দৈনন্দিন জীবনে প্রায়ই শোনা যায় যে, আমার কিছু মনে থাকে না। স্মৃতি ভুলে যাওয়া স্বাভাবিক, অস্বাভাবিক, উপকারী, অপকারী সব রকম হতে পারে। মেমোরি অথবা স্মৃতি কিভাবে ভালো রাখা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা করা যাক।
Using Elaborative Rehearsal: আগের পর্বগুলো থেকে আমরা জানতে পেরেছি Elaborative Rehearsal কি এবং কিভাবে সেটা করা যায়। মেমোরি তৈরি হওয়ার সময় ভালো ভাবে Elaborative Rehearsal এর সহযোগিতা নিলে, সহজেই কাজের সময় হাতের কাছে পাওয়া যায় এবং স্মৃতি ভালো থাকে বলে মনে করা হয়।
Periodic Retrieval: মাঝে মাঝে জমা করা মেমোরি চর্চা করা গেলে দরকারের সময় সহজেই স্মৃতির ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব।
Organization & Mnemonics: মেমোরি তৈরির সময় সুবিন্যাস করন ও সেটা পুনরুদ্ধার করার একটা ব্যবস্থা ঠিক করে রাখলে, সহজে মেমোরি পাওয়া ও ব্যবহার নিশ্চিত করে নিজের মেমোরি নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হওয়া সম্ভব।
The Method of Loci: কোনো একটা মেমোরি যদি একটা বিশেষ পয়েন্ট দিয়ে পুনরায় মনে করার ব্যবস্থা করে রাখা হয়, তাহলে তা সহজে ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়।
The keyword Method: কোনো একটা মেমোরি তার অংশ বিশেষ এর প্রথম বর্ণ গুলো নিয়ে সেটা মনে রাখার মাধ্যমে পুরো মেমোরিই মনে করা সম্ভব।
Minimizing Interference: জরুরি মেমোরি মনে করার মাঝে যাতে অন্য কোনো মেমোরি বাধা হতে না পারে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। যেমনঃ পরের দিন বাংলা পরীক্ষা থাকলে যদি কেউ আগের রাতে সমাজ পড়ে তাহলে পরের দিন পরীক্ষার হলে বাংলা মনে করতে কষ্ট হওয়ারই কথা।
Read, Recite, Review: মেমোরির যে অংশ যখন তখন মনে করে ব্যবহার করতে চাই সেটা বার বার পড়া, আলোচনা করা, পর্যালচনা করার ফল বলে গবেষণায় দেখা গেছে।
একটা কথা খুব ভালো ভাবে মনে রাখা দরকার যে, মেমোরি বা স্মৃতিশক্তি ভালো করার কোনো ঔষধ নেই। তবে যদি অন্য কোন অসুখের প্রতিক্রিয়া হিসেবে স্মৃতিশক্তির সমস্যা হয় তাহলে সেটি ভিন্ন বিষয়।
প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব। মনের খবরের সম্পাদকীয় নীতি বা মতের সঙ্গে লেখকের মতামতের অমিল থাকতেই পারে। তাই মনের খবরে প্রকাশিত কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় নেবে না কর্তৃপক্ষ।