ডা. ফয়সাল রাহাত
ফেইজ বি রেসিডেন্ট, এমডি (সাইকিয়াট্রি), মনোরোগবিদ্যা বিভাগ, বিএসএমএমইউ
মানুষ মরণশীল, জন্মালে মরতে হবেই। এই চিরন্তনী সত্যটি জানে না এমন একজন স্বাভাবিক মানুষও খুঁজে পাওয়া যাবে না। তবুও প্রিয়জন মারা গেলে অশ্রম্ন বাধ মানে না, অন্তর বুঝেও বুঝতে চায় না। যে মানুষের সাথে হাজারো স্মৃতি, সে আর স্মৃতি তৈরি করবে না; যার সাথে সহস্র বাক্য বিনিময়, সে মানুষটি আর কথা বলবে না—এ ব্যাপারটি মেনে নেওয়া খুবই কঠিন। মৃত্যু যতই অমোঘ সত্য হোক, কাছের মানুষের মৃত্যু মানুষ সহজে মেনে নিতে পারে না। মাঝেমাঝে এমনও মনে হয়, যদি নিজে মৃত্যুবরণ করে হলেও সেই প্রিয়জনের সান্নিধ্যে যেতে পারতাম!
নিকটজনের মৃত্যুর পর সন্তপ্ত ব্যক্তির মনে আত্মহত্যার চিন্তা কেমন আসতে পারে, সেটি পর্যবেক্ষণ করতে নিউইয়র্কে একটি গবেষণা পরিচালনা করা হয়। ২০১৯ সালে Systemic review পদ্ধতিতে চলা গবেষণায় Nicolette Molina-সহ মোট ছয় জন গবেষক অংশগ্রহণ করেন। PRISMA-P গাইডলাইন অনুসরণ করে PsycINFO, MEDLINE এবং Web of Science databases থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আর্টিকেল সার্চ করা হয়। ২০১৯ সাল পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত আর্টিকেলগুলো এ গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। গবেষণায় দেখা যায়, নিকটজনের মৃত্যুর পর শোকাহত ব্যক্তির মস্তিষ্কে প্রায়ই আত্মহত্যার চিন্তা আসতে পারে; এক্ষেত্রে যাদের আত্মীয় আত্মহত্যা করে মারা গিয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে আত্মহত্যার চিন্তা আসার হার সবচেয়ে বেশি (১৪.১% – ৪৯%)! দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন ক্যান্সারে মৃতদের নিকটজনেরা, তাদের আত্মহত্যার চিন্তার হার ১৬%-৩১%!
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী, প্রতি বছর বাহাত্তর লক্ষের বেশি মানুষ আত্মহত্যার মাধ্যমে মৃত্যুবরণ করেন। এত বিশাল সংখ্যক মানুষের আত্মহত্যা প্রতিরোধ করতে হলে আত্মহত্যার ঝুঁকিগুলো খুঁজে বের করে সেগুলো দূর করতে হবে। উপর্যুক্ত গবেষণা থেকে জানা গেল সদ্য স্বজন হারানো ব্যক্তিরাও আত্মহত্যার বেশ ঝুঁকিতে থাকেন। তাই এ ঝুঁকিপূর্ণ সময়ে তাদের দিকে বিশেষভাবে নজর দেওয়া উচিত।
রেফারেন্স
- এপোয়েন্টমেন্ট নিতে যোগাযোগ করুন-Prof. Dr. Shalahuddin Qusar Biplob
- চেম্বার – MK4C -মনের খবর ফর কেয়ার
মগবাজার রেইল গেইট।
নাভানা বারেক কারমেলা, লিফটের ৩,
(ইনসাফ কারাকাহ হাসপাতালের বিপরীতে)।
চেম্বার সিরিয়াল – ০১৮৫৮৭২৭০৩০
আরও পড়ুন-