আপনার কি বই-খাতা ও কাপড় নির্দিষ্ট ছঁকে গুছিয়ে রাখার অভ্যাস?

0
73

অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিজঅর্ডার সংক্ষেপে ওসিডি। এটি একটি মানসিক রোগ। কোনো একটা বিষয়ের ওপর অতিরিক্ত মনোযোগ দেয়া, অনিচ্ছা সত্ত্বেও বারবার একই চিন্তা মাথায় আসা। এসবই ওসিডির লক্ষণ। চলুন জেনে নেই ওসিডি হলে কীভাবে নিশ্চিত হবো এবং করণীয় কী। আগে থেকেই কীভাবে এই রোগ এড়িয়ে চলা যায়।

ওসিডি একটা ক্রনিক রোগ। মানসিক চাপের কারণে রোগের বাড়তি কমতি থাকবে। চিকিৎসায় এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এরজন্য চিকিৎসকের শরনাপন্ন হয়ে ধৈর্য ধরে ওষুধ খেতে হবে। নিয়মিত ফলোআপে থাকতে হবে।

ওসিডি এড়ানোর কিছু র্পূ্বকৌশল : সেরোটোনিন মস্তিষ্কে একটি সংক্রামক নিউরোট্রান্সমিটার। সেরোটনিন ঘাটতির কারণে ওসিডি সমস্যা তৈরি হয়। সেরোটোনিন সমৃদ্ধ কিছু খাবার আছে যা খেলে ওসিডি থেকে মুক্ত থাকা যায়।

ওসিডি আক্রান্ত হয়ে গেলে ওষুধের পাশাপাশি এসব সেরোটোনিন সমৃদ্ধ খাদ্য আপনার শরীরে সোরোটোনিনের চাহিদা মিটাবে। আর তখন আপনি সহজেই রক্ষা পেতে পাবেন বিরক্তকর এই মানসিক রোগ থেকে।

সেরোটোনিন সমৃদ্ধ খাদ্যের একটা ছোট তালিকা দেয়া হলো। এসব খাবার আমাদের দেশে সবখানেই পাওয়া যায়। তবে কারো যদি কোনো খাবারে নিষেধ থাকে তবে সেগুলো বাদ দিয়ে অন্যান্য আইটেম আপনার প্রতি বেলার খাবারে রাখতে পারেন।

আমিষ জাতীয় খাদ্য : মাংস, কলিজা, ডিম, দুধ ও দুধ জাতীয় দ্রব্য, সামুদ্রিক মাছ
ফলমূল : পাকা কলা, আনারস, খেজুর, বাদাম, আম, আঙ্গুর, এ্যাভোকেডো
শাকসব্জি : পালং শাক, পুইশাক, বেগুন, শিম জাতীয় বীজ, ফুলকপি, ব্রকলি, টমেটো, মাশরুম।

  • ওসিডি চিহ্নিত করতে চাইলে একটু সময় দিতেই হবে আপনাকে আপনার ও সকলের স্বার্থে। প্রশ্নগুলো পড়ুন অনুগ্রহ করে। 

১. আপনি কি অতিরিক্ত ধোয়া-মোছা করেন অথবা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকেন?
২. আপনি কি কোনো কিছু অতিরিক্ত চেক/যাচাই-বাছাই করেন?
৩. আপনার মাথায় কি কোনো অপ্রীতিকর/অনাকাঙ্খিত চিন্তা আসে? যা কিনা আপনি চাইলেও মাথা থেকে সহজে বের করতে পারেননা?
৪. আপনার কি দৈনন্দিন কাজ শেষ করতে অতিরিক্ত সময় ব্যয় হয়?
৫. আপনার মধ্যে কি আসবাবপত্র, বই খাতা, কাপড়-চোপড় অথবা যে কোনো জিনিস নির্দিষ্ট ছকে গুছিয়ে রাখার প্রবণতা আছে?

উপরোক্ত প্রশ্নগুলোর যেকোনো একটির উত্তরও যদি হ্যাঁ বোধক হয় তবে আপনার ওসিডি থাকার যথেষ্ঠ সম্ভাবনা রয়েছে। আপনি দ্রুত মানসিকরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে বা দেশের যেকোনো মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মানসিক রোগ বিভাগে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখাতে পারেন। বিএসএমএমইউ আউটডোরে মাত্র ৩০ টাকার টিকেট কেটে প্রতি মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে ১টায় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানো যায়।

  • লেখা ও তথ্যসূত্র :
    অধ্যাপক ডা. সুলতানা আলগিন
    কনসালটেন্ট, ওসিডি ক্লিনিক, মনোরোগবিদ্যা বিভাগ
    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

/এসএস/মনেরখবর/

Previous articleপাবনা মানসিক হাসপাতালের পরিচালক হলেন ডা. শাফকাত
Next articleউদ্বোধন হলো দেশের প্রথম সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here