কোভিড-১৯ শুধুই একটি শ্বাসতন্ত্রের রোগ নয়। যতদিন যাচ্ছে ততই আরো বেশি করে স্পষ্ট হচ্ছে যে করোনাভাইরাস মানুষের মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রে বহুরকম সমস্যা সৃষ্টি করে। এরমধ্যে আছে স্ট্রোক, মানসিক বিকার, প্রলাপ, বিভ্রম, ক্লান্তি, দুশ্চিন্তা।
করোনাভাইরাস সংক্রমণে যাদের উপসর্গ তুলনামূলকভাবে কম ছিলো, তাদেরও অনেকে অভিযোগ করছেন তারা এখন অনেককিছু মনে রাখতে পারছেন না।
চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণে যাদের উপসর্গ তুলনামূলকভাবে কম ছিলো তারাও অনেকে অভিযোগ করছেন যে তারা অনেককিছু মনে রাখতে পারছেন না, কেউ আবার মানসিক অবসাদ বোধ করছেন, অনেকে আবার কোনকিছুতে আগের মতো মনঃসংযোগ করতে পারছেন না।
আর যাদের স্ট্রোক হয়েছে, তাদের পরীক্ষা করে ডাক্তাররা যা দেখেছেন তা রীতিমত ভীতিকর। এই প্রসঙ্গে কনসালট্যান্ট নিউরোলজিস্ট ডা. অরবিন্দ চন্দ্রদেবা বিবিসি’কে বলেন, রক্ত জমাট বাঁধার পরিমাণ মাপার একটা সূচক আছে যাকে বলা হয় ডি-ডাইমার। সুস্থ মানুষের ক্ষেত্রে এটা হয় ৩০০-রও কম কিন্তু স্ট্রোকের রোগীদের ক্ষেত্রে তা ১০০০-এ উঠে যায়।
ড. চন্দ্রদেবার হাসপাতাল এন এইচ এন এন-এ দু সপ্তাহের মধ্যে ছয়জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তিকে ভর্তি করা হয় যাদের স্ট্রোক হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের দেহেই রক্ত গুরুতরভাবে জমাট বেঁধে গিয়েছিলো। এর একটা কারণ হলো, করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার অতিমাত্রায় সক্রিয় হয়ে ওঠে, যাতে দেহে ও মস্তিষ্কে প্রদাহ সৃষ্টি হয়।
লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক টম সলোমন বলেন, “আগে আমরা ভাবতাম করোনাভাইরাস ফুসফুসে আক্রমণ করে কিন্তা এখন এটা স্পষ্ট যে এটা মস্তিষ্কেও সমস্যা সৃষ্টি করে। এর একটি কারণ মস্তিষ্কে অক্সিজেন কমে যাওয়া। তাছাড়া আছে রক্ত জমাট বাঁধা ও রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থার অতিমাত্রায় সক্রিয় হয়ে ওঠার ফলে সৃষ্ট প্রদাহ। একইসাথে আমাদের এটি নিয়েও ভাবতে হবে যে ভাইরাসটি নিজেই মস্তিষ্কে সংক্রমণ ঘটাচ্ছে কিনা।”
সূত্র: বিবিসি।
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে চিকিৎসকের সরাসরি পরামর্শ পেতে দেখুন: মনের খবর ব্লগ
করোনায় মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক টেলিসেবা পেতে দেখুন: সার্বক্ষণিক যোগাযোগ
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
করোনায় সচেতনতা বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও বার্তা দেখুন: সুস্থ থাকুন সর্তক থাকুন