মানসিক রোগ নিয়ে ধারণা, ভুল ধারণা এবং বিবিধ-পর্ব ২

‘মানসিক রোগ’ বা ‘মনোরোগ’ নিয়ে ভুল ধারণা দূর করে সঠিক ধারণা নিতে গেলে শুরুটা করতে হবে একেবারে গোড়া থেকেই। কারণ, আমাদের ভুল ধারণাগুলোর শুরু সেখান থেকেই। তাই, এই পর্বে থাকবে মন, মনোরোগ, মনোরোগবিদ্যা ইত্যাদি নিয়ে একেবারে প্রাথমিক কিছু বিষয়ের আলোচনা। উল্লেখ্য, এখানে আলোচ্য প্রতিটি বিষয়েরই পরিধি অনেক বিস্তৃত ও বহুমাত্রিক। সেহেতু, এখানে চেষ্টা থাকবে এসব বিষয় সম্পর্কে একটা সংক্ষিপ্ত ও বাস্তবতার নিরীক্ষে আলোচনা করার।

মন (Mind)
বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় মনকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে নিজস্ব দৃষ্টিকোণ থেকে। এটা করা হয়েছে নিজস্ব প্রায়োগিক ক্ষেত্রের সুবিধার কথা বিবেচনা করে। যে কারণে মন নিয়ে ধোঁয়াশা আগেও ছিল, এখনো আছে। সাধারণের মধ্যে তো অবশ্যই, ধোঁয়াশা রয়েছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যেও।
মন সংজ্ঞায়িত করা যথেষ্ট কষ্টকর। মোটামুটিভাবে গ্রহণযোগ্য এবং প্রচলিত সংজ্ঞা অনুযায়ী, একজন মানুষ যার মাধ্যমে তার চারপাশের পরিবেশ সম্পর্কে অবগত হয় বা সজাগ হয় (Consciousness) , প্রত্যক্ষকরণ বা অনুধাবন করতে পারে (Perception), চিন্তা করে (Thinking), বিচার-বিবেচনা করে (Judgment), এবং মনে রাখে (Memory) তাকেই মন বলে।[১]

mental patient-01

আরেকটি চিরন্তন দ্বন্দ্ব হচ্ছে ‘মন ও শরীর’ অথবা ‘মন ও মস্তিষ্ক’ কী একই বিষয় না আলাদা? বিজ্ঞজনদের মধ্যে এ নিয়ে অনেক তর্ক-বিতর্ক রয়েছে। বিষয়টির ব্যাখ্যায় প্রথমদিকে যে তত্ত্বটি সাড়া ফেলেছিল তার নাম ‘Mind-Body Dualism’ বা ‘Dual Aspect Theory’। এ তত্ত্ব অনুসারে, মন আর শরীর আলাদা দুটি ব্যাপার এবং এদের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে আমাদের জীবন চলে। কিন্তু বর্তমানে বলা হচ্ছে, মন ও শরীর আলাদা দুটি ব্যাপার নয়; তারা এক অভিন্ন এবং ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। অনেকে এভাবেই বুঝাতে চান -মস্তিষ্ক আর মন হচ্ছে কম্পিউটারের Hardware ও Software এর মতো। অর্থাৎ, মস্তিষ্ক ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য বিষয় আর মন মস্তিষ্কেরই কার্যকলাপ, যা ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য নয়।

এই সমস্ত তর্কবিতর্ক বা ধোঁয়াশা থেকেই সাধারণের মনে সৃষ্টি হয়েছে কিছু ভুল ধারণা (এটাই এ লেখার আলোচ্য বিষয়)। যার কারণে, মানসিক রোগ মানে শুধু মস্তিষ্কেরই কোনো বিশেষ সমস্যা ধরে নিয়ে মনোরোগ চিকিৎসকের কাছে জোর করতে থাকেন CT Scan বা MRI বা এই ধরনের বিশেষ পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য।
এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, তাত্ত্বিকভাবে অনেক বিতর্ক থাকলেও প্রায়োগিক ক্ষেত্রে অর্থাৎ মনোরোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে এসব পরীক্ষার তেমন প্রয়োজন হয় না। কেন তার উত্তর পরবর্তী আলোচনাতেই দেয়ার চেষ্টা থাকবে।

মনোবিদ্যা বা মনোবিজ্ঞান (Psychology)
বিজ্ঞানের যে শাখা ‘আচরণ’ এবং বিভিন্ন ‘মানসিক প্রক্রিয়া’ সম্পর্কে আলোচনা করে সেটাই মনোবিদ্যা। এখানে আচরণ বলতে বুঝায় একজন মানুষের যে কোনো কর্মকাণ্ড যা দেখা যায়, পরিমাপ করা যায় এবং লিপিবদ্ধ করা যায়। আর, মানসিক প্রক্রিয়া বলতে একজন মানুষের চিন্তা, স্মৃতি, আবেগ, কর্মস্পৃহা, স্বপ্ন, অনুধাবন প্রক্রিয়া এবং তার বিশ্বাস বা মূল্যবোধকেই বুঝায়।[২]

মনোবিদ্যার আলোচ্য বিষয়ের পরিধি অনেক বিস্তৃত। একজন মানুষের জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে, যেকোনো পরিস্থিতিতে তার মনের অবস্থা, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া, চিন্তা-ভাবনা, আচরণ সব কিছুই এই বিদ্যার অন্তর্ভুক্ত বা আলোচ্য বিষয়। অর্থাৎ, একজন মানুষের জন্ম থেকে বৃদ্ধাবস্থা পর্যন্ত, ব্যক্তিগত থেকে পারিবারিক-সামাজিক-রাষ্ট্রীয়; সকল প্রকার আচরণ বা মুল্যবোধ এবং এ জাতীয় প্রতিটা বিষয় মনোবিদ্যার অংশ।

জ্ঞানের বিস্তৃতির সাথে সাথে তাই মনোবিদ্যায় তৈরি হয়েছে অনেক শাখা। যদিও ঠিক কতটি তা নিয়ে মতভেদ আছে, তবুও American Psychological Association (APA) কাজের পরিধি অনুযায়ী ৪৮টি বিভাগ তৈরি করেছে ( ৪নং ও ১১নং বিভাগ নেই)। তবে, সামগ্রিক ভাবে, এই সকল কার্যাবলীকে তিনটি প্রধান শিরোনামে উল্লেখ করা যায় – শিক্ষাদানকেন্দ্রিক (Academic), গবেষণা (Research) এবং প্রায়োগিক (Practice) [৩]

চিকিৎসা মনোবিদ্যা বা চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান (Clinical Psychology)
এটি মনোবিদ্যারই একটি বিশেষ শাখা, যা মানসিক অসুস্থতা এবং আচরণগত সমস্যাসমূহ অনুধাবন এবং প্রতিকার বিষয়ে কাজ করে। [৪] এটি মূলত মন নিয়ে বিজ্ঞান, তত্ত্ব এবং এদের প্রয়োগের মধ্যে একটি সমন্বয়, যার উদ্দেশ্য হল মানসিক যন্ত্রণা বা অসংলগ্নতা (Psychologically-based distress or dysfunction) সমূহকে ভালভাবে বুঝা, প্রতিরোধ করা এবং তা দূর করা। যার ফলে, একজন ব্যক্তির ভাল থাকাটা (Subjective well-being) এবং ব্যক্তিক উন্নয়নটা (Personal development) বিকশিত হয়। এর সূচনা হয় ১৯০৭ সালে Lightner Witmer নামের একজন আমেরিকান মনোবিদের মাধ্যমে।[৫]

মনোবিদ্যার মতোই এই শাখার রয়েছে শিক্ষাদানকেন্দ্রিক এবং গবেষণাভিত্তিক কার্যাবলী। আর প্রায়োগিক ক্ষেত্রে এর মূল অংশ হল মনস্তাত্ত্বিক পর্যালোচনা (Psychological assessment) এবং মনস্তাত্ত্বিক চিকিৎসা (Psychotherapy)।[৬ ]

মনোরোগবিদ্যা (Psychiatry)
এটি চিকিৎসাবিজ্ঞানের একটি বিশেষ শাখা যা মানসিক অসুস্থতা বা রোগ সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের অনুসন্ধানে, রোগ-নির্ণয়ে, চিকিৎসায় এবং এসবের প্রতিরোধে নিয়োজিত। মানসিক অসুস্থতা বলতে মূলত মন-মেজাজ (Affective), আচরণগত (Behavioral), বুদ্ধিবৃত্তিক (Cognitive) এবং প্রত্যক্ষকরণ সংক্রান্ত (Perceptual) বিভিন্ন অস্বাভাবিকতাকেই বোঝানো হয়।[৭ ]

মনোরোগ-সংক্রান্ত পর্যালোচনা (Psychiatric assessment)-তে মনের সার্বিক অবস্থা পরীক্ষণ (Mental status examination) একটি প্রধান অংশ। তবে এই পর্যালোচনা শুরু হয় রোগীর ইতিহাস নেয়ার মাধ্যমে এবং সেই সাথে থাকে মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষণ (Psychological tests), শারীরিক পরীক্ষণ (Physical examination) এবং প্রয়োজনীয় Laboratory tests, Neuroimaging (CT Scan, MRI)প্রভৃতি।

সময়ের প্রয়োজনে মনোরোগবিদ্যাতেও সৃষ্টি হয়েছে বেশকিছু শাখা-উপ শাখার। এদের মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য শাখা হল-

• বিভিন্ন প্রকার আসক্তি-সংক্রান্ত মনোরোগবিদ্যা (Addiction psychiatry): মাদকদ্রব্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন ওষুধ, টিভি- ইন্টারনেট, জুয়া, যৌন উদ্দীপক বিভিন্ন বস্তুতে আসক্তিসহ বিভিন্ন বিষয় এর অন্তর্ভুক্ত।
• শারীরবৃত্তীয় মনোরোগবিদ্যা (Biological psychiatry) : এ শাখাতে মানসিক রোগের বিভিন্ন অবস্থাকে স্নায়ুতন্ত্রের শারীরবৃত্তীয় কার্যকলাপের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করা হয়।
• শিশু ও কিশোর মনোরোগবিদ্যা (Child and adolescent psychiatry) : এ শাখা বিশেষভাবে শিশু-কিশোরদের মনোরোগ এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কাজ করে।
• জনগোষ্ঠী ভিত্তিক মনোরোগবিদ্যা (Community psychiatry) : যেখানে জনস্বাস্থ্য-কেন্দ্রিক দৃষ্টিকোণ বিবেচনায় রেখে মনোরোগ চিকিৎসা, চিকিৎসা প্রদান পদ্ধতি ও অন্যান্য বিষয় আলোচিত হয়।
• আন্তঃসাংস্কৃতিক মনোরোগবিদ্যা (Cross-cultural psychiatry) : যেখানে জাতিগোষ্ঠীর ভিন্নতা এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য বিবেচনায় মানসিক রোগ এবং সে অনুযায়ী চিকিৎসা প্রদান পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
• জরুরি চিকিৎসাভিত্তিক মনোরোগবিদ্যা (Emergency psychiatry) : মনোরোগের যে সকল অবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা প্রয়োজন হয় সেসব বিষয় এর অন্তর্ভুক্ত।
• আইন-সম্পর্কিত মনোরোগবিদ্যা (Forensic psychiatry) : মনোরোগের সাথে সম্পর্কিত আইনি বিষয়াদি এর অন্তর্ভুক্ত।
• বয়স্ক মনোরোগবিদ্যা (Geriatric psychiatry) : বয়স্ক লোকদের মনোরোগ সম্পর্কিত বিষয়াদি।
• দ্বিপাক্ষিক মনোরোগবিদ্যা (Liaison psychiatry) : চিকিৎসা বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখার রোগীদের মানসিক সমস্যা বা মানসিক রোগের চিকিৎসা সেবা প্রদান এবং এ সম্পর্কিত বিষয়াদি এর অন্তর্ভুক্ত। বিশেষভাবে উল্লেখ করা যায়-ব্যথা নিরাময় (Pain Management), প্যালিয়েটিভ সেবা (Palliative Care) (অর্থাৎ, দীর্ঘমেয়াদী ও নিরাময় অযোগ্য রোগে উপশম বা যন্ত্রণা লাঘবকারী সেবা) প্রভৃতি যেখানে মনোরোগবিদ্যার ভূমিকা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে।
• সামরিক মনোরোগবিদ্যা (Military psychiatry): সামরিক ক্ষেত্রে যেসব মানসিক সমস্যা বা রোগ হয়, তা এ শাখার অন্তর্ভুক্ত।
• স্নায়ু-মনোরোগবিদ্যা (Neuropsychiatry) : যে শাখা মানসিক রোগের কারণে হওয়া স্নায়ুবিক রোগ নিয়ে আলোচনা করে।
• সামাজিক মনোরোগবিদ্যা (Social psychiatry) : একটা সমাজের বিভিন্ন ব্যক্তির মধ্যে সম্পর্ক ও সাংস্কৃতিক দৃষ্টিকোণ বিবেচনায় রেখে মানসিক রোগ ও মানসিক স্বাস্থ্যকে আলোচনা করা হয়।
• ক্রীড়া মনোরোগবিদ্যা (Sports Psychiatry) : বিভিন্ন ক্রীড়ার সঙ্গে সম্পৃক্তদের যেমন, খেলোয়াড়দের মানসিক সমস্যা বা রোগ, প্রতিকার ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করা হয় মনোরোগ বিদ্যার এ শাখায়।

অতীন্দ্রিয় বিদ্যা (Para-psychology)
প্রসঙ্গক্রমে, অতীন্দ্রিয় বিদ্যা বা Para-psychology-র কথাও এখানে উল্লেখ করতে চাই। সাধারণভাবে অনেকেই এটিকে মনোরোগবিদ্যার অংশ হিসেবে মনে করেন যা সঠিক নয়। অতীন্দ্রিয় বিদ্যা নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে প্রচুর বিতর্ক রয়েছে। কেউ কেউ এটিকে মনোবিদ্যার একটা শাখা হিসেবেই বিবেচনা করেন। তবে, বাস্তবতা হল এটিকে এখনো ছদ্ম বিজ্ঞান (Pseudo-science) হিসেবেই বিবেচনা করা হয়। কেননা, এর কোনো কিছুই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির যে মানদণ্ড তার মাধ্যমে প্রমাণ করা যায় না।[৮]

মনোবিদ্যা বা মনোবিজ্ঞান (Psychology), চিকিৎসা মনোবিদ্যা বা চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান (Clinical Psychology) এবং মনোরোগবিদ্যা (Psychiatry) এর মধ্যে পার্থক্য

জ্ঞান-বিজ্ঞানের যে কোনো শাখার গভীরে প্রবেশ করলে অন্যান্য শাখার সাথে পার্থক্যের চেয়ে পারস্পরিক সম্পর্কের বিস্তৃতিটাই বেশি ধরা পড়ে। বস্তুত, জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা-প্রশাখা তৈরির প্রধান কারণ একটা বিষয়ের আরো গভীরে যাওয়া, আরো ভালোভাবে বুঝতে পারা, জানতে পারা। সেই সাথে প্রায়োগিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুবিধা তৈরি হওয়াও এই বিভাজনের আরেকটা কারণ।

তাই, মনোবিদ্যা, চিকিৎসা মনোবিদ্যা এবং মনোরোগবিদ্যা একের সাথে অন্যটি অনেকভাবে সম্পর্কিত হলেও প্রায়োগিক দিক থেকে এদের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। পার্থক্যটা অনেকটা পদার্থবিদ্যা (Physics), ফলিত পদার্থবিদ্যা (Applied Physics) এবং তড়িৎ প্রকৌশলবিদ্যার (EEE)মধ্যে বিদ্যমান পার্থক্যের মতোই।
অর্থাৎ, মনোবিদ্যা প্রধানত তাত্ত্বিক। চিকিৎসা মনোবিদ্যা প্রধানত মনোবিদ্যার একাংশের প্রায়োগিক দিক; আর মনোরোগবিদ্যা একটা বিশেষায়িত বিদ্যা যা মূলত চিকিৎসাবিদ্যার একটি শাখা এবং একইসাথে মনোবিদ্যার তত্ত্ব ও প্রায়োগিক উভয় অংশের ওপর নির্ভরশীল ও ঋণী।

সূত্র
১। http://en.wikipedia.org/wiki/Mind,
২। Psychology : by A.B. Crider,4th edition, page-4-5;
৩। http://www.apa.org/divisions/div12/aboutcp.htm;
৪। http://www.oxforddictionaries.com/definition/english/clinical-psychology
৫। Compas, Bruce & Gotlib, Ian. (2002). Introduction to Clinical Psychology. New York, NY : McGraw-Hill Higher Education
৬। http://www.psychologybd.com/Clinical%20Psychology.html
৭। http://en.wikipedia.org/wiki/Psychiatry
৮। http://en.wikipedia.org/wiki/Parapsychology

লেখক
ডা. পঞ্চানন আচার্য্য
এম ডি (সাইকিয়াট্রি) ফেইজ-বি রেসিডেন্ট
মনোরোগবিদ্যা বিভাগ, বিএসএমএমইউ, ঢাকা।

এ সম্পর্কিত অন্য লেখার লিংক-

মানসিক রোগ নিয়ে ধারণা, ভুল ধারণা এবং বিবিধ -পর্ব ১

Previous articleবদলে যাচ্ছে আমাদের যৌন জীবন-পর্ব ৪
Next articleখেলায় মানসিক চাপ: ক্ষতিকর না উপকারী?
ডা. পঞ্চানন আচার্য্য। স্থায়ী ঠিকানা চট্টগ্রাম। তবে, কলেজ শিক্ষক মায়ের চাকুরিসূত্রে দেশের বিভিন্ন জায়গায় কেটেছে শৈশব। মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হন পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবং উচ্চ-মাধ্যমিক চট্টগ্রাম কলেজ থেকে। সিলেট এম. এ. জি. ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ থেকে এম.বি.বি.এস পাসের পর সরকারি চাকুরিতে যোগদান করেন। মেডিক্যালে পড়ার সময় থেকেই মনোরোগ নিয়ে পড়ার প্রতি আগ্রহ। তাই, ইউনিয়ন পর্যায়ে নির্ধারিত সময়ের চাকুরি শেষে ভর্তি হন মনোরোগবিদ্যায় এম.ডি(রেসিডেন্সি) কোর্সে। বর্তমানে তিনি একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ। বংশপরম্পরায় প্রাপ্ত শিক্ষকতার ধারা বজায় রেখে চিকিৎসক ও শিক্ষক হওয়াটাই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। বই, সঙ্গীত আর লেখালেখিতেই কাটে অবসর সময়ের বেশির ভাগ। স্বপ্ন দেখেন - মেধা ও মননশীলতার চর্চায় অগ্রগামী একটা বাংলাদেশের।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here