Close Menu
    What's Hot

    মনে রাখার বিভিন্ন পদ্ধতি

    বাংলাদেশি মনোরোগ চিকিৎসকের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

    শিশুদের কেন এবং কিভাবে পরার্থপরতার প্রেরণা দেয়া যায়

    অভিভাবকত্ব শুধুমাত্র লালন-পালনের নাম নয়, এটি একটি সুসংগঠিত প্রক্রিয়া

    সিদ্ধান্তহীনতা কাটিয়ে উঠতে মানসিক শক্তি বৃদ্ধির কৌশল

    Facebook X (Twitter) Instagram
    Friday, July 4
    Facebook X (Twitter) Instagram
    মনের খবরমনের খবর
    ENGLISH
    • মূল পাতা
    • কার্যক্রম
      1. জাতীয়
      2. আন্তর্জাতিক
      Featured
      কার্যক্রম July 2, 2025

      বাংলাদেশি মনোরোগ চিকিৎসকের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

      Recent

      বাংলাদেশি মনোরোগ চিকিৎসকের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

      অভিভাবকত্ব শুধুমাত্র লালন-পালনের নাম নয়, এটি একটি সুসংগঠিত প্রক্রিয়া

      সাইকিয়াট্রি বিভাগের মে মাসের বৈকালিক আউটডোর সূচি

    • প্রতিদিনের চিঠি
    • মানসিক স্বাস্থ্য
      1. মাদকাসক্তি
      2. মানসিক স্বাস্থ্য সেবা তথ্য
      3. যৌন স্বাস্থ্য
      4. শিশু কিশোর
      Featured
      ফিচার October 7, 2024

      যৌনতা নিয়ে ভুল ধারণা

      Recent

      যৌনতা নিয়ে ভুল ধারণা

      শিশুর আবেগ নিয়ন্ত্রণ কীভাবে শেখাবেন

      কর্মব্যস্ততা প্রভাব ফেলে যৌনজীবনে

    • ফিচার
    • প্রশ্ন-উত্তর
      1. বিশেষজ্ঞ পরামর্শ
      2. মাদকাসক্তি
      3. মানসিক স্বাস্থ্য
      4. যৌন স্বাস্থ্য
      Featured
      প্রশ্ন-উত্তর May 3, 2025

      কেউ আমার সঙ্গে ১০ মিনিট থাকলেই বিরক্ত হয়ে যায়

      Recent

      কেউ আমার সঙ্গে ১০ মিনিট থাকলেই বিরক্ত হয়ে যায়

      বর্তমানে খুব ভয়াবহ সমস্যায় ভুগছি, কী করবো বুঝতে পারছিনা

      রাতে ঘুমাতে পারি না, সবসময় এক ধরনের অস্থিরতা অনুভব করি

    • জীবনাচরণ
      1. অন্যান্য
      2. অপরাধ আচরণ
      3. কুসংস্কার
      4. মতামত
      5. মন ও ক্রীড়া
      6. মন প্রতিদিন
      7. মনোসামাজিক বিশ্লেষণ
      8. সাক্ষাৎকার
      Featured
      দিনের চিঠি April 28, 2025

      রায়হান মানুষের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে, অকারণে আতঙ্কিত বোধ করছে

      Recent

      রায়হান মানুষের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে, অকারণে আতঙ্কিত বোধ করছে

      জীবনের ফাঁদে যেন আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গেছি, কায়দা করেও আর যেন বাঁচতে পারছি না!

      মা আর নিজেকে চেনেন না — ঘুম নেই, স্মৃতি নেই, পরিচ্ছন্নতাও নেই!

    • মনস্তত্ত্ব.
      1. তারকার মন
      2. ব্যাক্তিত্ব
      3. মনস্তত্ত্ব
      Featured
      ফিচার December 5, 2023

      শিশুদের ওসিডি অভিভাবকেরই দায় বেশি

      Recent

      শিশুদের ওসিডি অভিভাবকেরই দায় বেশি

      মানুষ বদলালেই কেবল পৃথিবী বদলাবে

      প্রসঙ্গ : সাইক্লোথাইমিক ব্যক্তিত্ব

    • করোনায় মনের সুরক্ষা
      1. টিপস্
      2. বিশেষজ্ঞের মতামত
      3. বিশ্ব পরিস্থিতি
      4. সার্বক্ষনিক যোগাযোগ
      Featured
      টিপস্ September 28, 2024

      MK4C-তে কীভাবে টেলিসাইকিয়াট্রি চিকিৎসা নেবেন?

      Recent

      MK4C-তে কীভাবে টেলিসাইকিয়াট্রি চিকিৎসা নেবেন?

      প্রবাসীদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় MK4C-তে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা নেওয়ার পরামর্শ

      পরিবার যেভাবে শিশুকে গড়ে তুলবে

    মনের খবরমনের খবর
    You are at:Home » বাংলাদেশের ৬৫.৫৮ শতাংশ তরুণী যৌন হয়রানির শিকার
    কার্যক্রম

    বাংলাদেশের ৬৫.৫৮ শতাংশ তরুণী যৌন হয়রানির শিকার

    মনের খবর ডেস্কBy মনের খবর ডেস্কMarch 5, 2022Updated:March 5, 2022No Comments8 Mins Read0 Views
    Facebook Twitter Pinterest Telegram LinkedIn Tumblr Email Reddit
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Pinterest WhatsApp Email

    বাংলাদেশের ৬৫.৫৮ শতাংশ তরুণী যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এছাড়া বাসে ভ্রমণের সময় ৮৪.১০ শতাংশ তরুণী যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। “তরুণীদের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট এবং মানসিক স্বাস্থ্যে এর প্রভাব” শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় আঁচল ফাউন্ডেশন। সেখানে তরুণীদের যৌন হয়রানিসহ বিভিন্নে ইস্যুতে মানসিকভাবে নিপীড়িত হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়। আজ শনিবার আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সুশীল সমাজের বেশ কয়েকজন প্রতিনিধি।

    এ ভার্চুয়াল প্রেস কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক, ড. কাবেরী গায়েন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো: শাহীন মোল্লা, সিটি সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের সহকারী পুলিশ কমিশনার সুরঞ্জনা সাহা, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, মিডিয়া কম্যুনিকেশনের সিনিয়র কো-অর্ডিনেটর শাহানা হুদা রঞ্জনা ও আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তানসেন রোজ।

    আগামী ৮ই মার্চ, আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে সামনে রেখে আঁচল ফাউন্ডেশন শুধুমাত্র নারীদের নিয়ে একটি জরিপের আয়োজন করেছে। এ জরিপে অংশগ্রহণকারী ১,০১৪ জন শিক্ষিত তরুণীদের থেকে তারা কতটা বৈষম্য, লাঞ্ছনা, যৌন হয়রানি, সমাজ ও পরিবারে প্রতিবন্ধকতা, নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ইত্যাদি বিষয়ের সম্মুখীন হয়েছেন ও এ সকল বিষয় তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর কেমন প্রভাব ফেলেছে। এসব বিষয় নিয়ে সমন্বয়কৃত তথ্যের ভিত্তিতে গবেষণালব্ধ পরিসংখ্যান আজকের এ সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা হলো।

    জরিপে অংশগ্রহণ করেছেন সারা দেশের বিভিন্ন জেলা ও বিভাগের ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী তরুণী। অংশগ্রহণকারী তরুণীদের ভেতর অবিবাহিত ৮৮.১৭ শতাংশ ও বিবাহিত ১০.৯৫ শতাংশ এবং বাকিরা সংসার করছেন না।

    মানসিক সমস্যার পিছনে সবচেয়ে বেশি দায়ী পারিবারিক টানাপোড়েন

    সমীক্ষার ফলাফল থেকে প্রথমেই জানা যায় যে, পারিবারিক টানাপোড়েন তরুণীদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর সর্বাধিক প্রভাব ফেলে যা ৩১.৮৫ শতাংশ। আর্থিক অস্বচ্ছলতা অংশগ্রহণকারীদের ২৪.৪৬ শতাংশের মনে নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে। বেকারত্বের কারণে ১৪.৭৯ শতাংশ মানসিকভাবে বিপর্যস্ততার শিকার হন। ১৪.৪০ শতাংশ সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হওয়ার মাধ্যমে ও ২.৩৭ শতাংশ তরুণী যৌন নিপীড়ণের কারণে মানসিকভাবে প্রভাবিত হন।

    পারিবারিক টানাপোড়েনের পিছনের কারণ খুঁজতে গিয়ে আমরা দেখতে পাই, পারিবারিক আর্থিক অস্বচ্ছলতা ৩০.৭২ শতাংশ তরুণীদের মনে সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। বাবা-মা বা স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া ২৭.৩২ শতাংশের মনে বিরূপ প্রভাব বিস্তার করে। ওই সাথে পরিবার থেকে অযাচিত চাপের কারণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ততার শিকার হয়েছেন ২৩.৯২ শতাংশ নারী।

    বাড়ছে বিয়ের জন্য অযাচিত চাপ

    জরিপে অংশগ্রহণকারী তরুণীদের মধ্য থেকে ২৩.৭৭ শতাংশ তরুণী নিজেদের অসম্মতি থাকা সত্ত্বেও পরিবার থেকে বিয়ের চাপের সম্মুখীন হন। যারা এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন তাদের মধ্যে ১০৯ জনের পরিবার পরবর্তীতে বিয়ে না হওয়ার ভয় থেকে এমন চাপের সৃষ্টি করেন বলে জানা যায়। কম বয়সী মেয়েদের ভালো বর হয় এরূপ ধারণার কারণে ৮৬ জনের ওপর পারিবারিকভাবে বিয়ের চাপ আসে। করোনা মহামারীর কারণে শিক্ষাবর্ষ দীর্ঘায়িত হওয়ায় ৮৫ জনকে বিয়ের চাপ মোকাবেলা করতে হয়েছে।

    বডি শেমিং করায় এগিয়ে আত্মীয়রা

    পরিসংখ্যানের তথ্য ও উপাত্ত অনুযায়ী, ৬৯.৯২ শতাংশ তরুণী শারীরিক অবয়ব নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্যের শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে, ৩৭.২৪ শতাংশ তরুণী জানিয়েছেন, তাদের শরীরের আকৃতি, গঠন ও অবয়ব নিয়ে তাদের আত্মীয়রাই কথায় ও ইঙ্গিতে হেয় প্রতিপন্ন করেছেন। বন্ধুবান্ধবের কাছে বডি শেমিংয়ের শিকার হয়েছেন ২২ শতাংশ। এমনকি পরিবার থেকে এ ধরণের মন্তব্য শুনেছেন বলে জানিয়েছেন ১৪.২৫ শতাংশ। পথচারীর মাধ্যমে শারীরিক অবয়ব নিয়ে নেতিবাচক কথা শুনতে হয়েছে ১১.৮৫ শতাংশ তরুণীর। মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতিনিয়ত হেয় প্রতিপন্ন হলে একজন মানুষের আত্মবিশ্বাস কমে যায় এবং হীনমন্যতা কাজ করে। পরবর্তীতে যেটা আত্মহত্যার পিছনে অনুঘটক হিসেবে ভূমিকা রাখে।

    কারণ খুঁজতে গিয়ে আঁচল ফাউন্ডেশনের গবেষণায় এসেছে ওজনের কারণে নেতিবাচক মন্তব্যের শিকার হতে হয় বলে ৩৯.৪৯ শতাংশ তরুণী মনে করেন। গায়ের রঙের কারণেও ৩৬.৯৫ শতাংশ তরুণী এ ধরণের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যান। এছাড়াও উচ্চতা, মুখাবয়বের গঠন ও দাগ, কণ্ঠস্বর প্রভৃতি বিষয় নিয়ে তরুণীরা বিরূপ মন্তব্য শুনে থাকেন বলে জানিয়েছেন।

    যৌন হয়রানির শিকার ৬৫.৫৮ শতাংশ তরুণী

    সমীক্ষার তথ্যের ভিত্তিতে, ৬৫.৫৮ শতাংশ তরুণী যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। এর মাঝে ৩৫.৪৯ শতাংশ তরুণী জানিয়েছেন যে তারা বিকৃত যৌন ইচ্ছার প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত বা কুদৃষ্টির মাধ্যমে নিগ্রহের শিকার হয়েছেন। ২৯.৬২ শতাংশ তরুণীকে আপত্তিকর স্পর্শের ভুক্তভোগী হতে হয়েছে। আর বিভিন্ন জায়গায় ইভটিজিংয়ের শিকার হয়েছেন ২২.২৬ শতাংশ।

    নারীরা বাসে বেশি অনিরাপদ

    আমাদের দেশের শিক্ষা, কর্মক্ষেত্র ও বিভিন্ন প্রয়োজনে নারীরা গণপরিবহন ব্যবহার করে থাকেন। সমীক্ষা বলছে, ৪৫.২৭ শতাংশ তরুণী গণপরিবহনে যৌন হয়রানির শিকার হন। গণপরিবহন হিসেবে সর্বাধিক ব্যবহৃত বাস বা বাসস্ট্যান্ডে যৌন হয়রানির মতো অভিজ্ঞতার সন্মুখীন হন ৮৪.১০ শতাংশ তরুণী। এছাড়াও রেল বা রেল স্টেশনে ৪.৫৮ শতাংশ এবং রাইড শেয়ারিং সার্ভিসে ১.৫৩ শতাংশ তরুণী যৌন হয়রানির শিকার হন।

    বাইরে আপত্তিকর স্পর্শের শিকার বেশি হন

    গণপরিবহণে যৌন হয়রানির মধ্যে আপত্তিকর স্পর্শের শিকার হন ৬৪.৯২ শতাংশ তরুণী। ২০.০৪ শতাংশ কুদৃষ্টি এবং অনুসরণের শিকার হয়েছেন বলে জানা যায়। জরিপের তথ্য অনুযায়ী আরো জানা যায়, তরুণীরা সবচেয়ে বেশি এ ধরণের নিপীড়নের শিকার হন একাকী চলার সময়ে যা ৭৫.৬০ শতাংশ। তবে ২১.৫৭ শতাংশ মা, বোন, বান্ধবী বা অন্য নারী সঙ্গী থাকা অবস্থায় এবং ২.৮৩ শতাংশ বাবা, স্বামী, ভাই বা অন্য পুরুষ সঙ্গী থাকা অবস্থায় নিপীড়নের শিকার হয়েছেন বলে সমীক্ষায় উঠে আসে। লক্ষণীয় যে অনেক ক্ষেত্রেই পরিবারের কেউ সাথে থাকার পরেও নারীদেরকে অযাচিত হয়রানির মুখোমুখি হতে হয়।

    শৈশবেও রেহাই পায়নি নারী

    সমন্বয়কৃত তথ্যানুসারে, ৩৮.৮৬ শতাংশ তরুণী শৈশবে যৌন নিগ্রহের শিকার হয়েছিলেন। তার মধ্যে আত্মীয়-স্বজনের দ্বারা ৩৫.২৮ শতাংশ যৌন নিগ্রহমূলক আচরণের শিকার হন। শৈশবে অপরিচিত ব্যক্তিবর্গের দ্বারা ভুক্তভুগী হন ২৮.১৭ শতাংশ। এছাড়াও ১৬.৫০ শতাংশ প্রতিবেশীদের কাছ থেকে এহেন হীন আচরণের শিকার হন। শৈশবের এরূপ ঘটনা ২৮.৪৩ শতাংশের মনে সকলের প্রতি অবিশ্বাসের জন্ম দেয় এবং ২৮.১৭ শতাংশের ভেতর পুরুষ বিদ্বেষী মনোভাবের সৃষ্টি হয়। এছাড়া ১৫.৭৪ শতাংশ একা থাকতে ভয় পান। এছাড়া অনেকেই পরবর্তীতে বিয়ে করতে বা শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে ভয় পান বলে জানিয়েছেন। শৈশবের যৌন নির্যাতনের কারণে একজন নারীকে সারা জীবন ট্রমার ভিতর দিয়ে যেতে হয়। এর ফলে নারীরা সর্বদাই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকেন।

    সংবেদনশীল ছবি নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়

    সংগ্রহকৃত তথ্য ও উপাত্তের ভিত্তিতে দেখা যায়, ৪৩.৮৯ শতাংশ তরুণী অনলাইনে বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে অবান্তর ও কুরুচিপূর্ণ মেসেজ পাঠিয়ে এবং মন্তব্য করে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলা হয়েছে ৬১.১২ শতাংশকে। সামাজিক যোগযোগমাধ্যমের আইডি হ্যাকিং-এর শিকার হয়েছেন ১০.৩৪ শতাংশ। ৯.৮৯ শতাংশ ব্যক্তিগত ও সংবেদনশীল ছবি নিয়ে দুর্ভোগ পোহান বলে জানিয়েছেন। এছাড়াও অযাচিত আইডি স্টকিংয়ের শিকার হন ৫.১৭ শতাংশ।

    মতামত মূল্যহীন পরিবারেও

    একজন তরুণী পরিবার ও সমাজে পুরুষের মতই সমান গুরুত্ব পাওয়ার অধিকার রাখে। কিন্তু ২২.২৯ শতাংশ তরুণী জানিয়েছেন তাদের মতামতকে পরিবারে মূল্যায়ণ করা হয় না। শুধুমাত্র নারী হবার দরুণ মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে বাঁধার সম্মুখীন হতে হয় ৪৬.২৫ শতাংশকে। সমীক্ষা বলছে নারীদের প্রতি প্রথম বাঁধা আসে পরিবার থেকেই। এজন্য পরিবারকেই অগ্রগামী ভুমিকা পালন করতে হবে নারীদের ন্যায্য অধিকার প্রদানের ক্ষেত্রে।

    নারীদের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট তাদের জীবনে কতটুকু প্রভাব ফেলছে ওই বিষয়ে আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তানসেন রোজ বলেন, ‘একুশ শতাব্দীতে এসে নারীরা যখন বিভিন্ন ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছেন তখনো আমাদের দেশের নারীদের নানাবিধ কারণে থমকে দাঁড়াতে হয়। আমাদের সমাজ, রাষ্ট্র ও পরিবার প্রতিষ্ঠিত নারীদের সাথে মানিয়ে নিতে এখনো যথাযথভাবে প্রস্তুত নয়। দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে পিছনে রেখে দেশের সত্যিকারের উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাদেরকে স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা দেয়া আমাদের সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য।”

    নারী ক্ষমতায়নের যুগে নারীদের এহেন আর্থ-সামাজিক অবস্থার প্রেক্ষাপট নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী সাইফুদ্দিন এর মতামত জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘সমাজের একটি অংশ হিসেবে নারীদের যতটুকু সন্মান বা মর্যাদা পাওয়া উচিত সেটা আধুনিক সময়ে এসেও আমাদের সমাজে এখনো নেই। ব্যাপক সামাজিক আন্দোলন ছাড়া এ অবস্থার উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য প্রতিটি স্তরের নারীদের এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষ করে এখন যারা বড় বড় অবস্থানে আছেন তাদের উচিত এ বিষয়ে অনুজদের যথাযথ জ্ঞান দেয়া। সমাজের প্রতিটি শিক্ষিত মানুষকে বুঝতে হবে যে সমাজকে ছেলে-মেয়ে সবার জন্য সমানভাবে নিরাপদ জায়গা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এমন ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে করে মেয়েরা যেন একা বের হতে ভয় না পায়।’

    নারীদের এ আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট নিয়ে সিটি সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের সহকারী পুলিশ কমিশনার সুরঞ্জনা সাহা বলেন, ‘বাংলাদেশে ইন্টারনেট তথা ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ড তথ্যের অবাধ প্রবাহ ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটি আস্থার প্রতীক হলেও সামাজিক অশুভ প্রয়োগ ও ব্যক্তিগত দায়িত্বহীনতার দরুণ অনেক নারীর কাছে তা এক আতঙ্কের নাম। আমাদের সমাজকে এগিয়ে নিতে হলে সাইবার জগতকে নারীদের জন্য নিরাপদ রাখা জরুরি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার বিধি সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান, ব্যক্তিগত সচেতনতা ও পারিবারিক শিক্ষাই পারে সাইবার দুনিয়াকে সুরক্ষিত রাখতে।’

    নারীদের নিয়ে করা এ বিশেষ জরিপ থেকে প্রাপ্ত ফলাফল নিয়ে বলতে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. কাবেরী গায়েন উল্লেখ করেন, ‘নারীর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আনতে হবে, সচেতনতার পাশাপাশি তাদের পর্যাপ্ত মানসিক সমর্থন করতে হবে এবং বুঝাতে হবে যে জীবন এতো মূল্যহীন নয়।’

    নারীদের নিয়ে করা এ বিশেষ সমীক্ষায় প্রাপ্ত ফলাফল নিয়ে আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রজেক্ট লিড মো: রিফাত হাসান তরফদার বলেন, ‘নারীর অধিকার নিয়ে আমরা আজ কথা বলতে শুরু করেছি কিন্তু এ নারীদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা কতটুকু নিশ্চিত করতে পারছি আমরা? রাস্তায়, গণপরিবহনে, এমনকি উন্মুক্ত স্থানেও যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটছে অহরহ। পরিবারের মাঝেও নিরাপদ নয় নারী। নারীদের বিচরণের প্রতিটি মাধ্যম হতে হবে স্বচ্ছ ও নিরাপদ। তবেই আমরা নারী জাগরণ, নারী মুক্তি নিয়ে কথা বলতে পারব। তা নাহলে এ ব্যর্থতা হলেঅ আমাদের পরিবারের, আমাদের সমাজের ও আমাদের সকলের।’

    নারীদের সামাজিক ও মানসিক সুরক্ষা প্রদানে আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রস্তাবনা:

    ১. তরুণীদের অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা নিশ্চিতে কর্মসংস্থান তৈরির জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
    ২. নারীর বিচরণক্ষেত্রে তার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে স্ব স্ব বিচরণক্ষেত্রগুলোকে আইনি বাধ্যবাধকতার আওতায় নিয়ে আসা।
    ৩. গণপরিবহন (বাস, রেল, রাইড শেয়ারিং) ও তার স্টপেজগুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন।
    ৪. ইভটিজিং ও যৌন হেনস্তার মতো ঘটনাগুলো তাৎক্ষণিক সমাধান পেতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপর ভূমিকা রাখা।
    ৫. শৈশবকালীন যৌন হেনস্তা, বডি শেমিং থেকে রক্ষা করতে পরিবারগুলোকে সরকারি বেসরকারি উদ্যোগে সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দেয়া।
    ৬. নারীর প্রতি বিভিন্ন নেতিবাচক ধারণা ও কুসংস্কার দূর করতে গণমাধ্যমের ভূমিকা জোরদার করা।
    ৭.নারীর সুরক্ষায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর ওপর মনিটরিং জোরদার করা।
    ৮.সকল যানবাহনকে ট্র্যাকিংয়ের আওতায় আনা যেনো যেকোন সময়ে যাত্রী তার অবস্থান অন্যদের জানানোর মাধ্যমে নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে।
    ৯. সকল নারী শিক্ষার্থীকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আত্মরক্ষামূলক ট্রেইনিং প্রদান করা।

    করোনায় স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
    করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
    মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে

    “মনের খবর” ম্যাগাজিন পেতে কল করুন ০১৮ ৬৫ ৪৬ ৬৫ ৯৪

    https://youtu.be/WEgGpIiV6V8

    নারী মনের খবর মানসিক চাপ মানসিক রোগ মানসিক সমস্যা মানসিক স্বাস্থ্য
    Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Reddit WhatsApp Telegram Email
    Previous Articleক্রিকেটাররা কেন মানসিক অবসাদের শিকার হন?
    Next Article রাবি’তে যাত্রা করলো ‘মেন্টাল হেলথ সাপোর্ট ক্লাব’
    মনের খবর ডেস্ক

    Related Posts

    মনে রাখার বিভিন্ন পদ্ধতি

    July 3, 2025

    বাংলাদেশি মনোরোগ চিকিৎসকের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

    July 2, 2025

    শিশুদের কেন এবং কিভাবে পরার্থপরতার প্রেরণা দেয়া যায়

    July 1, 2025
    Leave A Reply Cancel Reply

    Top Posts

    অভিভাবকত্ব শুধুমাত্র লালন-পালনের নাম নয়, এটি একটি সুসংগঠিত প্রক্রিয়া

    June 30, 2025264 Views

    বাংলাদেশি মনোরোগ চিকিৎসকের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

    July 2, 2025183 Views

    অতিরিক্তি হস্তমৈথুন থেকে মুক্তির উপায়

    July 25, 202165 Views

    অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তির উপায়

    August 22, 202130 Views
    Don't Miss
    ফিচার July 3, 2025

    মনে রাখার বিভিন্ন পদ্ধতি

    ডা. ফাতেমা জোহরা সহকারী অধ্যাপক, মানসিক রোগ বিভাগ ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। স্মৃতি একটি জটিল…

    বাংলাদেশি মনোরোগ চিকিৎসকের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

    শিশুদের কেন এবং কিভাবে পরার্থপরতার প্রেরণা দেয়া যায়

    অভিভাবকত্ব শুধুমাত্র লালন-পালনের নাম নয়, এটি একটি সুসংগঠিত প্রক্রিয়া

    Stay In Touch
    • Facebook
    • Twitter
    • Pinterest
    • Instagram
    • YouTube
    • Vimeo
    আমাদের সম্পর্কে
    আমাদের সম্পর্কে

    প্রকাশক ও সম্পাদক:
    অধ্যাপক ডা. সালাহ্উদ্দিন কাউসার বিপ্লব
    মোবাইল : (+88) 018-65466594, (+88) 014-07497696
    ইমেইল : info@monerkhabor.com

    লিংক
    • মাসিক ম্যাগাজিন প্রাপ্তিস্থান
    • কনফারেন্স-সেমিনার-ওয়ার্কশপ
    • প্রেজেন্টেশন
    • জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট
    রিসোর্স
    • পরিচালনা পর্ষদ
    • মানসিক বিষয়ে সংগঠন
    • বিশেষজ্ঞ লোকবল
    • নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
    সোশ্যাল মিডিয়া
    • Facebook
    • YouTube
    • LinkedIn
    • WhatsApp
    © 2025 মনেরখবর সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
    • আমাদের সম্পর্কে
    • যোগাযোগ
    • গোপনীয়তা নীতি

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.