বর্তমানে যান্ত্রিক জীবন, নিত্যদিনের ব্যস্ততা আমাদের জীবনকে একঘেয়েমিতে ভরিয়ে তুলেছে। শুধু ব্যস্ত থাকা আর রুটিন ধরে জীবন যাপন মানসিক স্বস্তি দিতে পারে না। কর্মচঞ্চল আর ব্যস্ত সময় কাটিয়ে ফিরছেন বাসায়।
ঢাকা শহরের নিত্যদিনের সমস্যা যানজট আজকেও আপনাকে ছাড়েনি। ফিরছেন ক্লান্ত শরীর নিয়ে, মনে বিরক্তি। বাড়িতে পৌঁছানোর আগেই মাথায় চিন্তা কালকে আবার সেই অফিস। কিন্তু এরই মধ্যে পার করতে হবে নাগরিক জীবন। তবে আপনি চাইলেই কিন্তু সতেজ মন নিয়ে ঘুমাতে যেতে পারেন।
আসুন জেনে নিই যান্ত্রিক জীবনে মন সতেজ রাখার সহজ উপায়।
স্ত্রী, সন্তান যেন না বুঝে আপনি বিরক্ত
আপনার বিরক্তি আপাতত মনেই চেপে রাখুন। যান্ত্রিকতা ভুলে সুন্দর আর হাসিমাখা মুখে ঘরে প্রবেশ করুন। শিশু সন্তান থাকলে তার জন্য নিতে পারেন হাতের কাছে সামান্য কিছু উপহার। মুখ ভার করে বাসায় ফিরলে ঘরে হাসি-খুশিতে থাকা আপনার সন্তানের মনটা খারাপ হয়ে যেতে পারে, আপনি যেমন সারাদিন কাজ করে সারাদিন কাজ করে ঘরে ফিরছেন, তেমনি সারাদিন ঘরের নানা কাজ করেছে আপনার স্ত্রী, আর চাকরিজীবী হলেও তো তার খাটুনিটা আরও বেশি।
ঘরে প্রবেশের পরপরই ফ্রেশ হবেন
যান্ত্রিক ব্যস্ততা দিনের ক্লান্তি শেষ হয়ে যাবে নিজেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করলে। তাই শীতের রাতে পানি একটু হালকা গরম করে বা আপনার প্রয়োজন মতো ফুটিয়ে নিয়ে হাত-মুখ ধুয়ে দিন। পারলে গোসলও সেরে নিতে পারেন, যদি আপনার ঠাণ্ডা না লাগে।হালকা-নাশতা, চা । ৮ টার আগে বাসায় ফিরলে হালকা চা-নাশতা করতে পারেন। এতে আপনার ক্ষুধাও একটু নিবারণ হবে, একই সঙ্গে গরম চায়ে মনটা সতেজ হয়ে উঠবে।
আগামীকালের কাজ গুছিয়ে রাখা
যে কাজটি আপনার আগামীকাল করতে হবেই, তা গুছিয়ে রাখেন বা পরিকল্পনা করে রাখেন। তাহলে আপনার দুশ্চিন্তার একটি কারণ কমে যাবে।
বিছানা পরিষ্কার করে ঘুমান
আগে পরিষ্কার করে রাখা হলেও বিছানাটা একটু ছেড়ে ঘুমাতে যান, এতো সতেজ মন পাবেন। যেহেতু শীতের সময় তাই প্রয়োজনীয় কাঁথা, কম্বল, লেপ নিয়ে ঘুমান।
বিরক্তির কথা সঙ্গীর সঙ্গে ভাগাভাগি করুন
ঘরে যে বিরক্তি নিয়ে প্রবেশ করেছেন, সেটি এখন সঙ্গীর সঙ্গে শেয়ার করুন। এতে আপনি হালকা বোধ করবেন।
্এছাড়া যান্ত্রিক জীবনে বিনোদন মনকে সতেজ রাখার অন্যতম উপায়। বিনোদন সময় পেলে কিছু সময় বিনোদনে ব্যয় করুন। টেলিভিশনে খবর, নাটক বা সিনেমা, গান শোনা-যেটা আপনার ভালো লাগে কিছু সময় তা করুন। আবার বই পড়তে মন চাইলে সেটিও করতে পারেন। ঢু মারতে পারেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। ঘুমোতে যাওয়ার ঘণ্টাখানেক আগে খেয়ে নিন সতেজ মন পাবেন।
সতেজ মন পেতে খাবার বেলায় আমাদের আচরণ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাল্টাতে হয়। সব সময় একই পরিমাণ বা একই ধরনের নয়। কথায় আছে, সকালে খেতে হবে রাজার মতো, দুপুরে প্রজার মতো, রাতে ভিখেরির মতো-তাই উদর ভর্তি করতে গিয়ে ঘুম যেন হারাম না হয় সেটা মাথায় রাখবেন।
এটাও পড়ুন…
মানসিক স্বাস্থ্য কী?
মানসিক স্বাস্থ্য : আমরা কতোটা সচেতন?
পরিবারে কম সন্তান শিশুর মানসিক সমস্যা তৈরী করে : গবেষণা
হেলথ লাইন থেকে অনুবাদ শাহনূর শাহীন
/এসএস