কারাগারে হবে মাদক নিরাময় কেন্দ্র

0
11

একক কোনো গোষ্ঠীর পক্ষে মাদক নির্মূল সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণের অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) জামাল উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘ মাদক নির্মূল করতে হলে সবাইকে একসঙ্গে চাইতে হবে। দেশের কারাগারে মাদক নিরাময় কেন্দ্র করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এজন্য কাজ চলছে। শিগগিরই এই বিষয় দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা যাবে।’
মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় একটি রেস্তোরাঁয় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) আয়োজিত ‘মাদক নির্মূল: মা পর্যায়ের চ্যালেঞ্জ ও গণমাধ্যমের করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
জামাল উদ্দিন বলেন, ‘কারাগারে গিয়েও অনেকে সংশোধন হয় না। এজন্য আমরা কারাগারে মাদক নিরাময় কেন্দ্র করার উদ্যোগ নিয়েছি। এ বিষয় মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্টরা কাজ করছেন। শিগগিরই এ বিষয়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা যাবে।’
মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, ‘ডিএমপি কমিশনার শুধু ঢাকা মহানগরীতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে প্রায় দুই হাজার ফোর্স বা জনবল পেয়ে থাকেন। সেখানে আমরা সারাদেশে মাত্র সাড়ে ছয় শ জনবল নিয়ে কাজ করছি। আমাদের প্রতিমাসে দেড় হাজার মামলা করতে হয়। সেগুলোর তদন্তের পাশাপাশি অপারেশন কাজ। সবই এই জনবল দিয়ে করতে হয়। আপনারা যদি বলেন আমরা পারছি না, তাহলে তা ঠিক। তবে এই জনবল দিয়ে যা করছি, তা কিন্তু অনেক।’ তিনি বলেন, ‘আমরা ধীরেধীরে করছি। আমি যখন অধিদফতরের দায়িত্ব নিয়েছি, তখন আমার জনবল যা ছিল, এখন তার দ্বিগুণ হয়েছে। আমরা নতুন গাড়ি পেয়েছি, আইন হয়েছে। কাজ হচ্ছে।’
বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্সদের মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগের বিষয় ডিজি বলেন, ‘সোর্স কাজের জন্য প্রয়োজন। তবে তারা ব্যবসায়ী হয়ে গেলে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। আমার সোর্স আমি ছাড় দিলেও অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের ছাড় দেবে না।’ মাদক নির্মূলের বিষয়ে  তিনি বলেন, ‘আমরা জিরো টলারেন্স। মাদকের বিষয় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।  দেশে মাদকাসক্তদের চিকিৎসার জন্য নিরাময়ের সংখ্যাও বেড়েছে।’ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সারাদেশে মাদকের ক্ষতিকর দিক নিয়ে বছরব্যাপী মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মসূচি চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।
ক্র্যাবের সভাপতি আবু সালেহ আকনের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক এমএম বাদশাহ’র সঞ্চালনায় সেমিনারে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের অপরাধবিষয়ক সংবাদকর্মীরা মাদক চোরাচালান, সরবরাহ, গঠফাদার, বিক্রি ও মাদক স্পটের তথ্যভিত্তিক মতামত প্রদান করেন। ডিজি সবার বক্তব্য নোট করে নেন। সাংবাদিকদের পরামর্শগুলো গুরুত্ব সহকারে বিবেচনার করার আশ্বাস দেন।
এছাড়া, ক্র্যাব ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের যৌথ আয়োজনে ভবষ্যিতে সাংবাদিকদের মাদক দ্রব্য নিয়ে প্রতিবেদনের ওপর পুরস্কার ও ফেলোশিপ দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।

Previous articleবিশেষ শিশুদের জন্য ফিটনেস প্রোগ্রাম
Next articleশিশুর বুদ্ধিমত্তা শাণিত করার কিছু কৌশল

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here