অধিকাংশ ব্রিটিশ কর্মজীবী নিজেদের মানসিক সমস্যায় নিরব থাকে

বৃটিশ কর্মজীবীদের ৭০ ভাগ কোনো না কোনো মানসিক সমস্যায় ভোগে। কিন্তু Business in the Community নামক একাটি দাতব্য সংস্থার করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, মানসিক সমস্যায় ভুগলেও তারা চিকিৎসা না করিয়ে নিরব থাকে।
এদের মধ্যে ৬২% তাদের কর্মক্ষেত্রে আসার পর অথবা কর্মক্ষেত্রের চাপে এরকম সমস্যায় পড়েছে। যদিও বর্তমানে অধিকাংশ কর্মক্ষেত্রের কর্মকর্তারা স্বীকার  করে যে, কর্মচারীদের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকা নিশ্চিত করা তাদের দায়িত্ব।
প্রায় ২০০০০ জন কর্মজীবীর কাছ নেয়া সাক্ষাৎকার থেকে দেখা যায়, ৪৯% কর্মজীবী তাদের মানসিক সমস্যা নিয়ে তাদের কতৃপক্ষের সাথে কথা বলতে আগ্রহী নয়। ৫৬% কর্মজীবীর মতে তাদের কতৃপক্ষকে না জানানোর কারণ হলো তারা এ বিষয়ে তেমন কিছুই করতে পারবে না। লাইন ম্যানেজার হিসেবে কাজ করা একজন শ্রমিক বলেন, “এটা নিয়ে কথা বলা হয়
না। কারণ মনে করা হয় শ্রমিকদের মানসিক সমস্যাটা তাদের একান্ত নিজের।”
আরেকজন বলেন,”এখনো এরকম ক্ষেত্রে অনেক অন্ধবিশ্বাস আছে। কেননা এই প্রতিযোগিতা মূলক ক্ষেত্রে কেউই তার দুর্বলতার কথা প্রকাশ করতে চাবে না।”
শ্রমিক বা কর্মজীবীদের যখন এই অবস্থা তখন তাদের বস বা ম্যানেজারের সাথে কথা বলে দেখা গেছে, ৯৭% সিনিয়র ম্যানেজার তাদের শ্রমিকদের সাথে এ নিয়ে কথা বলতে ইচ্ছুক যদি শ্রমিকরা চায়। যদিও ৮০% ম্যানেজার স্বীকার করে নেয় যে, প্রাতিষ্ঠানিক বাধ্যবাধকতার কারণে তারা শ্রমিকদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিতে পারে না। কিন্তু ৬৩% ম্যানেজার  বিশ্বাস করে যে, শ্রমিকদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেয়া তাদের দায়িত্ব।
Louise Aston যিনি Business in the Community এর ডিরেক্টর তিনি বলেছেন, “হাজারো শ্রমিক ও কর্মচারী তাদের মানসিক সমস্যা নিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে গেছে, যা কাউকে বলতেও পারছে না। যখন তা মাত্রা ছাড়িয়ে যায় তখন মাত্র অল্প কয়েকজন এ নিয়ে কথা বলে। আমাদের সন্ধানে দেখা গেছে আমাদের শ্রমিকদের আরো বেশি খোলামেলা, প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত হওয়া উচিৎ ও তাদের জন্য আরো সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা উচিৎ। ”
কাজের চাপ, বিনোদনের অভাব, অল্প ছুটি, চাকুরী হারানোর ভয় সহ নানান কারণে এরা চাপের মাঝে থাকে। কর্মস্থলের পরিবেশ, বেতন-ভাতাও এর পেছনে দায়ী। উপরন্তু এত সমস্যার পরেও কারখানা বা অফিসগুলোতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হয় না। ফলে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য অবহেলিত হয়ে আসছে অনেক দিন ধরে। এসকল শ্রমজীবীরা যখন ভাবতে শুরু করবে যে, মানসিক সুস্থতা শারীরিক সুস্থতার মতই জরুরি তখনি অবস্থা বদলাতে পারে। আর মালিকদের উচিৎ তার কর্মচারীদের প্রয়োজনমতো কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ ও সুরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করা।
তথ্যসূত্র- দ্যা ইনডিপেন্ডেন্ট
http://www.independent.co.uk/news/uk/home-news/mental-health-uk-workers-employees-workplace-manager-boss-stress-anxiety-depression-a7343031.html
আব্দুল্লাহ আল মামুন, আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মনেরখবর.কম

Previous articleবিএসএমএমইউ-তে "এক্সপোজার এন্ড রেসপন্স প্রিভেনশন ফর ওসিডি" শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
Next articleপ্রিম্যা‌চিউর ইজাকু‌লেশন হয় সাধারণত পারফরম্যান্স এ্যাংজাই‌টির জন্য

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here