে বিপরীত লিঙ্গের লোক মনে করবে ও তাদের ন্যায় আচরণ করবে। তারা নিজের পোশাক, চলনভঙ্গি, ভাষা, শব্দ চয়ন, গলার কণ্ঠ সবই অনুকরণ করেন বা করতে চান বা করতে পছন্দ করেন।
ছেলে বা মেয়ে উভয়ের মধ্যেই এই রোগ দেখা যায়। ছেলেরা মেয়েদের মত পোশাক পড়ে, মেয়েদের সাথে খেলে বা খেলতে পছন্দ করে, মনে করে সবাই তাকে মেয়ে হিসাবে মানুক ও আচরণ করুক।
মেয়েদের ক্ষেত্রেও ঠিক এমনটি দেখা যায়। তারা নিজেদেরকে ছেলে হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রাণান্ত চেষ্টা করতেও পিছপা হন না। বেশির ভাগই নিজের সমাজ, পরিচিতি সবই ত্যাগ করতেও রাজী থাকেন।
এই রোগের সাথে বেশিরভাগেরই অন্যান্য মানসিক রোগ থাকতে পারে কারণ তাদেরকে প্রতিনিয়তই পরিস্তিতির বিপক্ষে লড়াই করতে হয়।
বাচ্চাদের আচরণের পরিবর্তন লক্ষ্য করা ও দ্রুত রোগ নির্ণয় করে উপযুক্ত চিকিৎসা নিশ্চিত করলে ভালো ফলাফল পাওয়ার সম্ভবনা বেশি। দেরি হলে আসলেই এটি একটি জটিল রুপ নেয়।
প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব। মনের খবরের সম্পাদকীয় নীতি বা মতের সঙ্গে লেখকের মতামতের অমিল থাকতেই পারে। তাই মনের খবরে প্রকাশিত কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় নেবে না কর্তৃপক্ষ।