Close Menu
    What's Hot

    BACAMH – এর সদস্যপদ নবায়ন শুরু: ৫ ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে নবায়ন সম্পন্নের আহ্বান

    চিকিৎসকদের মতে, দেশের স্বাস্থ্যসেবায় মানসিক স্বাস্থ্য এখনো উপেক্ষিত

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু

    লক্ষ্য নির্ধারন নিয়ে মনের খবর মাসিক ম্যাগাজিনের জুলাই সংখ্যা ২০২৫

    মানসিক রোগ নিয়ে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাচ্ছে এটাই বড় অর্জন — ডা. আহমদ রিয়াদ চৌধুরী

    Facebook X (Twitter) Instagram
    Wednesday, November 26
    Facebook X (Twitter) Instagram
    মনের খবরমনের খবর
    ENGLISH
    • মূল পাতা
    • কার্যক্রম
      1. জাতীয়
      2. আন্তর্জাতিক
      Featured
      কার্যক্রম November 20, 2025

      BACAMH – এর সদস্যপদ নবায়ন শুরু: ৫ ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে নবায়ন সম্পন্নের আহ্বান

      Recent

      BACAMH – এর সদস্যপদ নবায়ন শুরু: ৫ ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে নবায়ন সম্পন্নের আহ্বান

      চিকিৎসকদের মতে, দেশের স্বাস্থ্যসেবায় মানসিক স্বাস্থ্য এখনো উপেক্ষিত

      মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু

    • প্রতিদিনের চিঠি
    • মানসিক স্বাস্থ্য
      1. মাদকাসক্তি
      2. মানসিক স্বাস্থ্য সেবা তথ্য
      3. যৌন স্বাস্থ্য
      4. শিশু কিশোর
      Featured
      ফিচার October 7, 2024

      যৌনতা নিয়ে ভুল ধারণা

      Recent

      যৌনতা নিয়ে ভুল ধারণা

      শিশুর আবেগ নিয়ন্ত্রণ কীভাবে শেখাবেন

      কর্মব্যস্ততা প্রভাব ফেলে যৌনজীবনে

    • ফিচার
    • প্রশ্ন-উত্তর
      1. বিশেষজ্ঞ পরামর্শ
      2. মাদকাসক্তি
      3. মানসিক স্বাস্থ্য
      4. যৌন স্বাস্থ্য
      Featured
      প্রশ্ন-উত্তর August 7, 2025

      অতিরিক্ত চিন্তা আমার পড়ালেখার হ্যাম্পার করছে

      Recent

      অতিরিক্ত চিন্তা আমার পড়ালেখার হ্যাম্পার করছে

      কেউ আমার সঙ্গে ১০ মিনিট থাকলেই বিরক্ত হয়ে যায়

      বর্তমানে খুব ভয়াবহ সমস্যায় ভুগছি, কী করবো বুঝতে পারছিনা

    • জীবনাচরণ
      1. অন্যান্য
      2. অপরাধ আচরণ
      3. কুসংস্কার
      4. মতামত
      5. মন ও ক্রীড়া
      6. মন প্রতিদিন
      7. মনোসামাজিক বিশ্লেষণ
      8. সাক্ষাৎকার
      Featured
      সাক্ষাৎকার November 5, 2025

      মানসিক রোগ নিয়ে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাচ্ছে এটাই বড় অর্জন — ডা. আহমদ রিয়াদ চৌধুরী

      Recent

      মানসিক রোগ নিয়ে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাচ্ছে এটাই বড় অর্জন — ডা. আহমদ রিয়াদ চৌধুরী

      বর্তমানেও অনেকেই মানসিক রোগকে লজ্জার বিষয় মনে করেন — ডা. মো. শাহেদুল ইসলাম

      পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছি ও বিরক্ত কাজ করছে

    • মনস্তত্ত্ব.
      1. তারকার মন
      2. ব্যাক্তিত্ব
      3. মনস্তত্ত্ব
      Featured
      তারকার মন August 5, 2023

      মানুষ বদলালেই কেবল পৃথিবী বদলাবে

      Recent

      মানুষ বদলালেই কেবল পৃথিবী বদলাবে

      প্রসঙ্গ : সাইক্লোথাইমিক ব্যক্তিত্ব

      কার্ল সেগান : যিনি বিশ্বাস করতেন মহাবিশ্ব একটি মমতাপূর্ণ জায়গা

    • করোনায় মনের সুরক্ষা
      1. টিপস্
      2. বিশেষজ্ঞের মতামত
      3. বিশ্ব পরিস্থিতি
      4. সার্বক্ষনিক যোগাযোগ
      Featured
      টিপস্ September 28, 2024

      MK4C-তে কীভাবে টেলিসাইকিয়াট্রি চিকিৎসা নেবেন?

      Recent

      MK4C-তে কীভাবে টেলিসাইকিয়াট্রি চিকিৎসা নেবেন?

      প্রবাসীদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় MK4C-তে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা নেওয়ার পরামর্শ

      পরিবার যেভাবে শিশুকে গড়ে তুলবে

    মনের খবরমনের খবর
    You are at:Home » ডাক্তার-রোগী সম্পর্কের দূরত্ব ঘোচানোর দায় সরকারের : ডা. জাফরুল্লাহ
    কার্যক্রম

    ডাক্তার-রোগী সম্পর্কের দূরত্ব ঘোচানোর দায় সরকারের : ডা. জাফরুল্লাহ

    মনের খবর ডেস্কBy মনের খবর ডেস্কApril 12, 2023Updated:April 12, 2023No Comments8 Mins Read0 Views
    Facebook Twitter Pinterest Telegram LinkedIn Tumblr Email Reddit
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Pinterest WhatsApp Email

    জাফরুল্লাহ চৌধুরী। মুক্তিযুদ্ধকালে তিনি গড়ে তুলেছিলেন বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল । মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের কারণে অসমাপ্ত থাকে বিলেতে রয়্যাল কলেজ অব সার্জনস-এ তাঁর এফআরসিএস ডিগ্রি। তিনি বিশ্বাস করেন মেয়েদের সহজাত ধৈর্য আর মমত্ববোধকে কাজে লাগিয়ে চিকিৎসা-ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা সম্ভব। যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে তিনি গড়ে তোলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। জাতীয় ঔষধ নীতি প্রণয়নেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। দেশে-বিদেশে গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার ও সম্মাননায় স্বীকৃত হয়েছে তাঁর সুদীর্ঘ কর্মময় জীবন। মনের খবর’র পথচলার শুরুলগ্নে প্রথম বর্ষে ৭ম সংখ্যায় সাক্ষাতকার দিয়েছিলেন গুণি এ মানুষটি। কথা বলেছিলেন ডাক্তার ও রোগীর সম্পর্ক, দায়িত্ব, ঔষধ প্রশাসন নীতিসহ নানা বিষয়ে। মনের খবর’র পক্ষ থেকে সেসময় তাঁর মুখোমুখি হয়েছিলেন সাদিকা রুমন। ডা. চৌধুরীর সম্মানে এবং তার স্মৃতি রোমন্থনে মনের খবর পাঠকদের জন্য অনলাইনে তার পুরো সাক্ষাতকারটি প্রকাশ করা হলো।

    আজকাল চিকিৎসা কথাটির সঙ্গে সেবা শব্দটি যতটা না উচ্চারিত হয় ‘ব্যবসা’ শব্দটি তার চেয়ে বেশি উচ্চারিত হয়, এর কারণ কী?

    ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী : চিকিৎসাটা ব্যবসা হয়ে গেল সেদিনই যেদিন চিকিৎসা মেয়েদের হাত থেকে পুরুষ মানুষের হাতে চলে আসলো। চিকিৎসা প্রকৃতপক্ষে ছিল সেবা এবং মেয়েরা ছিল পৃথিবীর আদি ডাক্তার। কেন মেয়েরাই প্রথম চিকিৎসক ছিল এটা বুঝতে হলে ইতিহাস বুঝতে হবে। কারণটা হলো- মানুষের প্রথম সমস্যাটাই ছিল গর্ভ; মেয়েদের বাচ্চা হতো। বাচ্চা হলে রক্তপাত হতো। এই রক্ত পামানোর জন্য তাকে প্রতিকার খুঁজে বের করতে হলো, প্রকৃতির মধ্যে জ্ঞানেরর অন্বেষণ করতে হলো। তারপর হাত-পা কেটে গেলে, সর্দি-কাশি হলে কী করে প্রতিকার করা যায় সেটিও তাকে প্রকৃতি তাকে খুঁজে বের করতে হলো। জ্বর বা ম্যালেরিয়ার জন্য যে কুইনাইন সেটিও গাছ-গাছরা থেকে এসেছে। এরপর অ্যাসপিরিনারিনও গাছ-গাছরা থেকে এসেছে। এই জ্ঞানগুলো মেয়েদের মধ্যেই ছিলো। তারা এটাকে সেবা হিসেবেই ব্যবহার করত। তারপর যখন দেখা গেল এর সঙ্গে সম্মানের একটা সম্পর্ক আছে, আরো বিবিধ সুবিধা আছে তখন ধীরে ধীরে পুরুষ এই পেশার মধ্যে ঢুকে গেল। শুধু ঢুকলোই না তারা একসময় চিকিৎসা-সেবা দানকারী মেয়েদেরকে ‘ডাইনি’ বলে মারতে শুরু করল। তারপর থেকেই স্বাস্থ্যসেবাটা ব্যবসায় পরিণত হয়ে গেল। ব্যবসা হলেই ব্যবসায়ী লাভ করতে চাইবে; অল্প লাভে সে খুশি না। ব্যবসা হলেই সে চাইবে কী করে ঠকানো যাবে। যেমন ধরুন, অনেক ভালো ভালো ডাক্তার আছেন যারা রোগীকে সময় দেন না, তাদেরকে কথা বলার সুযোগ দেন। না। শুধু ঔষধ লিখে দেন। কেন ঔষধ লেখেন? কারণ অধিকাংশ কোম্পানির সঙ্গে তাঁদের একটা লেনদেনের সম্পর্ক আছে। তাঁরা যত ঔষধ লিখবেন তার জন্য টাকা পাবেন। এটা অনৈতিক। ডাক্তাররা কথা বলেন না বলে মনোরোগ বৃদ্ধি পায়। মনোরোগের মূল চিকিৎসা ঔষধ না কিন্তু, কথা বলা। তার সুখ-দুঃখের কথা শোনা। তাকে কথা বলতে দেয়া। শুধু ঔষধ গেলালে তো হবে না! আবার, অকারণে বাংলাদেশের ঔষধের দাম বেশি যেহেতু কোম্পানিগুলো ডাক্তারকে ঘুষ দেয়, এজেন্টকে ঘুষ দেয় সেহেতু এসব যোগান দেয়ার জন্য তাদেরকে বেশি টাকা মুনাফা করতে হয়। আরেক দিকে আছে টেস্টের দাম। মানুষ সর্বস্বান্ত হয়ে যায়। জায়গা-জমি বিক্রি করে তাকে চিকিৎসা করতে হয়। আমরা তো করে দেখালাম। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে আমেরিকান স্ট্যান্ডার্ডের ডায়ালায়সিস করা হয়। কিন্তু সেখানে আমরা দরকে অর্ধেকের নিচে নামিয়ে নিয়ে এসেছি। রোগীর সেবাটাকে আমরা গুরুত্ব দেই। বাংলাদেশের সবকিছুই হলো আমলাতান্ত্রিকতা। এই যে সম্প্রতি একটা বাজেট হলো। বাজেট নিয়ে বিএসএমইউতে কোনো আলোচনা হয় না। ডাক্তারদের বাজেট নিয়ে কোনো আগ্রহ নেই। তাদের আগ্রহী হতে হবে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে যেন আসে চিকিৎসা- উপকরণ। পৃথিবীতে আমরা এত নম্বর হয়েছি বলে মানুষকে বোকা বানাচ্ছে। আপনি যদি বাবার চিকিৎসা করাতে না পারেন, আপনার মা যদি চিকিৎসার অভাবে মারা যায়, চিকিৎসার খরচ যোগাড় করতে গিয়ে যদি আপনার খাওয়া-দাওয়া বন্ধ হয়ে যায় তাহলে বাংলাদেশ এক নম্বর হয়ে আপনার লাভ কী!

    এই অবস্থার মূল দায় কার? দৃশ্যের বদলই বা সম্ভব কীভাবে?

    ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী : সরকারের নিয়ন্ত্রণ না থাকাটা এ অবস্থার জন্য মূলত দায়ী। বাংলাদেশের আরেকটা ভয়ানক ব্যাপার হলো এখানকার ইনএডুকেট কারিকুলাম। ইনএডুকেট কারিকুলাম কীরকম—এখানে ইকনোমিকস অফ হেলথ কেয়ার পড়ানো হয় না। এই যে একটা ঔষধের দাম কীভাবে নির্ণয় হয়, কত খরচ হয় এগুলো শেখানো হয় না। সোশ্যাল বিহেভিয়ার শেখানো হয় না। তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এখনো বাংলাদেশের ৭০% লোক গ্রামে থাকে। গ্রামের জীবনযাত্রা বা পরিবেশের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ নেই। কারিকুলাম যদি ঠিক না হয় তাহলে এই বিচ্ছিন্নতা সংকুচিত হবে না। একমাত্র গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রেই শিক্ষার্থীদের গ্রামে থাকতে হয়, গ্রামের জীবনযাত্রা, তাদের খাওয়া-দাওয়া, কোন ডাক্তার তাদের চিকিৎসা করে গ্রাম্য ডাক্তার নাকি পাশ করা ডাক্তার এইসব জানতে হয়। প্রতি বছরই একমাস করে তাদের গ্রামে থাকতে হয়। ফলে গ্রাম সম্পর্কে ভীতিটা তার চলে যায়, একটা সহমর্মিতা জন্ম নেয়, মানুষের জন্য দরদ তৈরি হয়। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসও পড়তে হয়। কারিকুলামের পরিবর্তন না হলে এই বিষয়গুলো একজন মেডিক্যাল শিক্ষার্থীর মধ্যে তৈরি হবে না। আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, মেডিক্যাল কেয়ারটা একটা টিমওয়ার্ক। একজন ডাক্তার একা কিছু করতে পারেন না। অনেকের সাপোর্ট দরকার হয় তার। এজন্য চিকিৎসার সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে মিলেমিশে টিমওয়ার্ক করতে হবে এবং এই টিমওয়ার্কে মেয়েদের অবদানটাই বেশি।কারণ তাদের মধ্যে দরদটা বেশি, ধৈর্য বেশি। মেয়েদের সহজাত এই বৈশিষ্ট্যটিকে কাজে লাগাতে হবে। ডাক্তার হতে পারেন মেয়ে, নার্স, টেকনিশিয়ান কিংবা সুইপার হতে পারেন মেয়ে। মূল কথা হচ্ছে মেয়েদের ছাড়া স্বাস্থ্যব্যবস্থার পবির্তন সম্ভব নয়। আমি তো শুরুতেই বলেছি স্বাস্থ্যসেবা শুরুই হয়েছিল মেয়েদের দিয়ে। চিকিৎসাকে ব্যবসা থেকে সেবায় ফেরাতে হলে মেয়েদেরকেই মূল অবলম্বন করতে হবে। এই পরিবর্তনগুলো না আসলে কখনো ভালো চিকিৎসা হবে না।

    চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশের প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষেরা এখনো ঢাকামুখী। সমান সুবিধা সবজায়গায় বিস্তৃত করে কি চিকিৎসাসেবার বিকেন্দ্রীকরণ সম্ভব?

    ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী : যখন মানুষের ব্যবসায়িক মনোবৃত্তি আসে তখন সে সব কিছু একলা ভোগ করতে চায়। অন্যকে ভাগ দিতে চায় না। যতগুলো রোগ আছে তার প্রায় আশি ভাগ রোগের চিকিৎসা করা যাবে ইউনিয়ন, উপজেলা এবং জেলা হসপিটালে। যেমন ধরুন, আগুনে পোড়া বেশিরভাগ আগুনে পোড়ারই চিকিৎসা হচ্ছে পোড়া অংশ পানিতে ডুবিয়ে রাখা। এটার জন্য তো ডাক্তারের কাছে আসার দরকার নাই। আগে পুড়ে গেলে ডিম ভেঙে লাগিয়ে দিত। এই জ্ঞানগুলো স্বাভাবিকভাবেই মানুষের ভেতর ছিল। ব্যথা হলে একটা ইনজেকশন দিতে হবে-মরফিন মরফিন সব জায়গায় পাওয়া যায়। এর জন্য ঢাকায় আসার প্রয়োজন নেই। প্রাথমিক চিকিৎসা সেখানেই করে ফেলা সম্ভব। হ্যাঁ, যদি শরীরের ৩০% এর বেশি পুড়ে যায় তাহলে বড় হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। আবার ধরুন, বাচ্চা হওয়ার বিষয়টি। এখনো বাংলাদেশে ৭০% বাচ্চা ধাই-রা ধরে। তার মানে হলো এক লাখ বাচ্চার মধ্যে সত্তর হাজার বাচ্চা ধাই-রা ধরে। তাদের হাতে মারা যায় বড়জোর একশটা। বাকি যে তিরিশ হাজার বাচ্চা হাসপাতালে হচ্ছে তাদের মধ্যে মারা যাচ্ছে সত্তরটা বাচ্চা। তারমানে এইসব ধাই-রা একেবারে অকর্মণ্য নয়। কিন্তু আপনারা কী করছেন গ্রামের এই ধাইটাকে ট্রেনিং না দিয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসছেন। এই প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে মানুষজন ঢাকামুখী হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তাতে যানজট বাড়ছে। যানজট বাড়লে কী হবে? রোগী পথেই মারা যাবে। ঢাকা শহরে ভিড় না কমলে এখানকার ডাক্তারদের মনমেজাজ ভালো হবে না তারা রোগীকে সময় দিতে পারবেন না। ফলে অনেক সময় খুব ভালো ডাক্তারও খারাপ চিকিৎসা দেন যোৱা উচ্চ পর্যায়ে আছেন, যেমন-বিএসএমইউ; সবধরনের রোগ তাঁদের দেখার প্রয়োজন নেই। তাঁদের কাছে কঠিন রোগী যাকে আমরা রেফারার বলি-আমরা সাধারণেরা যার চিকিৎসা করতে পারি না তাদেরকে পাঠিয়ে দেব। এর জন্য পরস্পর-সম্পৃক্ততা থাকতে হবে, অনেক বেশি মানবিক হতে হবে এবং নির্লোভ হতে হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আজকাল ডাক্তারদের মনোবৃত্তি হয়ে গিয়েছে ব্যবসায়িক মনোবৃত্তি।

    তারমানে কি লোকায়ত জ্ঞানটাকে কাজে লাগানো একটা পথ হতে পারে?

    ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী : অনেকটা। সবকিছু ভালো না। কিন্তু কোনটাকে আমরা কাজে লাগাতে পারি সেটা খুঁজে বের করতে হবে, জানতে হবে। আমি তো আগেই বললাম ধাই-রা এক লাখের মধ্যে সত্তর হাজার বাচ্চা ধরছেন। তাকে আপনি কর্মচ্যুত করছেন। কেন করছেন? ধাই-এর সামর্থ্যটাকে কাজে লাগাচ্ছেন না! এমন ইতিহাস নেই যে, কোনো ধাই রাত্রিবেলা গ্রামের কোনো বাড়িতে যেতে অস্বীকার করেছেন। কিন্তু আপনি যদি গ্রামের ডাক্তার হন তাহলে হয়তো বিভিন্নরকম অজুহাত দেখিয়ে বলে দিলেন যে আপনি যেতে পারবেন না।

    অধিক মাত্রায় প্রাইভেটাইজেশন কি ডাক্তার- রোগী সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করছে?

    ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী : অবশ্যই। প্রাইভেট চিকিৎসা-ব্যবস্থা থাকবে। কিন্তু সরকারি চাকরিও করব, আবার প্রাইভেটেও ব্যবসা করব এটা অত্যন্ত অন্যায় কাজ। সরকারি ডাক্তারের বেতন- ভাতা বাড়াতে হবে, সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে। তিনি রেফারাল রোগী পর্যন্ত দেখতে পারেন, ইন্সটিটিউশনাল প্র্যাকটিস করতে পারেন; কিন্তু কারো দোকানে বসাবসি করতে পারবেন না, কোনো প্রাইভেটে যেতে পারবেন না। উনারা ওখানেই চেম্বার করতে পারেন—ইন্সটিটিউশনাল প্র্যাকটিস বলে এটাকে। ডাক্তারদেরকে মানবিক হতে হবে। দেখুন এখন সাধারণ রোগীরাও ভারতে চলে যায়। আমার পাশের বাড়ির লোকটা যদি আমাকে দিয়ে চিকিৎসা না করায় তাহলে এত টাকা থেকে আমার লাভ কী! এটা অত্যন্ত অপমানজনক।

    বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ডাক্তার-রোগীর যে দূরত্ব; ডাক্তারদের প্রতি সাধারণ মানুষের অনাস্থা, অবিশ্বাস এটা লাঘব করা সম্ভব কীভাবে?

    ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী : বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ডাক্তার-রোগীর যে দূরত্ব; ডাক্তারদের প্রতি সাধারণ মানুষের অনাস্থা, অবিশ্বাস এটা লাঘব করা সম্ভব কীভাবে? এটা লাঘবের মূল দায়িত্ব সরকারের। প্রথম কাজ হচ্ছে আমাদের কারিকুলাম বদলাতে হবে। মেডিক্যালের । শিক্ষার্থীকে ব্যবহারিক বিষয় শেখাতে হবে, বাংলাদেশের ইতিহাস; মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানাতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে হলে গরীব মানুষকে সম্মান করতে শিখতে হবে, গরীবের জীবনযাত্রা বুঝতে হবে। আমি একটা ঔষধ লিখে দিলাম যার দাম পাঁচ হাজার টাকা। সে হয়তো সারা মাসে পাঁচ হাজার টাকা খরচ করে না। এই ঔষধ কিনতে গিয়ে তো তার পরিবার ধ্বংস হয়ে যাবে! দ্বিতীয়ত, ঔষধের মূল্য নির্ধারণ করে দিতে হবে। যেমন ধরুন, আমার চোখের অপারেশন করা হয়েছে। যে লেন্সটা লাগানো হয়েছে তার দাম দুইশ টাকা। ডাক্তারের ফি লেগেছে দুই হাজার টাকা। অথচ বিভিন্ন জায়গায় এই লেন্সটার দাম পঁচাত্তর হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা। এই যে তারা হরিলুট করছে এসব নিয়ন্ত্রণ করা সরকারের দায়িত্ব। সরকার যদি এই দায়িত্ব পালন না করে তাহলে হবে না। আর যেসব ডাক্তারদের টাকার প্রতি বেশি লোভ তাদের প্রতি আমার উপদেশ হলো আপনারা কন্ট্রাক্টারি করেন। তাতে অনেক টাকা পাবেন। ডাক্তারি করার প্রয়োজন নাই।

    /এসএস/মনেরখবর/

    গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী
    Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Reddit WhatsApp Telegram Email
    Previous Articleবিএসএমএমইউতে প্রথম নারী সহকারী প্রক্টর হলেন ডা. ফাতিমা মারিয়া
    Next Article নিজের পরিচয়কে ধরে রাখতে পারা আধুনিকতার চেয়েও আধুনিক
    মনের খবর ডেস্ক

    Related Posts

    BACAMH – এর সদস্যপদ নবায়ন শুরু: ৫ ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে নবায়ন সম্পন্নের আহ্বান

    November 20, 2025

    চিকিৎসকদের মতে, দেশের স্বাস্থ্যসেবায় মানসিক স্বাস্থ্য এখনো উপেক্ষিত

    November 17, 2025

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু

    November 15, 2025
    Leave A Reply Cancel Reply

    Top Posts

    অতিরিক্তি হস্তমৈথুন থেকে মুক্তির উপায়

    July 25, 2021316 Views

    অভিভাবকত্ব শুধুমাত্র লালন-পালনের নাম নয়, এটি একটি সুসংগঠিত প্রক্রিয়া

    June 30, 2025300 Views

    বাংলাদেশি মনোরোগ চিকিৎসকের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

    July 2, 2025209 Views

    পর্নোগ্রাফি থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ দূরে রাখবেন যেভাবে

    March 13, 2022118 Views
    Don't Miss
    কার্যক্রম November 20, 2025

    BACAMH – এর সদস্যপদ নবায়ন শুরু: ৫ ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে নবায়ন সম্পন্নের আহ্বান

    বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ফর চাইল্ড অ্যান্ড অ্যাডোলেসেন্ট মেন্টাল হেলথ BACAMH সদস্যপদ নবায়ন শুরু । ২০২৫ সালের…

    চিকিৎসকদের মতে, দেশের স্বাস্থ্যসেবায় মানসিক স্বাস্থ্য এখনো উপেক্ষিত

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু

    লক্ষ্য নির্ধারন নিয়ে মনের খবর মাসিক ম্যাগাজিনের জুলাই সংখ্যা ২০২৫

    Stay In Touch
    • Facebook
    • Twitter
    • Pinterest
    • Instagram
    • YouTube
    • Vimeo
    আমাদের সম্পর্কে
    আমাদের সম্পর্কে

    প্রকাশক ও সম্পাদক:
    অধ্যাপক ডা. সালাহ্উদ্দিন কাউসার বিপ্লব
    মোবাইল : (+88) 018-65466594, (+88) 014-07497696
    ইমেইল : info@monerkhabor.com

    লিংক
    • মাসিক ম্যাগাজিন প্রাপ্তিস্থান
    • কনফারেন্স-সেমিনার-ওয়ার্কশপ
    • প্রেজেন্টেশন
    • জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট
    রিসোর্স
    • পরিচালনা পর্ষদ
    • মানসিক বিষয়ে সংগঠন
    • বিশেষজ্ঞ লোকবল
    • নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
    সোশ্যাল মিডিয়া
    • Facebook
    • YouTube
    • LinkedIn
    • WhatsApp
    © 2025 মনেরখবর সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
    • আমাদের সম্পর্কে
    • যোগাযোগ
    • গোপনীয়তা নীতি

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.

    Ad Blocker Enabled!
    Ad Blocker Enabled!
    Our website is made possible by displaying online advertisements to our visitors. Please support us by disabling your Ad Blocker.