অধ্যাপক ডা. মো. ফারুক আলম
মনোরোগ বিশেষজ্ঞ
শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক বিকাশের জন্য খেলাধুলা একটি অত্যাবশ্যক বিষয়। সুষ্ঠু ওু সন্তোষজনক খেলাধলার জন্য প্রয়োজন মানসিক স্থিরতা। শারীরিক কিংবা মানসিক যে কারণেই হোক মানসিক অস্থিরতা খেলার মানকে প্রভাবিত করে। স্বাভাবিক মনঃসংযোগ ব্যতিরেকে প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণ হওয়া দুষ্কর।
অতি চঞ্চলতা একটি মানসিক সমস্যা যেখানে অমনোযোগিতা, অস্থিরতা ও হঠাৎ রেগে যাওয়া- এসব যখন তখন ঘটে থাকে। খেলার মাঝে এ ধরনের সমস্যা শুধু খেলার মানকে বিঘ্নই নয়; খেলোয়াড়, বিপক্ষ দল, ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত কর্তাব্যক্তি এবং দর্শক-শ্রোতাদের সাথেও সম্পর্কজনিত সমস্যা সষ্টিৃ করে।
নিয়ম-নীতি ও আইন শৃঙ্খলাজনিত সমস্যাও এক্ষেত্রে একটি বড়ো বাধা হয়ে দেখা দিতে পারে। অতি চঞ্চলতাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য না করে মানসিক সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করা প্রয়োজন। ‘ক্রীড়ায় অতি চঞ্চলতা’ এ বিষয়ক গবেষণা অতীব জরুরি।
ন্যাশনাল মেন্টাল হেলথ সার্ভে বাংলাদেশ ২০১৯ এর ফলাফলে দেখা যায়, ৭ বছরের ঊর্ধ্বে শিশু-কিশোরদের মাঝে অতি চঞ্চলতা (ADHDAttention Deficit Hyperactive Syndrome) রোগের হার ১.১ শতাংশ।
বড়োদের মাঝেও এ সমস্যা বহমান থাকে। শিশু-কিশোর, যুবক ও প্রাপ্তবয়স্ক খেলোয়াড় সকলের মাঝেই অতি চঞ্চলতা থাকার সম্ভাবনা থাকে। কোনো দক্ষ খেলোয়াড়ের মাঝে রাগ, বদমেজাজ কিংবা নিয়ম-শঙ্খলা বিষয়ক সমস্যা পরিলক্ষিত হলে প্রয়োজন তার মানসিক স্বাস্থ্য বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। দোষারোপ করে বহিষ্কার বিজ্ঞানসম্মত নয়।
লেখক : অধ্যাপক ডা. মো. ফারুক আলম
সাবেক পরিচালক, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল।
সূত্র : মাসিক মনরে খবর জানুয়ারি ২২’ সংখ্যা
মাসিক মনের খবর প্রিন্ট ম্যাগাজিন সংগ্রহ করতে চাইলে কল করুন : 01797296216 এই নাম্বারে। অথবা মেসেজ করুন পেজের ইনবক্সে।
/এসএস/মনেরখবর