Close Menu
    What's Hot

    নোয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চালু হলো সাইকিয়াট্রি আউটডোর সেবা

    সরকারি অর্থায়নে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন রূপ নিচ্ছে পাবনা মানসিক হাসপাতাল

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. হামিদা আক্তার বেগম আর নেই

    নেত্রকোনা জেলা সদর হাসপাতালে মনোরোগবিদ্যা বিভাগের নতুন যাত্রা শুরু

    বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেসিডেন্ট ডা. ইয়াকুব আলী সরদারের স্ত্রী ইন্তেকাল করেছেন

    Facebook X (Twitter) Instagram
    Thursday, October 23
    Facebook X (Twitter) Instagram
    মনের খবরমনের খবর
    ENGLISH
    • মূল পাতা
    • কার্যক্রম
      1. জাতীয়
      2. আন্তর্জাতিক
      Featured
      কার্যক্রম October 22, 2025

      নোয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চালু হলো সাইকিয়াট্রি আউটডোর সেবা

      Recent

      নোয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চালু হলো সাইকিয়াট্রি আউটডোর সেবা

      সরকারি অর্থায়নে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন রূপ নিচ্ছে পাবনা মানসিক হাসপাতাল

      ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. হামিদা আক্তার বেগম আর নেই

    • প্রতিদিনের চিঠি
    • মানসিক স্বাস্থ্য
      1. মাদকাসক্তি
      2. মানসিক স্বাস্থ্য সেবা তথ্য
      3. যৌন স্বাস্থ্য
      4. শিশু কিশোর
      Featured
      ফিচার October 7, 2024

      যৌনতা নিয়ে ভুল ধারণা

      Recent

      যৌনতা নিয়ে ভুল ধারণা

      শিশুর আবেগ নিয়ন্ত্রণ কীভাবে শেখাবেন

      কর্মব্যস্ততা প্রভাব ফেলে যৌনজীবনে

    • ফিচার
    • প্রশ্ন-উত্তর
      1. বিশেষজ্ঞ পরামর্শ
      2. মাদকাসক্তি
      3. মানসিক স্বাস্থ্য
      4. যৌন স্বাস্থ্য
      Featured
      প্রশ্ন-উত্তর August 7, 2025

      অতিরিক্ত চিন্তা আমার পড়ালেখার হ্যাম্পার করছে

      Recent

      অতিরিক্ত চিন্তা আমার পড়ালেখার হ্যাম্পার করছে

      কেউ আমার সঙ্গে ১০ মিনিট থাকলেই বিরক্ত হয়ে যায়

      বর্তমানে খুব ভয়াবহ সমস্যায় ভুগছি, কী করবো বুঝতে পারছিনা

    • জীবনাচরণ
      1. অন্যান্য
      2. অপরাধ আচরণ
      3. কুসংস্কার
      4. মতামত
      5. মন ও ক্রীড়া
      6. মন প্রতিদিন
      7. মনোসামাজিক বিশ্লেষণ
      8. সাক্ষাৎকার
      Featured
      সাক্ষাৎকার October 13, 2025

      বর্তমানেও অনেকেই মানসিক রোগকে লজ্জার বিষয় মনে করেন — ডা. মো. শাহেদুল ইসলাম

      Recent

      বর্তমানেও অনেকেই মানসিক রোগকে লজ্জার বিষয় মনে করেন — ডা. মো. শাহেদুল ইসলাম

      পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছি ও বিরক্ত কাজ করছে

      ভুল ধারণা ও কুসংস্কার মানসিক রোগ চিকিৎসায় বড় বাধা — ডা. মো. আব্দুল মতিন

    • মনস্তত্ত্ব.
      1. তারকার মন
      2. ব্যাক্তিত্ব
      3. মনস্তত্ত্ব
      Featured
      তারকার মন August 5, 2023

      মানুষ বদলালেই কেবল পৃথিবী বদলাবে

      Recent

      মানুষ বদলালেই কেবল পৃথিবী বদলাবে

      প্রসঙ্গ : সাইক্লোথাইমিক ব্যক্তিত্ব

      কার্ল সেগান : যিনি বিশ্বাস করতেন মহাবিশ্ব একটি মমতাপূর্ণ জায়গা

    • করোনায় মনের সুরক্ষা
      1. টিপস্
      2. বিশেষজ্ঞের মতামত
      3. বিশ্ব পরিস্থিতি
      4. সার্বক্ষনিক যোগাযোগ
      Featured
      টিপস্ September 28, 2024

      MK4C-তে কীভাবে টেলিসাইকিয়াট্রি চিকিৎসা নেবেন?

      Recent

      MK4C-তে কীভাবে টেলিসাইকিয়াট্রি চিকিৎসা নেবেন?

      প্রবাসীদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় MK4C-তে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা নেওয়ার পরামর্শ

      পরিবার যেভাবে শিশুকে গড়ে তুলবে

    মনের খবরমনের খবর
    You are at:Home » মৃগীরোগীদের যে সকল মানসিকরোগ দেখা যায়
    জীবনাচরণ

    মৃগীরোগীদের যে সকল মানসিকরোগ দেখা যায়

    মনের খবর ডেস্কBy মনের খবর ডেস্কAugust 25, 2022Updated:September 1, 2024No Comments6 Mins Read0 Views
    Facebook Twitter Pinterest Telegram LinkedIn Tumblr Email Reddit
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Pinterest WhatsApp Email

    শিশু-কিশোর মনোরোগ বিশেষজ্ঞ

    মৃগীরোগ বা আরো সহজ বাংলায় খিঁচুনি রোগ একটি অতি প্রাচীন এবং গুরুতর স্নায়বিক অসুখ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে বর্তমান পৃথিবীতে প্রায় ৫০-৬৯ মিলিয়ন মানুষ এই রোগে ভুগছে। যদিও এটি একটি স্নায়বিক অসুখ কিন্তু এর সাথে বিভিন্ন মানসিক সমস্যা বা মানসিক রোগ ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

    এর কারণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন মত দিয়েছেন। যেমন, ধারণা করা হয় যে, কিছু কিছু খিঁচুনির ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের যে অংশ থেকে খিঁচুনি রোগের উৎপত্তি, সেই একই অংশ থেকে মানসিক রোগেরও উৎপত্তি হয়ে থাকে।

    সেই সাথে খিঁচুনি রোগের জন্য যে ওষুধ সেবন করা হয়, সেসকল ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে; তবে সেটি সবার ক্ষেত্রে বা সবসময় নয়। এক্ষেত্রে ওষুধের ধরন, ডোজ, যিনি খাচ্ছেন ঐ ওষুধের প্রতি তার সংবেদনশীলতা ইত্যাদি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ।

    এটিও পড়ুন…
    পরিবার যেভাবে সদস্যদের মানসিক রোগ শনাক্ত করবে

    মৃগীরোগীদের মানসিক রোগ তৈরিতে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো মৃগীরোগীদের প্রতি আমাদের সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি। মৃগীরোগের ইতিহাস যেহেতু অনেক পুরোনো, তাই একে ঘিরে কুসংস্কারের শুরুটাও প্রাচীন। একসময় ধারণা করা হতো যারা মৃগীরোগে আক্রান্ত, তাদের ওপর শয়তান বা খারাপ আত্মার ভর আছে।

    এদের সংস্পর্শে কোনো সুস্থ লোক আসলে তাকেও শয়তান আক্রান্ত করতে পারে ফলে এ ধরনের রোগীদেরকে প্রায় একঘরে করে রাখা হতো এবং এদের সাথে অন্যদের মেলামেশা করা নিষেধ ছিল। সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে এই ধারণার যে খুব বেশি পরিবর্তন হয়েছে তা নয়।

    এখনো আমাদের সমাজে মৃগীরোগীদের অন্যচোখে দেখা হয়। বাবা মায়েরা তাদের সন্তানদের মৃগীরোগে আক্রান্ত বাচ্চাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে দেন না এবং বড়োদের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা তাই। এমনকি উন্নত বিশ্বেও এই বৈষম্য বিদ্যমান।

    ছোটোবেলা থেকে সমাজের এরকম বৈষম্যের শিকার হতে হতে মৃগীরোগীদের মাঝে বিষণœতা, আত্মবিশ্বাসের অভাব, স্কুলে না যাওয়ার প্রবণতা ফলস্বরূপ লেখাপড়ায় পিছিয়ে যাওয়া, সামাজিক দক্ষতার অভাব এবং পরবর্তিতে হতাশাগ্রস্ত হয়ে মাদকাসক্তি বা অন্যান্য অপরাধমূলক ও অসামাজিক কর্মকাÐে জড়িয়ে পড়া এমনকি আত্মহত্যার চিন্তাও আসতে পারে।

    গবেষণায় পাওয়া গেছে, মৃগীরোগে আক্রান্ত প্রায় ২০-৩০% রোগীদের মাঝে মানসিক রোগ থাকতে পারে। আবার সব মৃগীরোগে এই মানসিক সমস্যার হার একরকম নয়। কিছু নির্দিষ্ট ধরনের মৃগীরোগে অন্যান্য মৃগীরোগের তুলনায় অনেক বেশি মানসিক সমস্যা দেখা যায়। সেরকম একটি মৃগীরোগ হচ্ছে টেম্পোরাল লোব এপিলেপ্সি বা কম্পলেক্স পার্শিয়াল সিজার।

    অন্যান্য খিঁচুনির চেয়ে এই খিঁচুনির একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এই খিঁচুনি রোগে যে শুধু খিঁচুনির ফলাফলস্বরূপ বিভিন্ন মানসিক সমস্যা হয় তাই নয়, বরং খিঁচুনি রোগের লক্ষনগুলো বিভিন্ন মানসিক সমস্যারূপে প্রকাশ পায়।

    যেমন অন্যান্য খিঁচুনিতে মস্তিষ্কে খিঁচুনি শুরু হওয়ার পর বাহ্যিকভাবে রোগীর হাত-পা বা শরীর বাকা হয়ে যায়, ঝাঁকুনি খায়, রোগী দাঁড়ানো অবস্থায় থাকলে মাটিতে পড়ে যায় ফলে কখনো কখনো শরীরে মারাত্মক আঘাতও পায় এমনকি অনেক সময় রোগী প্রস্রাব-পায়খানাও করে দেয়। ফলে সেসময় রোগীর আশেপাশে যারা থাকেন তারা বুঝতে পারেন যে রোগীর খিঁচুনি হচ্ছে।

    অন্যদিকে টেম্পোরাল লোব এপিলেপ্সিতে হয়ত মস্তিষ্কের টেম্পোরাল লোবে খিঁচুনি হচ্ছে ঠিকই কিন্তু বাহ্যিকভাবে খিঁচুনির কোনো সাধারণ লক্ষণ প্রকাশ পায় না বরং রোগী তখন কিছু অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকে।

    এই অস্বাভাবিক আচরণ হতে পারে নিজের জামাকাপড় ধরে টানা বা খুলে ফেলা থেকে শুরু করে চিৎকার করা, নিজেকে আঘাত করা কিংবা ভাঙচুর করা এমনকি ঘর থেকে ছুটে বের হয়ে অন্য কোথাও চলে যাওয়া যেকোনো কিছু।

    পড়ুন….
    যৌন সম্পর্কে চিন্তারোগের প্রভাব এবং প্যানিক ডিজঅর্ডার

    সেসময় রোগীকে দেখলে মনে হতে পারে রোগী হয়ত সজ্ঞানেই সব করছে কিন্তু আসলে ঐ মুহূর্তে রোগীর জ্ঞান থাকে না। যার কারণে অনেক বড়ো ধরনের বিপদ ঘটারও সম্ভাবনা থাকে যেমন ঘর থেকে বের হয়ে হাঁটতে হাঁটতে পুকুরে পড়ে যাওয়া, আগুনের সংস্পর্শে আসা কিংবা রাস্তায় কোনো গাড়ির সামনে চলে আসা ইত্যাদি।

    যেহেতু এসময় রোগীর জ্ঞান থাকে না তাই খিঁচুনি পরবর্তী সময়ে রোগী খিঁচুনি চলাকালীন তার অস্বাভাবিক আচরনের কিছুই মনে করতে পারেন না। অন্যদিকে এই রোগীদের একটি বড়ো অংশই প্রথম পর্যায়ে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হন কারণ রোগীর আত্মীয় মনে করেন তার কোনো মানসিক রোগ হয়েছে যার ফলে তিনি মাঝেমধ্যে এমন আচরণ করছেন এবং পরবর্তিতে ভুলে যাচ্ছেন।

    এছাড়া সব মিলিয়ে যেকোনো মৃগীরোগের ক্ষেত্রেও নিম্নোক্ত মানসিক সমস্যা বা মানসিক অসুখগুলো দেখা দিতে পারে :

    ১. সাইকোটিক ডিজঅর্ডার : সিজোফ্রেনিয়া যার মধ্যে প্যারানয়েড সিজোফ্রেনিয়া সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। এধরনের রোগীদের ব্রেইন ইমেজিং করলে ব্রেইন ভলিউম তথা মস্তিষ্কের আয়তনও স্বাভাবিকের চেয়ে কম পাওয়া যায়।
    ২. বাইপোলার ডিজঅর্ডার : গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রতিবছর ১০০০ জন মৃগীরোগীদের মাঝে প্রায় ১.৬৯ জনের মধ্যে বাইপোলার রোগটি দেখা যায় যেখানে কিনা সাধারণ মানুষের মধ্যে এই সংখ্যা হাজারে ০.০৭ জন।
    ৩. ডিপ্রেশন : মৃগীরোগীদের মাঝে মানসিক রোগের ক্ষেত্রে ডিপ্রেশন বা বিষণœতা রোগের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। এর কারণ হিসেবে সরাসরি মস্তিষ্কে মৃগীরোগের প্রভাব এবং মৃগীরোগীদের প্রতি অন্যান্যদের অবমাননাকর আচরণ দুটোই দায়ী।
    ৪. এংক্সাইটি ডিজঅর্ডার : মৃগীরোগীদের মাঝে অ্যাংজাইটি ডিজঅর্ডার বা উদ্বেগজনিত সমস্যাও দেখা যায়। বিশেষ করে, টেম্পোরাল লোব এপিলেপ্সির ক্ষেত্রে এটি হওয়ার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি, প্রায় ১৯ শতাংশ।
    ৫. পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডার : অনেকক্ষেত্রেই দীর্ঘদিন বারবার খিঁচুনি হওয়ার ফলে মৃগীরোগীদের মাঝে ব্যক্তিত্বের সমস্যা দেখা যায়। অনেকের মাঝে তার পূর্বের ব্যক্তিত্ব থেকে কিছুটা ভিন্নতা দেখা যায় যেমন সার্বক্ষণিক খিটখিটে মেজাজ বা অল্পতেই রেগে যাওয়া, অনেক বেশি কথা বলা বা একদম চুপচাপ হয়ে যাওয়া এবং অনেকসময় তার ঘুম, খাওয়া এমনকি যৌন চাহিদারও পরিবর্তন আসতে পারে।
    ৬. আত্মহত্যার প্রবণতা : যেহেতু মৃগীরোগের সাথে ডিপ্রেশনের সম্পর্ক রয়েছে সেহেতু এই রোগীদের মাঝে প্রায়ই আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা যায়। এছাড়াও গবেষণায় মৃগীরোগের সাথে সরাসরিভাবে আত্মহত্যাপ্রবণতার সম্পর্ক পাওয়া গেছে যদিও এর পেছনের কারণ এখনো অজানা।
    ৭. অতিচঞ্চলতা ও অমনোযোগিতা : সাধারণত মৃগীরোগে আক্রান্ত বাচ্চাদের মাঝে অতিচঞ্চলতা ও অমনোযোগিতা সংক্রান্ত সমস্যা পরিলক্ষিত হয় যর ফলে এই বাচ্চারা পরবর্তিতে লেখাপড়া ও অন্যান্য কাজে অন্য শিশুদের চেয়ে বেশি পিছিয়ে পড়ে।
    ৮. বুদ্ধির ঘাটতি : দীর্ঘদিন ধরে খিঁচুনির সমস্যা থাকলে এবং চিকিৎসায় নিয়ন্ত্রণে আনা না গেলে বুদ্ধির ঘাটতিজনিত সমস্যা দেখা যায়। বিশেষত, এটি শিশুদের ক্ষেত্রেই বেশি লক্ষণীয়। যেসব শিশুরা একদম ছোটো থেকেই খিঁচুনি রোগে ভুগছে তাদের মাঝে একটা বড়ো অংশকে পরবর্তিতে বুদ্ধিবৃত্তিতে পিছিয়ে পড়তে দেখা যায়। এছাড়া বুদ্ধিপ্রতিবন্ধিতার সাথে মৃগীরোগের একটি উভমুখী সম্পর্ক রয়েছে। দেখা গেছে যে, খিঁচুনি রোগে আক্রান্ত একটা বড়ো অংশের শিশুদের মাঝে পরবর্তিতে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধিতার লক্ষণ প্রকাশ পাচ্ছে অন্যদিকে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী শিশু-কিশোরদের একটা বড়ো অংশের মাঝেও খিঁচুনি রোগ পাওয়া যাচ্ছে।
    ৯. স্মৃতিশক্তি হ্রাস : দীর্ঘদিন খিঁচুনি রোগ বিশেষত যেগুলো যথাযথ চিকিৎসার আওতায় আনা সম্ভবত হয়নি কিংবা চিকৎসায় খুব বেশি উন্নতি হয়নি সেসব রোগীদের মাঝে ধীরে ধীরে স্মৃতিশক্তি হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা গেছে।
    ১০. এন্টিএপিলেপ্টিক ওষুধের প্রভাব : মৃগীরোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত কিছু এন্টিএপিলেপ্টিক ওষুধের প্রভাবেও অনেকসময় কিছু মানসিক রোগের লক্ষণ দেখা যায়। তাই এসমস্ত ওষুধ সবসময় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করা উচিত।

    প্যানিক ডিজঅর্ডার চিকিৎসায় ভালো না হওয়ার কারণ ও প্রতিকার

    মৃগীরোগ কোনো অভিশাপ বা শয়তানের প্রভাব নয়, এটি মস্তিষ্কের অন্যান্য অসুখের মতোই একটি অসুখ যেটি শুধুমাত্র বাংলাদেশ নয় পুরো বিশ্বব্যাপী পরিলক্ষিত। সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব, অন্যদিকে অবহেলায় মৃগীরোগীর জীবন হতে পারে করুণ।

    তাই মৃগীরোগ সম্পর্কিত সঠিক ধারণা থাকা খুব জরুরি; বিশেষত, রোগীকে আর দশটা সাধারণ মানুষের মতো সুস্থ, সুন্দর জীবন প্রদান করতে এই রোগ এবং তার সাথে জড়িত মানসিক রোগ সম্পর্কে যথাযথ ধারণা থাকার বিকল্প নেই।

    লেখক : ডা. মাহাবুবা রহমান
    এমবিবিএস, এমডি (চাইল্ড এন্ড এডোলেসেন্ট সাইকিয়াট্রি)
    রেজিস্ট্রার, ডিপার্টমেন্ট অব সাইকিয়াট্রি
    মেডিকেল কলেজ ফর উইমেন এন্ড হসপিটাল, ঢাকা৷

    সূত্র : মাসিক ‘মনের খবর’ জুলাই ২০২২ সংখ্যা

    • মাসিক মনের খবর প্রিন্ট ম্যাগাজিন সংগ্রহ করতে চাইলে কল করুন : 01797296216 এই নাম্বারে। অথবা মেসেজ করুন পেজের ইনবক্সে। লেখা পাঠাতে পারেন monerkhaboronline@gmail.com বা এই 01844618497 হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে।

    /এসএস/মনেরখবর/

    ডা. মাহাবুবা রহমান মানসিক রোগ মৃগীরোগ মৃগীরোগীদের যে সকল মানসিকরোগ দেখা যায়
    Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Reddit WhatsApp Telegram Email
    Previous Articleচোখে ঝাপসা দেখি, কাজ করতে পারি না
    Next Article নারীর জীবনচক্রই মানসিক স্বাস্থ্যে ঝুঁকি তৈরী করে : অধ্যাপক ওয়াজিউল আলম
    মনের খবর ডেস্ক

    Related Posts

    অলসতা কীভাবে মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে

    October 19, 2025

    বর্তমানেও অনেকেই মানসিক রোগকে লজ্জার বিষয় মনে করেন — ডা. মো. শাহেদুল ইসলাম

    October 13, 2025

    ভুতে ধরা নাকি মানসিক রোগ?

    October 4, 2025
    Leave A Reply Cancel Reply

    Top Posts

    অতিরিক্তি হস্তমৈথুন থেকে মুক্তির উপায়

    July 25, 2021316 Views

    অভিভাবকত্ব শুধুমাত্র লালন-পালনের নাম নয়, এটি একটি সুসংগঠিত প্রক্রিয়া

    June 30, 2025300 Views

    বাংলাদেশি মনোরোগ চিকিৎসকের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

    July 2, 2025209 Views

    পর্নোগ্রাফি থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ দূরে রাখবেন যেভাবে

    March 13, 2022118 Views
    Don't Miss
    কার্যক্রম October 22, 2025

    নোয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চালু হলো সাইকিয়াট্রি আউটডোর সেবা

    নোয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চালু হয়েছে নিয়মিত সাইকিয়াট্রি আউটডোর সেবা। জেলার মানসিক স্বাস্থ্যসেবায় এটি…

    সরকারি অর্থায়নে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন রূপ নিচ্ছে পাবনা মানসিক হাসপাতাল

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. হামিদা আক্তার বেগম আর নেই

    নেত্রকোনা জেলা সদর হাসপাতালে মনোরোগবিদ্যা বিভাগের নতুন যাত্রা শুরু

    Stay In Touch
    • Facebook
    • Twitter
    • Pinterest
    • Instagram
    • YouTube
    • Vimeo
    আমাদের সম্পর্কে
    আমাদের সম্পর্কে

    প্রকাশক ও সম্পাদক:
    অধ্যাপক ডা. সালাহ্উদ্দিন কাউসার বিপ্লব
    মোবাইল : (+88) 018-65466594, (+88) 014-07497696
    ইমেইল : info@monerkhabor.com

    লিংক
    • মাসিক ম্যাগাজিন প্রাপ্তিস্থান
    • কনফারেন্স-সেমিনার-ওয়ার্কশপ
    • প্রেজেন্টেশন
    • জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট
    রিসোর্স
    • পরিচালনা পর্ষদ
    • মানসিক বিষয়ে সংগঠন
    • বিশেষজ্ঞ লোকবল
    • নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
    সোশ্যাল মিডিয়া
    • Facebook
    • YouTube
    • LinkedIn
    • WhatsApp
    © 2025 মনেরখবর সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
    • আমাদের সম্পর্কে
    • যোগাযোগ
    • গোপনীয়তা নীতি

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.

    Ad Blocker Enabled!
    Ad Blocker Enabled!
    Our website is made possible by displaying online advertisements to our visitors. Please support us by disabling your Ad Blocker.