আর্মিতে নিয়োগের আগে মানসিক রোগ পরীক্ষা করা হয়

সমস্যা:
আসসালামু আলাইকুম, আর্মি মেডিকেল কোর এ যোগদানের ব্যাপারে কিছু জানাতে পারবেন? কেমন পরীক্ষা হয়, কয় ধাপে পরীক্ষা হয়, পরীক্ষা কতটা কঠিন, ইচ্ছেমত বিষয় এ বিশেষজ্ঞ হবার সুযোগ আছে কিনা এসব।
আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন (উত্তর পেলে আমার বড়ভাই উপকৃত হবে, উনি চায়না যে এটা ফাঁস হোক আর তাই ওর হয়ে আমার পোস্ট দেওয়া)। OCD(Obsessive Compulsive Disorder) এ আক্রান্ত আমার বড়ভাই টি। Chronic না তবে আছে এবং চিকিৎসা চলছে। এটা Army Medical Core এ ঢোকার ব্যাপারে কতখানি বাঁধা? চিকিৎসার মাধ্যমে এটাকে নিয়ন্ত্রণ এ রেখে AMC তে ঢোকা সম্ভব কিনা? আর এই ফাঁকে কেউ জানাবেন যে এটা কি ১০০% নিরাময়যোগ্য? এর চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশের সেরা যায়গা কোথায়/কে?
অর্থাৎ ২টি প্রশ্ন-
১। OCD, AMC তে ঢোকার ব্যাপারে কতবড় বাধা, নাকি OCD নিয়েও ঢোকা যায়, তেমন কোনো সমস্যা হয়না?
২। OCD কি ১০০% নিরাময়যোগ্য আর এর বেস্ট ট্রিটমেন্ট বাংলাদেশের কোথায় হয়?
অগ্রিম ধন্যবাদ।
পরামর্শ:
আপনার প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ। যদি কারো কোন সাইকিয়াট্রিক রোগ যেমন- অ্যাংজাইটি, ডিপ্রেশন, সিজোফ্রেনিয়া বা ওসিডি থেকে থাকে এবং মেডিকেল বোর্ড সেটা জানতে পারে তাহলে তার আর্মিতে চান্স পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। আইএসএসবি তে একটা সাইকোলজিক্যাল টেস্ট হয় সেখানে যদি ওসিডি রোগ ধরা পড়ে তাহলে সে বাদ পড়ে যাবে। অর্থাৎ কেউ মানসিক রোগে ভুগলে এবং মেডিকেল বোর্ড সেটা জানলে সে আর্মিতে চান্স পাবে না।
আর আপনি বলেছেন আপনার ভাই ওসিডি তে আক্রান্ত। এক্ষেত্রে আরো অনেক তথ্য জানার দরকার ছিল যেমন- তার বয়স কত, কবে থেকে রোগটা শুরু হয়েছে, অবসেশনের ন্যাচারটা কি, ফ্যামিলিতে কারো এই রোগ আছে কিনা, তার পার্সোনালিটি কেমন, আগে থেকে অ্যাংজাইটি ছিল কিনা ইত্যাদি। প্রত্যেকটি রোগের প্রোগনোসিস (অর্থাৎ কতটুকু ভাল হবে) কতগুলো ফেক্টরের বা বিষয়ের উপর নির্ভর করে।
১০০% অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিজঅর্ডার ভাল হয়না। তবে ৩০% এর মতো আছে যেগুলো ভাল হয়। এমনিতে স্বভাবগত ভাবেই ওসিডি একটা ক্রনিক বা দীর্ঘমেয়াদী রোগ।
দেখা যায়, যাদের আগে কখনো এই রোগ বা অন্য কোন মানসিক রোগ না থাকে বা তার পরিবারের কেউ মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়নি, এসব ক্ষেত্রে কিছুদিন চিকিৎসা নেয়ার পর হয়তো ভাল হয়ে গেলো। অপরপক্ষে যদি দেখা যায় তার অনেক আগে থেকেই অ্যাংজাইটি ছিল অথবা ফ্যামিলিতে অন্য কেউ মানসিক রোগে আত্রান্ত ছিল বা এখনো আছে তবে, সেক্ষেত্রে প্রোগনোসিস সাধারনত খুব একটা ভাল হয়না। অর্থাৎ ১০০% ভালো হবে একথা বলা যাবে না।
পরামর্শ দিচ্ছেন,
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্রফেসর ডা. মো. আজিজুল ইসলাম


দৃষ্টি আকর্ষণ- মনেরখবর.কম এর প্রশ্ন-উত্তর বিভাগে, মানসিক স্বাস্থ্য, যৌন স্বাস্থ্য, মাদকাসক্তি সহ মন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আপনার কোনো জানার থাকলে বা প্রশ্ন থাকলে বা বিশেষজ্ঞ পরামর্শ দরকার হলে question@www.monerkhabor.com এই ইমেলের মাধ্যমে প্রশ্ন পাঠাতে পারেন।

Previous articleআর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজের আয়োজনে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠান
Next articleপ্রত্যেকটা মুহূর্তই মানুষের স্মৃতি: সঙ্গীত শিল্পী ফরিদা পারভীন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here