মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা আমাদের সমাজে এখনো পুরোপুরি তৈরী হয়নি। কারো সামান্য কোনো অস্বাভাবিক আচরণ লক্ষ্য করলেও আমাদের সমাজে তাকে পাগল বলে আখ্যায়িত করে দূরে সরিয়ে রাখে। এমনকি মানসিকভাবে অপ্রস্তুত ব্যক্তি পরিবার থেকেও পায় না প্রয়োজনীয় সাপোর্ট।
একজন মানুষের ভালো থাকার জন্য শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক সুস্থতাও সমানভাবে জরুরী। পরিবারকেই এটা প্রথম উপলব্ধি করতে হবে। প্রত্যক্ষ দূর্ঘটনা, হতাশা, সম্পর্কের টানাপোড়েন, আর্থিক টানাপোড়েন এমনকি দীর্ঘদিনের শারীরিক অসুস্থতার কারণেও মানসিক অসুস্থতা হতে পারে।
মানসিক অসুস্থতা এড়াতে পরিবার ও সামাজিকভাবে কিছু উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। যাতে আমাদের চারপাশের মানুষগুলো মানসিকভাবে সুস্থতার উপায় খুঁজে পায়।
পারিবারিক উদ্যোগ : সর্ব পরিবারকেই এগিয়ে আসতে হবে অপরাপর সদস্যদের মানসিক স্বাস্থের যত্ন নিতে। পরিবারের পক্ষ থেকে যেসব উদ্যোগ কার্যকরী হতে পারে :
- পারস্পরিক সম্পর্কে দূরত্বের দেয়াল ভাঙা
- সহজ খোলামেলা বন্ধনের পরিবেশ তৈরী করা
- সহমর্মিতার ও সহানুভূতির চর্চা করা
- ইতিবাচক চিন্তা করতে শেখা, নেতিবাচক বিষয়ে পরিবারের সবাই মিলে মোকাবিলা করা
- ভালো কাজের প্রতিযোগিতা করা এবং শিশুদের খেলাধুলায় উৎসাহ প্রদান করা
- পরিবার ও প্রতিবেশিদের প্রতি সহযোগী মনোভাবের চর্চা করা
- যোগব্যায়াম ও শরীরচর্চা করা
- মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক অনুষ্ঠান দেখা ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তা নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করা
মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের বিভিন্ন কর্মশালায় অংশ নেওয়া
সামাজিক উদ্যোগ : সামাজিকভাবে বেশ কিছু উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। যার মূল কাজ সচেতনতা বাড়ানো। এজন্য সর্বপ্রথম স্বাস্থ্য সচেতনদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে। সামাজিকভাবে সুংগঠিত হয়ে কাজ করলে প্রচলিত কুসংস্কার ও ভ্রান্ত ধারণা অনেকটাই দূর করা সম্ভব। যেসব উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে :
- প্রচলিত ধারণা ও বৈষম্য নিরসনে সংগঠিত হয়ে প্রচেষ্টা করা
- মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে কর্মী তৈরী করা
- ব্যানার, লিফলেট, ফেস্টুন, স্টিকার ইত্যাদির মাধ্যমে প্রচারণা করা
- সামাজিকভাবে বিভিন্নরকম সচেতনামূলক কর্মসূচি পালন ও কর্মশালার আয়োজন করা
- স্কুল-কলেজে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মসূচি পালন করা
এটা পড়ুন….
মানসিক স্বাস্থ্য কী?
/এসএস