অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের অর্থবহ জীবন প্রদানে ভাষাবিজ্ঞানের ভূমিকা

অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের অর্থবহ জীবন প্রদানে ভাষাবিজ্ঞানের ভূমিকা

যেকোন ভাইরাস, ব্যকটেরিয়া ইত্যাদিতে মানুষ যেকোন বয়সে শারিরীকভাবে রোগাক্রান্ত হতে পারে, ব্যহত হতে পারে সেই মানুষটির দৈনন্দিন কার্যকলাপ। ঠিক তেমনিভাবে যেকোন বয়সে যেকোন মানুষেরই বিভিন্ন কারণে তার মনের বিকাশ হঠাৎ করে থেমে যেতে পারে অথবা মানসিক রোগ তৈরী হতে পারে। এই রোগের কারণে তৈরী হতে পারে ব্যক্তিগত, পারিবারিক অথবা সামাজিক পর্যায়ে বৈকল্য। ব্যহত হতে পারে সেই মানুষটির দৈনন্দিন কার্যকলাপ।

আমাদের সমাজে আমরা শারিরীক অসুস্থতাকে খুব সাদরে গ্রহণ করতে পারি, হোক তা ডায়াবেটিক, ডেঙ্গুজ্বর, যৌনরোগ অথবা ক্যান্সারের মত মরণব্যাধি। কিন্তু যদি কোন মানুষের মনোরোগ দেখা দেয় তখন আমাদের সামাজিক প্রতিবন্ধকতার কারণে শারিরীক রোগের মত মনোরোগকে সাদরে গ্রহণ করতে পারিনা।

আজ যদি আমরা বর্তমান বিশ্বে একটু দৃষ্টিপাত করি এবং গভীরভাবে অনুধাবন করি তাহলে বুঝতে পারব যে, ”শিশুদের বিকাশজনিত সমস্যা” আজকের পৃথিবীর এক অনিবার্য বাস্তবতা। অটিষ্টিক অথবা অটিজম স্পেক্ট্রাম ডিস্অর্ডার শিশুরা তাদের মধ্যে অন্যতম।

অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের মনের বিকাশজনিত সমস্যায় একটি শিশু মনের আবেগ, অনুভূতি, চিন্তা চেতনাকে ভাষার মাধ্যমে প্রকাশ করে যোগাযোগ স্থাপন করে। সামাজিকতা সম্পন্ন করতে পারে না। ভাষাবিকাশ ও প্রকাশে লক্ষণীয় সীমাবদ্ধতার কারণে অটিজম শিশুদের আচরণগত সমস্যা পরিলক্ষিত হয়।

২রা এপ্রিল “অটিজম সচেতনতা দিবস”। জাতিসংঘ সহ বিশ্বের অনেক দেশই এই দিনটিকে অটিজম সচেতনতা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। বাংলাদেশেও এই ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। সরকারি পর্যায়ে বাংলাদেশের কার্যকলাপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে আসছে। কারণ আজকের শিশু আগামীর ভবিষ্যত; হোক সে অটিস্টিক অথবা বিশেষ শিশু (স্পেশিয়াল চাইল্ড)।

বিপুল বিস্ময় রয়েছে মানুষের দেহে। প্রকৃতির সহজাত নিয়মেই মানুষ বেড়ে ওঠে মাতৃগর্ভে। অতি ক্ষুদ্র ভ্রুণ হতে ধীরে ধীরে শারীরিক ও মানসিক বিকাশে পরিপূর্ণ ও পরিপক্ক হয়ে তৈরী হয় মানব দেহ। আপাতদৃষ্টিতে নয় মাসের গর্ভধারনের সময়টি খুব ছোট হলেও এই সময়টিতে ঘটতে থাকে বিস্ময়কর পরিবর্তন। একটি সুস্থ মানব শিশুর শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধির জন্য গর্ভকালীন মায়ের স্বাস্থ্য রক্ষা অর্থাৎ শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুস্থ পরিবেশে মায়ের অবদানেই হতে পারে একটি মানব শিশুর শারীরিক ও মানসিক অর্থাৎ মনের বিকাশ।

মন মস্তিষ্কের অংশ, যা চিন্তা চেতনা আবেগ, অনুভূতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। যার মাধ্যমে আমরা কোন কিছু শনাক্ত করতে, জানতে এবং বুঝতে পারি। জন্মের পর প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী মন সক্রিয় হয়ে উঠে। শারীরিক বৃদ্ধির সাথে সাথে বিকশিত হতে শুরু করে মনও। কারণ একটি শিশু তখন তার চারপাশের মানুষ সমন্ধে ধারণা লাভ করে। বস্তু সম্পর্কে শেখে, নতুন কৌশল আয়ত্ত্বে এনে চারপাশের পরিবেশের সঙ্গে ভাষার মাধ্যমে বাচনিক এবং অবাচনিক উপায়ে যোগাযোগ স্থাপিত করে অনেক তথ্য, জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা লাভ করে।

তাই কেবল জন্মগতভাবে প্রাপ্ত “জিন” ই নয়, শিশুর বুদ্ধিমত্তা বিকাশে ভাষার গুরুত্ব অপরিসীম। আর তা নিশ্চিত করতে পারে সুস্থ ঐশ্বর্য্যময় ভাষা সমৃদ্ধ পরিবেশ।

শিশু তার চারপাশের পরিবেশ হতে বিভিন্ন বস্তু বিষয়ক শব্দ যেমন আয়ত্ত্ব করে। ঠিক তেমনি সে বিচিত্র বিমূর্ত বা ভাব বিষয়ক শব্দ, সামাজিক আত্মীয়তাবাচক শব্দ এবং আবেগ সংবেদন সম্পর্কিত ধারণা শিখে থাকে যা তার মস্তিষ্কের শব্দ ভান্ডারের ধারণার প্রায়োগিক কাঠামোতে জমা হতে থাকে। যদি কোন শিশুর শারীরিক, স্নায়ুগত ও মনোরোগের সমস্যা না হয়ে থাকে তবে এই ধারাবাহিকতাকে স্বাভাবিক বলেই ধরে নেয়া হয়। এবং একটি শিশু ৫ বছরের মধ্যেই মাতৃভাষার প্রয়োজনীয় সব নিয়ম কানুন আয়ত্ত্ব করে ফেলে। পৃথিবীর সবকিছু সবসময় আপন নিয়মে চলে না। কখনও কখনও স্বাভাবিক নিয়মের ব্যতিক্রমও হয়ে থাকে।

অটিজম হচ্ছে মস্তিষ্ক / মনের বিকাশের একটি অসম্পূর্ণ অবস্থা। এ সমস্যা বর্তমান সময়ের সমস্যা নয়, বরং সব যুগেই এর অস্তিত্ব ছিল। যেহেতু এ সমস্যা বিষয়টি সম্পর্কে মানুষ তখন তেমনভাবে সচেতন ছিল না, সেহেতু এ ধরনের সমস্যা নিয়ে তাদের ভাবনার তেমন একটা অবকাশও ছিল না। তার একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে, তখন অটিষ্টিক অথবা অটিজম স্পেক্ট্রাম ডিস্অর্ডার ছাড়াও আরও অনেক তীব্র ও দীর্ঘমেয়াদী শারীরিক ও মানসিক সমস্যাদি বর্তমান ছিল। যার দরুণ সে সময়কার মানুষ এ সমস্যা সম্পর্কে সচেতন থাকার তেমন কোনো প্রয়োজনীয়তা বোধ করতেন না।

এই বিশ্ব ব্রম্মান্ডে যত মানব জাতি আছে সকলেরই একটা “মন” আছে। মন ছাড়া কোন মানব জাতির অস্তিত্ব অকল্পনীয়। ভ্রুন অবস্থায় মাতৃগর্ভে আসার প্রথম তিন সপ্তাহের মধ্যে মস্তিস্ক তথা স্নায়ুতন্ত্র গঠন প্রক্রিয়ার সাথে সাথে। আর এইজন্যই গর্ভাবস্থায় পরিবারের সবাইকে মায়ের সাথে ভাল আচরণ, সঠিক যত্ন এবং বিনোদনের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়। কারণ একটি স্বাভাবিক শিশু ৫ মাস বয়স থেকেই কানে শুনতে পায়।

মনের স্বাস্থ্যের অতি গুরুত্বপূর্ণ অংশই হলো “আবেগ”। এই আবেগকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। “ইতিবাচক আবেগ” (আদর, ভালবাসা, মায়া, মমতা, সুখ, আনন্দ) এবং “নেতিবাচক আবেগ” ( রাগ, ক্ষোভ, ঘৃনা, কষ্ট) ইত্যাদি। এই আবেগ গুলো স্থান, কাল, পাত্র ভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। কেননা যেকোন মানুষই তার চিন্তা বহিঃপ্রকাশ করেন আবেগের মাধ্যমে। শুধু যে চিন্তারই বহিঃপ্রকাশ করছেন তা নয়, সাথে সাথে সামাজিকতা সম্পন্ন করছেন। আর ভাষা হচ্ছে তার অন্যতম প্রধান মাধ্যম। হোক তা বাচনিক অথবা অবাচনিক উপায়ে কিন্তু এই ভাষার বহিঃপ্রকাশ হতে হবে প্রতিবেশ এবং পরিবেশ অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট। আর একেই বলে সামাজিকতা।

মন যেহেতু থাকে মস্তিস্কে সেহেতু মনের সাথে নিউরনের সম্পর্ক নিবিড়। যদিও এই নিউরনের গঠন শুরু হয় মাতৃগর্ভে কিন্তু নিউরনের সাথে নিউরনের আন্তঃকোষীয় সংযোগ বা সাইনাপটিক কানেকশান শুরু হয় জন্মের পর এবং সম্পূর্ন হয় তিন বছর পর্যন্ত। সর্বোচ্চ ৫ বছর পর্যন্ত নিউরন গুলো একে অপরের সাথে অবিরাম যুক্ত হতে থাকে এই সংযোগ গুলো একটি “স্নায়বিক নেটওয়ার্ক” তৈরী করে। এই স্নায়বিক নেটওয়ার্ক এর সাথে যুক্ত হতে থাকে “জিন” অর্থাৎ বংশগতির ধারক ও বাহকের সমপৃক্ততা।

ভাষার মাধ্যমে আমরা আমাদের মৌলিক আবেগ আকাঙ্খা অর্থাৎ মনোগত অবস্থাকে যেমন- চিন্তা, অভিপ্রায়, কামনা, অভিলাষ, স্বপ্ন, কল্পনা এবং ছলনা ইত্যাদি অন্যের কাছে প্রকাশ করি। এবং অন্যের মনেও যে এগুলির অস্তিত্ব আছে তা বুঝতে পারি।

যোগাযোগ এবং সামাজিকতা তখনই একটি মানুষের স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং অর্থবোধক হয়, যখন ভাষার বাচনিকতা সাথে সাথে অবাচনিকতার বিভিন্ন উপাদান যুক্ত হয়ে অন্যের কাছে অর্থবহ রুপে প্রতিবেশ এবং পরিবেশ অনুযায়ী প্রকাশ হয়।

মাতৃগর্ভে থাকাকালেই মানসিক বিকাশের সাথে সাথে ভাষা বিকাশের পর্বটি শুরু হয়। জন্মের পরই বয়স বাড়ার সাথে সাথে ভাষা আয়ত্ত্বকরণের তত্ত্ব অনুসারে একটি স্বাভাবিক শিশু পরিপার্শ্ব থেকে “ইনপুট” প্রক্রিয়ায় মাতৃভাষা আয়ত্ত্বকরণের বিবিধ বস্তুসত্ত্বা ও ভাবসত্ত্বা চিনে তা নিজের প্রজ্ঞান কাঠামোতে ধারন করে এবং পরবর্তীতে প্রতিবেশ এবং পরিবেশ অনুযায়ী ব্যবহার করে থাকে। আর ব্যতিক্রম ঘটে তখনই যখন কোন মানুষ তার সামাজিক কর্ম সম্পন্ন করতে গিয়ে বাচনিকতা বা অবাচনিকতার কোনটিরই আশ্রয় নিতে না পারে। তখনই তার ভাষা বৈকল্যের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

বর্তমানে ভাষা সমস্যায় আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। শিশুরা তাদের মধ্যে অন্যতম। অটিষ্টিক অথবা অটিজম স্পেক্ট্রাম ডিস্অর্ডার হচ্ছে মস্তিষ্ক বিকাশের একটি অসম্পূর্ণ অবস্থা যেখানে একটি শিশুর মানসিক বিকাশের পাশাপাশি ভাষা বিকাশের এবং প্রকাশের অসম্পূর্ণতা লক্ষনীয়। যার দরুন অটিষ্টিক শিশুরা :-

১)সরাসরি বক্তার দিকে মুখ তুলে চোখে চোখে তাকায় না ।

২) ভাষা অনুধাবনের ক্ষেত্রে এবং মানসিক ত্ত আবেগগত বহিঃপ্রকাশে তাৎপর্যপূর্ণভাবে সীমাবদ্ধতা পরিলক্ষিত হয়ঠ। কারন ভাষার প্রত্যেকটি শব্দই কোন না কোন বক্তব্যকে ধারন করে যার মধ্যে লুকিয়ে থাকে নানা অর্থগত ব্যঞ্জনা। মূলত শব্দ উচ্চরণের দ্বারাই যেকোন শিশু তার কাঙ্খিত মনের বক্তব্যকে অন্যের কাছে তুলে ধরে এবং অন্যের কাছ থেকে ব্যক্ত কোন শব্দ হতে অর্থ খুজে বের করে। সামাজিকতার জন্য যোগাযোগ কর্মটি সাধিত করে। অটিষ্টিক অথবা অটিজম স্পেক্ট্রাম ডিস্অর্ডার শিশুর মধ্যে ভাষিক বক্তব্য বলতে এবং বুঝতে তাৎপর্যপূর্ণভাবে সীমাবদ্ধতা পরিলক্ষিত হয় ।

৩) সংলাপ চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা। অর্থাৎ ভাষার যৌথ মনোযোগের মাধ্যমে যোগাযোগ করে অন্যের মনোগত অবস্থাকে যেমন বুঝতে পারে না তেমনিভাবে নিজের মনোগত অবস্থাকে অন্যের কাছে প্রকাশ করতে পারে না অথবা বিলম্ব ঘটে।

৪)শিশুর আয়ত্ত্বকৃত শব্দের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেক কম। বিশেষ করে, ‘যাই’, ‘করি’, ‘খাই’ ইত্যাদি পরিচিত ক্রিয়াপদ ব্যতীত বৈচিত্র্যময় ক্রিয়াপদের সংখ্যা নেই বললেই চলে। এবং কিছু স্বরের পুনঃপুন অনুকরণ করে ।

৫)সমবয়সীদের সাথে অন্তরঙ্গ হতে সমস্যা। প্রতীকি খেলা এবং অর্থবহ খেলা খেলতে অসামর্থ্য।

৬)শিশুরা বয়স বারার সাথে সাথে শব্দাবলী ও বিভিন্ন ভাষিক উপাদান আয়ত্ত করে তখন এসব ভাষাগত উপাদানের সাহায্যে সে পরিবার সমবয়সী শিক্ষক ও সমাজের অন্যান্য সবার সঙ্গে যোগাযোগের যোগ্যতা অর্জন করে । যোগাযোগের এই যোগ্যতার সারকথা হচ্ছে বিভিন্ন সমাজিক প্রতিবেশে ভাষা বিচিত্র ভাষিক উপাদানের সঠিক ও কৌশলগত ব্যবহারের দক্ষতা অর্জন করা। মানুষ সামাজিক প্রয়োজনে ভাষা ব্যবহার করতে শিখলেও কিছু কিছু সামাজিক ব্যবহারে দক্ষতা অর্জনের জন্য যোগাযোগের যোগ্যতার আবশ্যকতা রয়েছে। বিশেষ করে প্রশ্ন করতে শেখা, কাউকে অনুরোধ বা আদেশ করা কিছু প্রত্যাখান করা, অসম্মতি প্রকাশ, ক্ষমা চাওয়া, প্রশংসা করা, নমনীয়তার গুন অর্জন করা ইত্যাদি। আরো অনেক সামাজিক দক্ষতা যা যোগাযোগে তাৎপর্য পূর্ণ ভ’মিকা পালন করে। নির্দিষ্ট পরিবেশ বা প্রতিবেশ অনুযায়ী ভাষা ব্যবহারের এই দক্ষতাকে প্রায়োগিক দক্ষতা নামেও অভিহিত করা হয়। অটিষ্টিক অথবা অটিজম স্পেক্ট্রাম ডিস্অর্ডার শিশুদের মধ্যে প্রায়োগিক দক্ষতার তাৎপর্যপূর্ণভাবে সীমাবদ্ধতা পরিলক্ষিত হয়।

৭) অটিষ্টিক অথবা অটিজম স্পেক্ট্রাম ডিস্অর্ডার শিশুর ভাষার যৌথ মনোযোগের মাধ্যমে যোগাযোগ করে অনের মনোগত অবস্থাকে যেমন বুঝতে পারে না। তেমনিভাবে নিজের মনোগত অবস্থাকে অন্যের কাছে প্রকাশ করতে পারে না অথবা বিলম্ব ঘটে। এর ফলে অটিষ্টিক শিশুদের মধ্যে কিছু অকার্যকর বা অনুপোযোগী আচরণ যেমন- বার বার একই আচরণের পুনরাবৃত্তি, আত্মঘাতমূলক, আগ্রাসনমূলক এবং ধ্বংসাত্মক আচরণ পরিলক্ষিত হয়।

অটিজমে আক্রান্ত কোন শিশুর চিকিৎসা শুরুর পূর্বে প্রয়োজন রোগ নির্নয়। অর্থাৎ শিশুটি অটিস্টিক কিনা তা নির্নয় করতে হবে এবং স্পীচ ল্যাংগুয়েজ থেরাপী নেওয়ার উপযোগী কিনা অর্থাৎ হাইপার একটিভিটি আছে কিনা সেটাও নির্ণয় করতে হবে। আর তা করবেন একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ এবং প্রয়োজনে ঔষধ ও প্রদান করবেন। একজন চিকিৎসা ভাষাবিদ একটি শিশুর মধ্যে ভাষার উপাত্তগুলোর মধ্যে কোনটি কতটুকু আক্রান্ত হয়েছে তা খুজে বের করেন এবং সেই অনুযায়ী তার চিকিৎসা ব্যবস্থা দিয়ে থাকেন। যাকে বলা হয় “স্পীচ ল্যাংগুয়েজ থেরাপী”। যত তাড়াতাড়ি একটি শিশুর এই উপাত্তগুলোকে খুজে বের করে চিকিৎসার আওতায় আনা যাবে তত তাড়াতাড়ি একটি শিশুর আচরণগত অবস্থার উন্নতি হবে। কারণ বয়স বাড়ার সাথে এই উপাত্তগুলোর কার্যক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে থাকে।

আমাদের উদ্দেশ্য একটি অটিস্টিক শিশুকে “অর্থবহ জীবন” প্রদান করা। যাতে সে পরিবার, সমাজ ও দেশের জন্য বোঝা না হয়ে যায়।

মনের খবর মাসিক ম্যাগাজিন ক্রয়ের বিশেষ অফার

স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে

Previous articleযে চার‌টি লক্ষণে যৌন আস‌ক্তি প্রকাশ পায়
Next articleঅটিজম সচেতনতা দিবসে BACAMH এর ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত
চিকিৎসা ভাষাবিদ এবং মনোরোগ বিশেষজ্ঞ সহকারী অধ্যাপক (মনোরোগ বিদ্যা বিভাগ) জেড,এইচ, সিকদার ওমেন্স মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here